সেফহোমে কান্নাকাটি করছেন বগুড়ার ধর্ষিতা কিশোরী
রাজশাহীর সেফহোমে হাঁপিয়ে উঠেছেন বগুড়ার আলোচিত ধর্ষিতা কিশোরী ছাত্রী। বাবা-মাবিহীন এ জীবনযাপনকে তিনি মেনে নিতে পারছেন না। একাকী বসবাসে অনভ্যস্ত কিশোরী প্রায়ই কান্নাকাটি করছেন। বলছেন, তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। তবে রাজশাহীর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে কিশোরীর নির্যাতিত মা ভালো আছেন। সেখানে তার থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সম্প্রতি তিনি কিশোরী মেয়েকে দেখতে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটার সেফহোমে যান। মা ও ভাবিকে দেখে কিশোরী ছাত্রী কান্নাকাটি করতে থাকেন। কিশোরীর মায়ের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের ফোনালাপে এর সত্যতা মিলেছে। রাজশাহীর শাহমখদুম থানা চত্বরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে তিনি যুগান্তরকে বলেন, মেয়ে আমাদের কাছে ফিরতে সবসময় কান্নাকাটি করছে। এর আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আদালতে যাওয়ার আগে কিশোরী ছাত্রী সেফহোমে যাওয়ার ব্যাপারে তার আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। বিচারক স্ত্রী ও কন্যার নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি নিজের অপারগতা প্রকাশ করলে মা-মেয়েকে সরকারি হেফাজতে রাখার আদেশ দেন। পরে মা-মেয়েকে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়। জানতে পেরে কিশোরীর বাবা বগুড়া শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি মো. আমানউল্লাহর কাছে ছুটে যান। এবং মা-মেয়েকে নিজের হেফাজতে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। পিপি নিরাপত্তার দিকটি আরও ভালোভাবে ভেবে দেখার কথা বললে তিনি ফিরে যান। জানতে চাইলে পিপি আমানউল্লাহ বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মা-মেয়ের ওখানে থাকাই ভালো- এমন পরামর্শ দেয়ার পর কিশোরীর বাবা ফিরে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, নির্যাতিত ছাত্রী ও মায়ের অভিভাবকরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের রাজশাহী থেকে বগুড়ায় আনার কথা বলেছেন। এদিকে বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় যে ভাড়া বাসায় মা-মেয়ে থাকতেন সেটি সেভাবেই পড়ে আছে। বাসাটি তালা দেয়া। বাড়ির কেয়ারটেকার সাইফুল ইসলাম জানান, ভাড়া বাবদ ২ হাজার টাকা দিয়ে গেছে। দু’দিন আগে ছাত্রীর নানি এসে ঘরের আসবাবপত্র গুছিয়ে রেখে গেছেন।
No comments