আলেপ্পোর অস্ত্রাগারে অতর্কিত হামলা
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে অস্ত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে একটি পরিখার ভেতরে অবস্থান নিয়েছে বিদ্রোহী আল নুসরা ফ্রন্টের (বর্তমান নাম ফাতেহ আল শাম) যোদ্ধারা -এএফপি |
সরকারি বাহিনীর অবরোধ ভাঙার চেষ্টারত সিরীয় বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রাগারে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছে। শুক্রবার রাতে ওই অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়ে সেটির কিছু অংশ দখলে নিয়েছে বলে দাবি করছে বিদ্রোহীরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বলছে, ওই ঘাঁটির কিছু অংশ দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে সিরীয় সেনাবাহিনী পাল্টা দাবি করেছে, তারা বিদ্রোহীদের ওই হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং শত শত বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, আল কায়দা সমর্থিত ‘জেইস আল ফাতাহ’সহ বেশ ক’টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে শুক্রবার প্রথমে আলেপ্পোর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রামৌসাহ এলাকার অস্ত্রগুদামে হামলা চালায়। পরে তারা নিকটবর্তী আরও একটি অস্ত্রাগারে হামলা চালায়। এ সময় সরকারি সেনারা তাদের প্রতিহত করে বলে স্থানীয় পত্রিকা দাবি করেছে। ওই অস্ত্র ঘাঁটির দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে এখনও লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর পূর্বাংশের আবাসিক এলাকগুলোর সাতটি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে আছে। এসব অংশে প্রায় আড়াই লাখ লোকের বাস। বিদ্রোহীদের দখলকৃত এলাকাগুলো থেকে গোলন্দাজ ঘাঁটিটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। এ ঘাঁটিতে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রের মজুদ আছে। এখান থেকে আলেপ্পোর বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোত নিয়মিত গোলাবর্ষণ করা হতো।
বিদ্রোহীদের প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা ওই স্থাপনার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে এবং অস্ত্রশস্ত্র দখল করে নিয়েছে। অবশ্য সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ওই গুদামটি দখলে নেয়ার চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে সরকারি সেনারা এবং তাদের হামলায় বহু বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। আইএসের কাছ থেকে মানবিজ দখলে নিল বিদ্রোহীরা : মার্কিন সমর্থিত কুর্দি ও আরব বিদ্রোহী যোদ্ধাদের জোট দ্য সিরিয়া ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা মানবিজ শহরের ওপর ‘প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে দাবি করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, ভৌগোলিক কারণে মানবিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরটি তুরস্ক সীমান্তে অবস্থিত। দুই বছর ধরে এটি আইএসের দখলে রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, মানবিজ শহরে এখনও কিছু আইএস সদস্য রয়েছে। মানবিজের মধ্য দিয়ে রাকা থেকে তুর্কি সীমান্ত এবং আলেপ্পোর আইএসের দখলে থাকা এলাকায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি সংযুক্ত থাকত এবং রসদ সরবরাহ করত। সিরীয় বাহিনী দুই মাস আগে আইএসের কাছ থেকে মানবিজ শহরের দখল নিতে লড়াই শুরু করে। জুনের মানবিজের একাংশের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বিদ্রোহীদের দখলে। সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, শহরের ভেতর থেকে সাধারণ সিরীয়রা বেরিয়ে আসছেন। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, আইএস শহর ছাড়ছে।
বিদ্রোহীদের প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা ওই স্থাপনার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে এবং অস্ত্রশস্ত্র দখল করে নিয়েছে। অবশ্য সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ওই গুদামটি দখলে নেয়ার চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে সরকারি সেনারা এবং তাদের হামলায় বহু বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। আইএসের কাছ থেকে মানবিজ দখলে নিল বিদ্রোহীরা : মার্কিন সমর্থিত কুর্দি ও আরব বিদ্রোহী যোদ্ধাদের জোট দ্য সিরিয়া ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা মানবিজ শহরের ওপর ‘প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে দাবি করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, ভৌগোলিক কারণে মানবিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরটি তুরস্ক সীমান্তে অবস্থিত। দুই বছর ধরে এটি আইএসের দখলে রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, মানবিজ শহরে এখনও কিছু আইএস সদস্য রয়েছে। মানবিজের মধ্য দিয়ে রাকা থেকে তুর্কি সীমান্ত এবং আলেপ্পোর আইএসের দখলে থাকা এলাকায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি সংযুক্ত থাকত এবং রসদ সরবরাহ করত। সিরীয় বাহিনী দুই মাস আগে আইএসের কাছ থেকে মানবিজ শহরের দখল নিতে লড়াই শুরু করে। জুনের মানবিজের একাংশের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বিদ্রোহীদের দখলে। সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, শহরের ভেতর থেকে সাধারণ সিরীয়রা বেরিয়ে আসছেন। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, আইএস শহর ছাড়ছে।
No comments