ইলিশের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলছে না বাংলাদেশ by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
বর্ষার
পিছু পিছু করছে—এ সময় এসে গেছে ইলিশের মৌসুম। ভারতীয় বাঙালির রসনাতৃপ্তির
জন্য নতুনভাবে উঠল পুরোনো দাবিও। কিন্তু ‘জলের রুপালি শস্য’ ইলিশের ওপর
থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ সরকার এখনই তুলে নিচ্ছে না।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যবিষয়ক যুগ্ম ওয়ার্কিং গ্রুপের দশম বৈঠকে ইলিশ নিয়ে ভারতের এই বিশেষ অনুরোধ বাংলাদেশ নাকচ করে দিয়েছে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা না তোলার যে দুটি কারণ বাংলাদেশ দেখিয়েছে, তার একটি হলো আকাশছোঁয়া অভ্যন্তরীণ চাহিদা; দ্বিতীয় কারণ, চাহিদা ও জোগানে বিপুল ঘাটতি। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফি বর্ষায় পদ্মার ইলিশ উপহার পেলেও আম বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে এবারেও আসছে না বাংলাদেশি ইলিশ।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম ডি মুনির চৌধুরী। দুই দিনের এ বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ভূপেন্দ্র ভাল্লা। ইলিশের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ প্রসঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর একটা বিশেষ অনুরোধ। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এপার বাংলার বাঙালির স্বার্থে বাংলাদেশ বিষয়টি বিবেচনা করুক।
বাংলাদেশ যেমন এই অনুরোধ মানেনি, ভারতও তেমন বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ওপর চাপানো ‘কাউন্টার ভেলিং’ শুল্ক তুলে নেওয়ার অনুরোধ মেনে নেয়নি। ভারতের বক্তব্য, দেশি পোশাক প্রস্তুতকারকদের যে শুল্ক দিতে হয়, ‘কাউন্টার ভেলিং’ শুল্ক না বসালে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক অনেক সস্তা হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে দেশি উৎপাদকদের। কাজেই এখনই এ অনুরোধ মানা সম্ভব নয়।
ভারতের আরও একটা অনুরোধ বাংলাদেশ মানেনি। তবে বলেছে, বিবেচনা করবে। অনুরোধটি ছুটির দিনে মাল খালাসের বাড়তি খরচ না নেওয়ার। বাংলাদেশে ছুটির দিন শুক্রবার। ওই দিন সীমান্ত বন্দরগুলোতে ভারতীয় পণ্য খালাসের জন্য কিছু বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়। ভারতে ছুটির দিন রোববারে যা লাগে না। ভারতের অনেক দিনের অনুরোধ, ওই বাড়তি খরচ যেন না নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ জানায়, এ ক্ষেত্রে সম-আচরণ বা ‘রেসিপ্রোসিটি’ সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যত পণ্য রপ্তানি হয়, ভারত থেকে রপ্তানি হয় তার ১০ গুণ।
দুই দিনের এ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সীমান্ত হাটের সংখ্যা আরও ছয়টি বাড়ানো হবে। এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি বা এমওইউয়ের মেয়াদ ইতিমধ্যেই উত্তীর্ণ। ভারত জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তার নবীকরণ হয়ে যাবে। দুই দেশই সীমান্ত হাটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। এতে সীমান্তে চোরাচালান যেমন বন্ধ করা যায়, তেমনই সীমান্তবর্তী এলাকায় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। দুই দেশের মানুষের বন্ধনও দৃঢ় হয়।
যুগ্ম কমিটির বৈঠকে ‘জুট ডাম্পিং’ বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। বলা হয়েছে, এ বিষয়ে শুনানি ঈদের ছুটির পরেই হবে। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে ভারতের দিকের রাস্তা চার লেনের হলেও বাংলাদেশে এখনো তা করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ জানিয়েছে, শিগগিরই এই কাজে হাত দেওয়া হবে। স্পর্শকাতর তালিকা বা ‘সেনসিটিভ লিস্ট’ থেকে যে পণ্য গুলি বাদ দেওয়ার দাবি ভারত জানিয়ে আসছে, বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে জানিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই তারা ২১টি বিষয়কে ওই তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যবিষয়ক যুগ্ম ওয়ার্কিং গ্রুপের দশম বৈঠকে ইলিশ নিয়ে ভারতের এই বিশেষ অনুরোধ বাংলাদেশ নাকচ করে দিয়েছে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা না তোলার যে দুটি কারণ বাংলাদেশ দেখিয়েছে, তার একটি হলো আকাশছোঁয়া অভ্যন্তরীণ চাহিদা; দ্বিতীয় কারণ, চাহিদা ও জোগানে বিপুল ঘাটতি। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফি বর্ষায় পদ্মার ইলিশ উপহার পেলেও আম বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে এবারেও আসছে না বাংলাদেশি ইলিশ।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম ডি মুনির চৌধুরী। দুই দিনের এ বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ভূপেন্দ্র ভাল্লা। ইলিশের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ প্রসঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর একটা বিশেষ অনুরোধ। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এপার বাংলার বাঙালির স্বার্থে বাংলাদেশ বিষয়টি বিবেচনা করুক।
বাংলাদেশ যেমন এই অনুরোধ মানেনি, ভারতও তেমন বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ওপর চাপানো ‘কাউন্টার ভেলিং’ শুল্ক তুলে নেওয়ার অনুরোধ মেনে নেয়নি। ভারতের বক্তব্য, দেশি পোশাক প্রস্তুতকারকদের যে শুল্ক দিতে হয়, ‘কাউন্টার ভেলিং’ শুল্ক না বসালে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক অনেক সস্তা হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে দেশি উৎপাদকদের। কাজেই এখনই এ অনুরোধ মানা সম্ভব নয়।
ভারতের আরও একটা অনুরোধ বাংলাদেশ মানেনি। তবে বলেছে, বিবেচনা করবে। অনুরোধটি ছুটির দিনে মাল খালাসের বাড়তি খরচ না নেওয়ার। বাংলাদেশে ছুটির দিন শুক্রবার। ওই দিন সীমান্ত বন্দরগুলোতে ভারতীয় পণ্য খালাসের জন্য কিছু বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়। ভারতে ছুটির দিন রোববারে যা লাগে না। ভারতের অনেক দিনের অনুরোধ, ওই বাড়তি খরচ যেন না নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ জানায়, এ ক্ষেত্রে সম-আচরণ বা ‘রেসিপ্রোসিটি’ সম্ভব নয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যত পণ্য রপ্তানি হয়, ভারত থেকে রপ্তানি হয় তার ১০ গুণ।
দুই দিনের এ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সীমান্ত হাটের সংখ্যা আরও ছয়টি বাড়ানো হবে। এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি বা এমওইউয়ের মেয়াদ ইতিমধ্যেই উত্তীর্ণ। ভারত জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তার নবীকরণ হয়ে যাবে। দুই দেশই সীমান্ত হাটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। এতে সীমান্তে চোরাচালান যেমন বন্ধ করা যায়, তেমনই সীমান্তবর্তী এলাকায় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। দুই দেশের মানুষের বন্ধনও দৃঢ় হয়।
যুগ্ম কমিটির বৈঠকে ‘জুট ডাম্পিং’ বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। বলা হয়েছে, এ বিষয়ে শুনানি ঈদের ছুটির পরেই হবে। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে ভারতের দিকের রাস্তা চার লেনের হলেও বাংলাদেশে এখনো তা করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ জানিয়েছে, শিগগিরই এই কাজে হাত দেওয়া হবে। স্পর্শকাতর তালিকা বা ‘সেনসিটিভ লিস্ট’ থেকে যে পণ্য গুলি বাদ দেওয়ার দাবি ভারত জানিয়ে আসছে, বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে জানিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই তারা ২১টি বিষয়কে ওই তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
No comments