বিচারপতি অপসারণে বিভক্ত রায়ের পর্যবেক্ষণ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনারসহ সব সাংবিধানিক সংস্থার পদধারীদের অপসারণ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় ছিলাম। সেটা পেলাম এবং ২৯০ পৃষ্ঠার রায়টি পড়ে বিবিধ প্রতিক্রিয়া হলো। তবে যেটা স্বস্তির বিষয় বলে মনে হয়েছে তা হলো, হাইকোর্টের তিন বিচারপতি বিভক্ত রায় (২:১ ভোটে) দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু একটি বিষয়ে তাঁরা একমত যে সংসদ যে মেজাজে ষোড়শ সংশোধনীটি পাস করেছে, ঠিক সেই মেজাজে সেটির বাস্তবায়ন হওয়া উচিত নয়। গত ৫ মে তিন সদস্যের হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চের (বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত) সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে সংসদের পাস করা ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হয়। বাতিল ঘোষণাকারী বিচারকদ্বয় বলেছেন, এর সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত, তাই তাঁরা সনদ জারি করেছেন। আর ভিন্নমতদানকারী বিচারক রাষ্ট্রপতিকে রেফারেন্স পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন। রিট আবেদনকারীরাও স্বীকার করেছেন যে সংশোধনীর একটি অংশ হচ্ছে আইন। কিন্তু সেই আইনের একটি খসড়া,
যেটি সরকার থেকেই মতামতের জন্য সুপ্রিম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত অপ্রকাশিত থাকতেই এই বিভক্ত রায় এল। মামলাটির দীর্ঘ রায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু উভয় তরফের কিছু পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ও কৌতূহলোদ্দীপক। তবে বিচারক অপসারণ বিষয়ে শুধু বিদেশি রাষ্ট্রের উদাহরণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে কোনো একটি গন্তব্যে ঠেলা উচিত মনে করি না। কমনওয়েলথভুক্ত দেশের ৩৩ ভাগ, যারা সংসদীয় অপসারণ আর সাড়ে ৬২ শতাংশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মতো ব্যবস্থা মানছেন, তাঁদের কারও দৃষ্টান্তই আমাদের সঙ্গে ঠিক শতভাগ খাপ খাবে না। যেমন সরকার বলেছে, ভারত ও ব্রিটেনের সংসদীয় অপসারণ রীতি আছে। কিন্তু তাদের কারও ভোটদানের স্বাধীনতা হরণকারী ৭০ অনুচ্ছেদ নেই। ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনে জয়ী সাংসদও নেই। আবার যাদের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে, তারা নখদন্তহীন বা ঘুমন্ত নয়। ভিন্নমতদানকারী বিচারক বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ষোড়শ সংশোধনী পাসের জন্য সংসদকে অভিবাদন জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আমি বর্তমান মহান জাতীয় সংসদকে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ আবার উপসংহারে নির্দিষ্ট সুপারিশ করেছেন যে বিচারকদের অসদাচরণ বা অসমর্থ (তদন্ত ও প্রমাণ) বিলটি জনগুরুত্বপূর্ণ। তাই রাষ্ট্রপতি এটি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উপদেষ্টামূলক মতামত নিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রেরণ করতে পারেন।
এর আগে পিলখানা বিদ্রোহীদের সেনা আইনে বিচার করা না-করা প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন। বিডিআর আইনে বিচার করতে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া পরামর্শ সরকার মেনেছিল। এবারও তা-ই হতে পারে। ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে আলোচনায় মনে হয়েছে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের সংবেদনশীলতা রক্ষায় সতর্ক। ভারতের নির্বাহী বিভাগ কিন্তু ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতির বিশেষ রেফারেন্স পাঠিয়েই বিচারক নিয়োগের দায় জ্ঞাতসারে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করেছিল। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে অ্যামিকাস কিউরিরা আবারও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হিসেবে মাসদার হোসেন মামলার নিঃশর্ত প্রশংসা করলেন। অথচ ওই রায়ের বিরাট ত্রুটি হলো, এতে সামরিক ফরমানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো যে বিধ্বস্ত অবস্থায় আছে, তা স্বীকৃত হয়নি। উপরন্তু আবারও লেখা হলো, এই রাষ্ট্রের ক্ষমতার পৃথক্করণ নীতি সার্থক। অথচ তা সার্থক নয়। বিচার বিভাগের যে মৌলিক কাঠামোকে আমরা শ্রদ্ধা করব, বলব এটা অপরিবর্তনীয়, সেখানে জেনারেল জিয়ার কোনো একটি ফরমানও তো থাকা উচিত নয়। বাহাত্তরের সংবিধান পুনরুজ্জীবন কিংবা সংবিধান সংস্কারকে আমি একটি চলমান ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখি। কিন্তু মুখে বলা হবে এক, সাধারণ মানুষ জানবে এক, কিন্তু কাজে হবে আর এক, সেটা তো চলতে পারে না। বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধী তিন-চারটি সামরিক ফরমান কিংবা চতুর্থ সংশোধনীর কালো তিলক এখনো সংবিধানে লেপ্টে আছে। ৯৫ অনুচ্ছেদে বিচারক নিয়োগে ‘অতিরিক্ত’ যোগ্যতা নির্ধারণ,
৯৯ অনুচ্ছেদে অবসরের পরে বিচারকদের প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে চাকরির সুযোগ আর ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ ও অপসারণ সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে সরকারের কাছে ন্যস্ত থাকার কথা বলা আছে। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন ও আমীর-উল ইসলাম অভিমত দেন যে, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের “ফাউন্ডেশন স্টোন” এবং নিয়োগপ্রক্রিয়া অপসারণপ্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ অথচ সংবিধানের মৌলিক কাঠামোবিনাশী ওই চার অনুচ্ছেদ, যা চতুর্থ ও পঞ্চম সংশোধনীতে বাহাত্তরের সংবিধান থেকে বিচ্যুত ও বিকৃত হয়ে এখনো টিকে আছে, সেসব অপনোদনের কথা রায়ে উল্লেখ নেই। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী অবশ্য ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদ বাহাত্তরে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে রাষ্ট্রপক্ষের নীরবতায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সেটা অপ্রতুল। কারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ে কোনো অসম্পূর্ণ ও খণ্ডিত মৌলিক কাঠামো আমি কল্পনা করতে অপারগ। তাই এই মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে এসবের একটা স্থায়ী বিহিত আশা করি। হাইকোর্টের ভিন্নমত প্রদানকারী বিচারকের রায়ে বারবার শুধু ৯৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কাউন্সিল প্রজাতন্ত্রের ‘বেতনভুক কর্মচারীর’ (জিয়ার) ‘বেয়নেটের খোঁচায়’ এসেছে বলে মন্তব্য এসেছে। বিচারপতি আশরাফুল কামাল মন্তব্য করেছেন, ‘আপিল বিভাগ ২৯ মার্চ ২০১১–এর রায়ে জেনারেল জিয়ার আনা ৯৬ অনুচ্ছেদের কবর রচনা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন গণপরিষদের ৪০৩ সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রণীত যে মূল সংবিধান তাকে রক্ষা করেন।’
তাঁর আরও মন্তব্য, ‘ষোড়শ সংশোধনীর ফলে “বিচার বিভাগের সত্যিকারের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা” পেয়েছে।’ কিন্তু চতুর্থ সংশোধনীতে দলিত ও বেয়নেটচর্চিত অনুচ্ছেদগুলো রেখে এই দাবি করা সংগত হবে কি? সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সংবিধান সংশোধন বিলের বৈধতা পরীক্ষা করতে বসে এর প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং বাস্তব রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতন্ত্র অনুশীলনের অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ভাবতে পারলে খুশি হতাম যে ষোড়শ সংশোধনী মুক্তিযুদ্ধ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার চেতনার মশাল। সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে দলত্যাগ বন্ধসংক্রান্ত ৭০ অনুচ্ছেদের প্রতি যথার্থই আলোকপাত করা হয়েছে। বিচারক অপসারণ প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে ৭০ অনুচ্ছেদের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে এ-সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রশমনের কথা ভাবা যায় বলেই মনে করি। ভিন্নমত প্রদানকারী বিচারকের রায়ে ‘রাজাকার বিচারপতিদের’ পদে বহাল থাকা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা দ্রুত বিচারিক ফোরামেই নিষ্পত্তির দাবি রাখে। এসব প্রশ্নের মধ্যে আছে, ‘৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতি বিচারপতিরা কেন বহাল থাকবে? কেন রাজাকার বিচারপতি বহাল থাকবে? কেন স্বাধীনতাবিরোধী ও স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থানকারী বিচারপতি হিসেবে বহাল থাকবে?’ আরও লক্ষণীয় যে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা ‘এবার আমাদেরকে স্বাধীনতাবিরোধী ও জামায়াতমুক্ত সংসদ উপহার দিয়েছেন।’ আমরা দেখি, এই রায়ে বিচারক পদে থাকা না-থাকার বিষয়ে কতগুলো নতুন বিবেচ্য বিষয় এসেছে।
ভিন্নমত প্রদানকারীর রায়ে সংসদের প্রতি নির্দিষ্ট সুপারিশ হলো, ‘যারা জামায়াতের আদর্শে বিশ্বাসী, যারা স্বাধীনতা ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না, সেই সব বিচারপতিকে অপসারণ করে বিচার বিভাগকে কলঙ্কমুক্ত করবেন। আর যাঁরা সংবিধানের প্রস্তাবনায় বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরে ধারণ না করেন, তঁাদের বিচারপতি নিয়োগ না করা। যিনি সেই সব মহান আদর্শসমূহকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন, তিনিই কেবল এই সংবিধানকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন।’ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন, ‘সংসদীয় অপসারণ ব্যবস্থা যাদের আছে, সেখানে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়োগের বিষয় থাকে, অপসারণ নয়। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাহী বিভাগ কখনো ওই সব দেশের বিচারক নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে কোনো কথা বলেন না।’ তবে আমাদের রূঢ় বাস্তবতা হলো, ১০ বিচারকের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নিজেই এক মাইলফলক গাইডলাইন করলেন, কিন্তু তাঁরা তা কীভাবে মানছেন, তা স্পষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্ট নিজেদের রায়ে কিংবা বাধ্যতামূলক আইনে বর্ণিত ‘স্বচ্ছতা’ নিজেরাই মানছেন না বলে খোদ মূল রায়দানকারী আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি আবদুল মতিন অবসরে গিয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তাই সমস্যাটা শুধুই নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের নয়। এই বিষয়ে দ্রুত রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স আশা করি। তবে আপিল বিভাগ বিষয়টি কী প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। কিন্তু এই ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রশ্নে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গেরই দ্বিধাদ্বন্দ্ব নতুন নয়। ভিন্নমতদানকারী বিচারক পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের জন্য বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে ‘বিচার বিভাগের সূর্যসন্তান’ বলেছেন। কিন্তু এই রায়ের কয়েকটি তথ্যগত ত্রুটির উল্লেখ না করলেই নয়।
বিশেষ বেঞ্চের রায়ের উল্লেখমতে, পঞ্চম সংশোধনী মামলার হাইকোর্টের মূল রায়ে সুপ্রিম কাউন্সিলকে নির্দিষ্টভাবে বেআইনি বলা হয়নি। ২০১০ সালে আপিল বিভাগ এই ব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেন, এটা যেমন ছিল, তেমন থাকবে। মাত্র ৫৫ দিন পর এর রিভিউ হয়। এবার এর আয়ুষ্কাল ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ ঠিক হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংসদ একে বাঁচিয়ে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে তাকে মৃত ঘোষণা করে। আর বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত বিধান ৯৫(২ক) জিয়ার সামরিক ফরমানে ঢুকেছে, বাহাত্তরের সংবিধানে এটা ছিল না। অথচ সংবিধানপ্রণেতাদের বরাতে রায়ে সেভাবেই লেখা হয়েছে। ‘বড় রাষ্ট্রদ্রোহী’ বিচারপতি সায়েম ১৯৭৫ সালে যখন মূল ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন, তখন রাষ্ট্রপতির আদেশে বিচারক অপসারণের বিধান ছিল, যা চতুর্থ সংশোধনীতে আনা হয়েছিল। আমরা হয়তো বিশ্বে এখন এমন একটি রাষ্ট্র, যার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও তাঁদের মতো মর্যাদাসম্পন্ন কোনো সাংবিধানিক পদধারীর জবাবদিহির প্রক্রিয়া কী, তা অস্পষ্ট। সংসদে পাস করা কোনো আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয় এবং তা বহাল বা বাতিল হওয়াও যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত অবস্থায় আছে কি নেই, তার কোনো কর্তৃপক্ষীয় উত্তর পাই না।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷
mrkhanbd@gmail.com
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷
mrkhanbd@gmail.com
No comments