যেভাবে ফাইনালে আর্জেন্টিনা-জার্মানি
আজ পর্দা নামছে বিশ্বকাপের ২০তম আসরের। আর বাকি একটি ম্যাচ। ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি জার্মানি। ৩২টি দলের অংশগ্রহণে এ বিশ্বকাপের ৬৩ ম্যাচ সাক্ষী হয়েছে অনেক ঘটনা অঘটনের। সবকিছু ছাপিয়ে এখন সবার নজর মারাকানা স্টেডিয়ামের দিকে, আজ রাতে এ মাঠেই লড়বে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা আর মুলার-ক্লোসেদের জার্মানি। বিশ্বকাপের গ্র“পপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন, তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি, ১৯৬৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। নকআউটে বিদায় নিতে হয় আরেক চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকেও। এ বিশ্বকাপে উত্থান ঘটে কোস্টারিকা-কলম্বিয়ার মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দুটি দলের। দুটি দলই অনেক বাঘা বাঘা দলকে কাবু করে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। গ্র“পপর্বে দু’একটি ‘অঘটন’ ঘটলেও উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল, ২৪ জুন ইতালি-উরুগুয়ের ম্যাচে লুইস সুয়ারেজের কামড়কাণ্ড। ঘটনাটি এবারের বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত একমাত্র কেলেংকারি। এ ঘটনায় সুয়ারেজকে চার মাসের জন্য সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এ বিশ্বকাপের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, ব্রাজিলের পোস্টারবয় নেইমারের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার জুনিগারের রাফ ট্যাকলে মেরুদণ্ডের তৃতীয় কশেরুকায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার ঘটনাও ছিল উল্লেখযোগ্য। এবার চোখ বুলানো যাক দুই ফাইনালিস্টের দুর্গম পথ পাড়ি দেয়ার দিকে
আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপে ‘এফ’ গ্রুপভুক্ত হয়ে খেলতে আসে আর্জেন্টিনা। গ্র“পে তাদের তিন প্রতিপক্ষ ছিল বসনিয়া, ইরান ও নাইজেরিয়া। ১৫ জুন প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বসনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টাইনরা। দ্বিতীয় ম্যাচে একমাত্র গোলে জয় পায় ইরানের বিপক্ষে। আর শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে আর্জেন্টিনা। ১ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডে দলটি মুখোমুখি হয় সুইজারল্যান্ডের। অতিরিক্ত সময়ের একমাত্র গোলে জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টাইনরা। ৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল। আর বুধবার সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দুই যুগ পর ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।
জার্মানি
ইউরোপীয় জায়ান্ট জার্মানির বিশ্বকাপ শুরু এবং ফাইনালে ওঠার দৃশ্যপট দুর্দান্ত। গ্র“পপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘানার সঙ্গে ড্র দলটির বাকি ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তায় ফেলে দেয় সমর্থকদের। আবার তৃতীয় ম্যাচেও অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমাত্র গোলে জিতে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা। ৩০ জুন নকআউটে আলজেরিয়ার সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে জার্মানরা। অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তারা। ৪ জুলাই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে একমাত্র গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে জার্মানরা। আর মঙ্গলবার স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে জার্মানরা। ওয়েবসাইট।
আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপে ‘এফ’ গ্রুপভুক্ত হয়ে খেলতে আসে আর্জেন্টিনা। গ্র“পে তাদের তিন প্রতিপক্ষ ছিল বসনিয়া, ইরান ও নাইজেরিয়া। ১৫ জুন প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বসনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টাইনরা। দ্বিতীয় ম্যাচে একমাত্র গোলে জয় পায় ইরানের বিপক্ষে। আর শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে আর্জেন্টিনা। ১ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডে দলটি মুখোমুখি হয় সুইজারল্যান্ডের। অতিরিক্ত সময়ের একমাত্র গোলে জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টাইনরা। ৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল। আর বুধবার সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দুই যুগ পর ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।
জার্মানি
ইউরোপীয় জায়ান্ট জার্মানির বিশ্বকাপ শুরু এবং ফাইনালে ওঠার দৃশ্যপট দুর্দান্ত। গ্র“পপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘানার সঙ্গে ড্র দলটির বাকি ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তায় ফেলে দেয় সমর্থকদের। আবার তৃতীয় ম্যাচেও অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমাত্র গোলে জিতে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা। ৩০ জুন নকআউটে আলজেরিয়ার সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে জার্মানরা। অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তারা। ৪ জুলাই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে একমাত্র গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে জার্মানরা। আর মঙ্গলবার স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে জার্মানরা। ওয়েবসাইট।
No comments