বাংলাদেশি খাবার ও পোশাকের উৎসব by মাসুদুর রহমান
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে সম্প্রতি (২৭ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় বাংলাদেশি খাবার ও পোশাক উৎসব। কাউয়ানডিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ উৎসব বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার ও পোশাকের সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের পরিচিতি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করাই ছিল এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
উৎসবে ছিল নানা ধরনের ২২টি খাবার ও পোশাক স্টল। পাশাপাশি পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরা অনুষ্ঠানে নাচ-গান পরিবেশন করেন।
টেস্ট দ্য ফ্লেবার অব বাংলাদেশ স্লোগানে এ উৎসব আয়োজন করে অবাক (অ্যাডিলেড-বাংলাদেশি কালচারাল ক্লাব)। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদেরই সামাজিক সংগঠন অবাক। স্থানীয় লোকজনের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেই তারা এ উৎসবের আয়োজন করে।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা, শিশু উন্নয়ন ও বহুসংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী জেনিফার র্যানকিন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে গৃহায়ণ, নগর উন্নয়ন, যোগাযোগ, অবকাঠামো ও খনিজসম্পদমন্ত্রী টম কাউটসানতোনিস এমপি, হিন্ডমার্শের ফেডারেল সদস্য ম্যাট উইলিয়ামস এমপি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতি ও জাতিগতবিষয়ক কমিশনের (SAMEAC) সদস্য জোসেপ মাসিকা ওএম, পার্লামেন্টের স্পিকার মিখায়েল অ্যাটকিনসন এমপি এবং ওয়েস্ট টরেন্স শহরের মেয়র জন ট্রেইনার উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। তাঁদের কেউ কেউ দলীয় সংগীতেও অংশ নেন। প্রধান অতিথি জেনিফার র্যানকিন এমপি বাংলাদেশি সালোয়ার-কামিজ এবং বিশেষ অতিথি স্পিকার মাইকেল অ্যাটকিনসন বাংলাদেশের পাঞ্জাবি পরেন। অতিথি সবাই মেহেদির রং লাগান।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা, শিশু উন্নয়ন ও বহুসংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী জেনিফার র্যানকিন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে গৃহায়ণ, নগর উন্নয়ন, যোগাযোগ, অবকাঠামো ও খনিজসম্পদমন্ত্রী টম কাউটসানতোনিস এমপি, হিন্ডমার্শের ফেডারেল সদস্য ম্যাট উইলিয়ামস এমপি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতি ও জাতিগতবিষয়ক কমিশনের (SAMEAC) সদস্য জোসেপ মাসিকা ওএম, পার্লামেন্টের স্পিকার মিখায়েল অ্যাটকিনসন এমপি এবং ওয়েস্ট টরেন্স শহরের মেয়র জন ট্রেইনার উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। তাঁদের কেউ কেউ দলীয় সংগীতেও অংশ নেন। প্রধান অতিথি জেনিফার র্যানকিন এমপি বাংলাদেশি সালোয়ার-কামিজ এবং বিশেষ অতিথি স্পিকার মাইকেল অ্যাটকিনসন বাংলাদেশের পাঞ্জাবি পরেন। অতিথি সবাই মেহেদির রং লাগান।
স্থানীয় ও অন্যান্য দেশের প্রায় দেড় হাজার দর্শক উৎসবে যোগ দেন।
তাঁরা বাংলাদেশি খাবার খেয়ে এবং পোশাক কেনার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে ছিল পিঠা, হালিম, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি, বিরিয়ানি, আমের লাচ্ছি, ফালুদা, বোরহানি, দইবড়া, জিলাপি, শিঙাড়া, সমুচা ইত্যাদি। পোশাক ও হস্তশিল্পের মধ্যে ছিল সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, শাড়ি, নকশিকাঁথা, শোপিস, গয়না ইত্যাদি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রুদ্র শোভন ও বেদোয়ারা হক অমন গান এবং ইশতি, সৃষ্টি, লুবাবা, অরিত্রি প্রমুখ নাচ পরিবেশন করেন। তাঁদের পরিবেশনা শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়ায়। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, অ্যাডিলেডে এই প্রথমবারের মতো তাঁরা এত সুন্দর অনুষ্ঠান দেখলেন। অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ উৎসবকে অ্যাডিলেডে ছোট্ট এক বাংলাদেশ বলে অভিহিত করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রুদ্র শোভন ও বেদোয়ারা হক অমন গান এবং ইশতি, সৃষ্টি, লুবাবা, অরিত্রি প্রমুখ নাচ পরিবেশন করেন। তাঁদের পরিবেশনা শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়ায়। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, অ্যাডিলেডে এই প্রথমবারের মতো তাঁরা এত সুন্দর অনুষ্ঠান দেখলেন। অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ উৎসবকে অ্যাডিলেডে ছোট্ট এক বাংলাদেশ বলে অভিহিত করেন।
অবাক প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, পয়লা বৈশাখসহ বাংলাদেশের বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।
মাসুদুর রহমান
অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া
No comments