দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি উত্তর কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মূলত প্রচারণা চালানোর জন্য সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থাপন করা লাউড স্পিকারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই তাদের এই হুমকি। গতকাল শনিবার উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিপক্ষ দলের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালানোর হাতিয়ারগুলো ধ্বংসে উত্তর কোরিয়ার বিপ্লবী সামরিক বাহিনী সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালাবে। তাদের মনে রাখা উচিত, উত্তর কোরিয়ার সামরিক হামলা সিউলকে অগ্নিসমুদ্রে পরিণত করবে।’
পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষমতাসীন শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকায় ১১টি লাউড স্পিকার স্থাপন করেছে সিউল। এর আগে ২০০৪ সালে এ ধরনের প্রচারণার হাতিয়ারগুলো বন্ধ করেছিল তারা। গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। একটি বহুজাতিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই যুদ্ধজাহাজডুবির জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী। কিন্তু উত্তর কোরিয়া ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রকাশিত গতকালের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার এই পদক্ষেপ শান্তি ও পুনর্মিলনের বিষয়ে ২০০০ সালে স্বাক্ষরিত আন্তঃকোরীয় ঘোষণার বরখেলাপ এবং সরাসরি একটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এ কারণে সিউলের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের ওই হাতিয়ারগুলো ধ্বংসে সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালাবে ডিপিআরকে।’
এদিকে গত শুক্রবার পার্লামেন্টের এক শুনানিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়াং বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর লাউড স্পিকারগুলো থেকে প্রচারণা চালানো শুরু হবে। তবে পিয়ংইয়ংয়ের এই হুমকির পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না।
হুমকি দিলেও উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে তেমন কোনো তত্পরতা দেখা যায়নি। এর আগেও উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু ১৯৫০-৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দুই অংশের মধ্যে সে ধরনের বড় কোনো সামরিক সংঘাত হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিপক্ষ দলের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালানোর হাতিয়ারগুলো ধ্বংসে উত্তর কোরিয়ার বিপ্লবী সামরিক বাহিনী সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালাবে। তাদের মনে রাখা উচিত, উত্তর কোরিয়ার সামরিক হামলা সিউলকে অগ্নিসমুদ্রে পরিণত করবে।’
পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষমতাসীন শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকায় ১১টি লাউড স্পিকার স্থাপন করেছে সিউল। এর আগে ২০০৪ সালে এ ধরনের প্রচারণার হাতিয়ারগুলো বন্ধ করেছিল তারা। গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। একটি বহুজাতিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই যুদ্ধজাহাজডুবির জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী। কিন্তু উত্তর কোরিয়া ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রকাশিত গতকালের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার এই পদক্ষেপ শান্তি ও পুনর্মিলনের বিষয়ে ২০০০ সালে স্বাক্ষরিত আন্তঃকোরীয় ঘোষণার বরখেলাপ এবং সরাসরি একটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এ কারণে সিউলের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের ওই হাতিয়ারগুলো ধ্বংসে সর্বাত্মক সামরিক হামলা চালাবে ডিপিআরকে।’
এদিকে গত শুক্রবার পার্লামেন্টের এক শুনানিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়াং বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর লাউড স্পিকারগুলো থেকে প্রচারণা চালানো শুরু হবে। তবে পিয়ংইয়ংয়ের এই হুমকির পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না।
হুমকি দিলেও উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে তেমন কোনো তত্পরতা দেখা যায়নি। এর আগেও উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু ১৯৫০-৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দুই অংশের মধ্যে সে ধরনের বড় কোনো সামরিক সংঘাত হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে।
No comments