জনগণের দৃষ্টি এখনো নারায়ণগঞ্জ-ফেনীতেই আছে
ওসমান পরিবারের পাশে প্রধানমন্ত্রী, জনগণের পাশে?
জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের শোকপ্রস্তাবের ওপর দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারকে প্রয়োজনে দেখাশোনার কথা বলেছেন৷ নারায়ণগঞ্জের গডফাদার হিসেবে খ্যাত যে শামীম ওসমান কিছুদিন আগেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পায়ের তলায় পিষে মারার হুমকি দিতেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুবুল হক লিখেছেন: নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ তথা সারা দেশের সাধারণ মানুষের দেখভাল করার জন্য মিডিয়া আছে না? মোর্শেদ কামাল: সরকার যখন জনগণের ভয়ে অস্থির হয়, তখন সন্ত্রাসীর ওপর নির্ভর করতে হয়। আশিক নূর: জনগণ বলতে আমরা যাদের বুঝি, সেই জনগণের কিন্তু শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার দল ছাড়া অন্য কোনো দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার সামর্থ্য নেই। তাই এই দুই নেত্রী ক্ষমতায় এসে জনগণের বিপক্ষে কোনো কথা বললেও পার পেয়ে যাবেন বলে মনে করেন৷ দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য। পরাগ রহমান: এত দিন ‘সাত খুন মাফ’ কথাটা কথার কথা হিসেবে শুনেছি। এখন দেখছি সত্যি সত্যি সাত খুন মাফ! সালাউদ্দিন আইয়ুবি: আওয়ামী লীগ ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে৷ আর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন শামীম ওসমানদের। জনগণের ভোট ছাড়াই কীভাবে ক্ষমতা দখল করতে হয়, তা এবার শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন৷ ভোট দিয়ে কী হবে। কারণ, তারা তো আর তাঁর ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারবে না—যা গডফাদাররা নিশ্চিত করতে পারবে৷ সহিদুল ইসলাম: সরকার আরও আরও ত্বকীদের খুন হয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিল। মশিউর রহমান খান: এখন সময়টা খারাপ, তাই শামীম ওসমানদের মতো লোকদেরই বেশি প্রয়োজন শেখ হাসিনার। বিপ্লব: প্রধানমন্ত্রীর শামীম ওসমানের পাশে থাকাতে পুরোপুরি নিশ্চিত হলাম, উনি আর জনগণের কথা ভাবেন না!
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে খুন, পরিকল্পনায় নূর হোসেন
র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে এবং নূর হোসেনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা ঘটানো হয়৷ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে র্যাব-১১-এর ৩২ জন জড়িত ছিলেন৷ র্যাব-১১-এর সাবেক দুই কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে৷ এ ব্যাপারে পাঠক সালেকিনের মন্তব্য: টাকার লোভে খুন করেছেন—এখন বিবেকের দংশনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হন৷ আর যদি সত্যি সত্যি বসদের কেউ জড়িত থাকে, সেটাও তদন্ত করা হোক৷ কোনো অল্প কিছু খুনির জন্য গোটা বাহিনী কলঙ্কের দায় নেবে? জাতি ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম জানতে চায়! মো. ইকবাল হোসেন: তবে কি যে তিন কর্মকর্তা ধরা পড়েছেন, তাঁদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে? কারণ ওই সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যন্ত আইনের হাত কখনোই পৌঁছাতে পারবে না৷ এই সাত খুনের যত খবরই পড়ছি, ততই গায়ের রক্ত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে৷ আহমেদ: এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার আছে কি? রিপোর্টটি পড়লে আত্মীয়রা, ঘনিষ্ঠরা অঝোরে কাঁদবে, দূরের-কাছের কেউই চোখের পানি আটকাতে পারবে না৷ একটা বাহিনী, যে কিনা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেবে, তারা অমনুষ্যত্বে বর্বরতার চরম পাষণ্ডদেরও হারাল, হায়রে অভাগা জাতি!
হবিগঞ্জে রকেট লঞ্চারসহ বিপুল গোলা উদ্ধার
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এক অভিযান চালিয়ে সাতটি পরিখা (বাংকার) থেকে বিপুল পরিমাণ রকেট লঞ্চার ও গোলা উদ্ধার করেছে র্যাবের একটি দল৷ অভিযানে উদ্ধার করা গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক রকেট লঞ্চার, ট্যাংকবিধ্বংসী বিস্ফোরক, মর্টার শেল, রকেট লঞ্চারের চার্জার, অয়েলসহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র৷ এ ব্যাপারে পাঠক মো. শাহ আলম লিখেছেন: র্যাবের ভাবমূর্তি উদ্ধার বলে কথা! আরও কত কিছু উদ্ধার হবে! ধারাবাহিক নাটকের ধারাবাহিক সিকোয়েন্স র্যাব বিলুপ্তি চলবে না৷ কিন্তু জনগণ এসব বস্তাপচা সিরিয়াল খায় না৷ এখনো জনগণের দৃষ্টি নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতেই আছে৷ আল হাসান: সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে, গভীর বনে র্যাব কেন? আমাদের বিজিবি ভাইয়েরা কোথায়? তারিক আল হাসান: হা হা হা...কী দারুণ, এক ঢিলে দুই পাখি শিকার৷ ১. মোদিকে বুঝিয়ে দেওয়া এই সরকারই তোমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷ ২. র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা৷
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে প্রাপ্তি কী
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর নিয়ে লেখা এই কলামের ব্যাপারে পাঠক এম আর হাসান লিখেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এখন যে যেমন অবস্থানেই থাকুন (এর অর্থ হতে পারে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকুন আর আপনি বিরোধী দলের নেতা থাকুন আর না থাকুন), তাঁদের উচিত হবে অবিলম্বে বাংলাদেশের জনগণকে ভোটদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে গুরুত্বের সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণ করা৷ জনগণ যাতে তাদের রাজনৈতিক পছন্দ এমনভাবে বেছে নিতে পারে, যাতে তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটে। মো. গোলাম মামুন চৌধুরী: গত ৩৫ বছরে (১৯৭২-২০০৬) বাংলাদেশ যেখানে ইয়েন ঋণ পেয়েছে ৬০০ বিলিয়নের কিছু কম, সেখানে এবারের শেখ হাসিনার এক সফরেই প্রতিশ্রুতি মিলেছে ৬০০ বিলিয়নের সমপরিমাণের ঋণ৷ ধন্যবাদ জাপান সরকার ও শেখ হাসিনাকে৷
হরতাল-অবরোধে অর্থনীতি চাঙা, বেড়েছে জিডিপি!
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, টানা ছয় মাসের রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ, হরতাল ও অবরোধে অর্থনীতি চাঙা হয়েছে৷ বিবিএস বলছে, এসব কারণেই সেবা খাতে লেনদেন অনেক বেড়েছে। আর তাতেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে৷ এ ব্যাপারে জি ই সোহেল লিখেছেন: ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত কাজ করছে এই দেশটাকে গড়ার জন্য৷ রাজনীতিবিদেরা দেশ সচল করার বদলে অচল করার চেষ্টায় মত্ত৷ চিন্তা করুন তো, যদি ৩২ কোটি হাত একসঙ্গে কাজ করে, উন্নতি ঠেকায় কে? অরুণ দত্ত: এখানে সব গল্পই চলে৷ মূল কথা হলো, সাধারণ মানুষ জিডিপি দেখে ভোট দেয় না; বরং সামগ্রিক পরিস্থিতির একটা দৃশ্যমান ছবিকে কেন্দ্র করেই ভোট দিয়ে থাকে৷ আবছার: তার মানে হরতাল-অবরোধকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষমতায় গেলে যাতে অবাধে হরতাল করা যায়, সেই পথটা পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে৷ বাহ, ভালোই তো! স্বপন খান: আবার হরতাল-অবরোধ শুরু হলে সবকিছুতেই ধস নেমে আসবে৷ মাহমুদ হাসান: খবরটা নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়৷ কারণ দীর্ঘ মেয়াদে হরতাল-অবরোধে দেশের আর্থিক ক্ষতি হবে—এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু হিসাবে ঘটল উল্টো৷ হরতাল-অবরোধে গাড়ি চলেনি অর্থাৎ জ্বালানি পোড়েনি, বেঁচে গেছে। মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি, কেনাকাটা কম করেছে দোকানিকে মাল আমদানি করতে হয়নি, ঘরের টাকা ঘরেই থেকে গেছে৷ এভাবে বিভিন্নভাবে আমরা কৃচ্ছ্রসাধন করেছি৷ ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে—প্রবৃদ্ধি কমেনি বরং বেড়েছে৷ এটাই মনে হয় আমাদের বর্তমান বাস্তবতা! অনুমান করে বললাম৷
জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের শোকপ্রস্তাবের ওপর দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারকে প্রয়োজনে দেখাশোনার কথা বলেছেন৷ নারায়ণগঞ্জের গডফাদার হিসেবে খ্যাত যে শামীম ওসমান কিছুদিন আগেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পায়ের তলায় পিষে মারার হুমকি দিতেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুবুল হক লিখেছেন: নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ তথা সারা দেশের সাধারণ মানুষের দেখভাল করার জন্য মিডিয়া আছে না? মোর্শেদ কামাল: সরকার যখন জনগণের ভয়ে অস্থির হয়, তখন সন্ত্রাসীর ওপর নির্ভর করতে হয়। আশিক নূর: জনগণ বলতে আমরা যাদের বুঝি, সেই জনগণের কিন্তু শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার দল ছাড়া অন্য কোনো দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার সামর্থ্য নেই। তাই এই দুই নেত্রী ক্ষমতায় এসে জনগণের বিপক্ষে কোনো কথা বললেও পার পেয়ে যাবেন বলে মনে করেন৷ দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য। পরাগ রহমান: এত দিন ‘সাত খুন মাফ’ কথাটা কথার কথা হিসেবে শুনেছি। এখন দেখছি সত্যি সত্যি সাত খুন মাফ! সালাউদ্দিন আইয়ুবি: আওয়ামী লীগ ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে৷ আর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন শামীম ওসমানদের। জনগণের ভোট ছাড়াই কীভাবে ক্ষমতা দখল করতে হয়, তা এবার শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন৷ ভোট দিয়ে কী হবে। কারণ, তারা তো আর তাঁর ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারবে না—যা গডফাদাররা নিশ্চিত করতে পারবে৷ সহিদুল ইসলাম: সরকার আরও আরও ত্বকীদের খুন হয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিল। মশিউর রহমান খান: এখন সময়টা খারাপ, তাই শামীম ওসমানদের মতো লোকদেরই বেশি প্রয়োজন শেখ হাসিনার। বিপ্লব: প্রধানমন্ত্রীর শামীম ওসমানের পাশে থাকাতে পুরোপুরি নিশ্চিত হলাম, উনি আর জনগণের কথা ভাবেন না!
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে খুন, পরিকল্পনায় নূর হোসেন
র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে এবং নূর হোসেনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা ঘটানো হয়৷ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে র্যাব-১১-এর ৩২ জন জড়িত ছিলেন৷ র্যাব-১১-এর সাবেক দুই কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে৷ এ ব্যাপারে পাঠক সালেকিনের মন্তব্য: টাকার লোভে খুন করেছেন—এখন বিবেকের দংশনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হন৷ আর যদি সত্যি সত্যি বসদের কেউ জড়িত থাকে, সেটাও তদন্ত করা হোক৷ কোনো অল্প কিছু খুনির জন্য গোটা বাহিনী কলঙ্কের দায় নেবে? জাতি ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম জানতে চায়! মো. ইকবাল হোসেন: তবে কি যে তিন কর্মকর্তা ধরা পড়েছেন, তাঁদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে? কারণ ওই সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যন্ত আইনের হাত কখনোই পৌঁছাতে পারবে না৷ এই সাত খুনের যত খবরই পড়ছি, ততই গায়ের রক্ত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে৷ আহমেদ: এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার আছে কি? রিপোর্টটি পড়লে আত্মীয়রা, ঘনিষ্ঠরা অঝোরে কাঁদবে, দূরের-কাছের কেউই চোখের পানি আটকাতে পারবে না৷ একটা বাহিনী, যে কিনা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেবে, তারা অমনুষ্যত্বে বর্বরতার চরম পাষণ্ডদেরও হারাল, হায়রে অভাগা জাতি!
হবিগঞ্জে রকেট লঞ্চারসহ বিপুল গোলা উদ্ধার
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এক অভিযান চালিয়ে সাতটি পরিখা (বাংকার) থেকে বিপুল পরিমাণ রকেট লঞ্চার ও গোলা উদ্ধার করেছে র্যাবের একটি দল৷ অভিযানে উদ্ধার করা গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক রকেট লঞ্চার, ট্যাংকবিধ্বংসী বিস্ফোরক, মর্টার শেল, রকেট লঞ্চারের চার্জার, অয়েলসহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র৷ এ ব্যাপারে পাঠক মো. শাহ আলম লিখেছেন: র্যাবের ভাবমূর্তি উদ্ধার বলে কথা! আরও কত কিছু উদ্ধার হবে! ধারাবাহিক নাটকের ধারাবাহিক সিকোয়েন্স র্যাব বিলুপ্তি চলবে না৷ কিন্তু জনগণ এসব বস্তাপচা সিরিয়াল খায় না৷ এখনো জনগণের দৃষ্টি নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতেই আছে৷ আল হাসান: সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে, গভীর বনে র্যাব কেন? আমাদের বিজিবি ভাইয়েরা কোথায়? তারিক আল হাসান: হা হা হা...কী দারুণ, এক ঢিলে দুই পাখি শিকার৷ ১. মোদিকে বুঝিয়ে দেওয়া এই সরকারই তোমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷ ২. র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা৷
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে প্রাপ্তি কী
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর নিয়ে লেখা এই কলামের ব্যাপারে পাঠক এম আর হাসান লিখেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এখন যে যেমন অবস্থানেই থাকুন (এর অর্থ হতে পারে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকুন আর আপনি বিরোধী দলের নেতা থাকুন আর না থাকুন), তাঁদের উচিত হবে অবিলম্বে বাংলাদেশের জনগণকে ভোটদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে গুরুত্বের সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণ করা৷ জনগণ যাতে তাদের রাজনৈতিক পছন্দ এমনভাবে বেছে নিতে পারে, যাতে তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটে। মো. গোলাম মামুন চৌধুরী: গত ৩৫ বছরে (১৯৭২-২০০৬) বাংলাদেশ যেখানে ইয়েন ঋণ পেয়েছে ৬০০ বিলিয়নের কিছু কম, সেখানে এবারের শেখ হাসিনার এক সফরেই প্রতিশ্রুতি মিলেছে ৬০০ বিলিয়নের সমপরিমাণের ঋণ৷ ধন্যবাদ জাপান সরকার ও শেখ হাসিনাকে৷
হরতাল-অবরোধে অর্থনীতি চাঙা, বেড়েছে জিডিপি!
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, টানা ছয় মাসের রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ, হরতাল ও অবরোধে অর্থনীতি চাঙা হয়েছে৷ বিবিএস বলছে, এসব কারণেই সেবা খাতে লেনদেন অনেক বেড়েছে। আর তাতেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে৷ এ ব্যাপারে জি ই সোহেল লিখেছেন: ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত কাজ করছে এই দেশটাকে গড়ার জন্য৷ রাজনীতিবিদেরা দেশ সচল করার বদলে অচল করার চেষ্টায় মত্ত৷ চিন্তা করুন তো, যদি ৩২ কোটি হাত একসঙ্গে কাজ করে, উন্নতি ঠেকায় কে? অরুণ দত্ত: এখানে সব গল্পই চলে৷ মূল কথা হলো, সাধারণ মানুষ জিডিপি দেখে ভোট দেয় না; বরং সামগ্রিক পরিস্থিতির একটা দৃশ্যমান ছবিকে কেন্দ্র করেই ভোট দিয়ে থাকে৷ আবছার: তার মানে হরতাল-অবরোধকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষমতায় গেলে যাতে অবাধে হরতাল করা যায়, সেই পথটা পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে৷ বাহ, ভালোই তো! স্বপন খান: আবার হরতাল-অবরোধ শুরু হলে সবকিছুতেই ধস নেমে আসবে৷ মাহমুদ হাসান: খবরটা নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়৷ কারণ দীর্ঘ মেয়াদে হরতাল-অবরোধে দেশের আর্থিক ক্ষতি হবে—এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু হিসাবে ঘটল উল্টো৷ হরতাল-অবরোধে গাড়ি চলেনি অর্থাৎ জ্বালানি পোড়েনি, বেঁচে গেছে। মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি, কেনাকাটা কম করেছে দোকানিকে মাল আমদানি করতে হয়নি, ঘরের টাকা ঘরেই থেকে গেছে৷ এভাবে বিভিন্নভাবে আমরা কৃচ্ছ্রসাধন করেছি৷ ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে—প্রবৃদ্ধি কমেনি বরং বেড়েছে৷ এটাই মনে হয় আমাদের বর্তমান বাস্তবতা! অনুমান করে বললাম৷
No comments