ম্যাচ জেতাবে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে!
কেউ বলছে পেস আক্রমণ, কেউ বা স্পিন। কারও মতে, দলটার ব্যালান্স অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়। পাকিস্তান কেন এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে বিপজ্জনক দল, এমন নানা ব্যাখ্যা। কিন্তু দলটির সাম্প্রতিক জয়গুলো ঘাঁটলেই চোখে পড়বে সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটিং পাওয়ার প্লের পাকিস্তান!
ছয়ে উমর আকমল, সাতে শহীদ আফ্রিদি, আটে আবদুল রাজ্জাক—খানিকটা ঝুঁকি নিয়ে বলে ফেলা যায় ওয়ানডে ইতিহাসেরই সবচেয়ে ভয়ংকর লোয়ার মিডল অর্ডার! শেষ এখানেই নয়, ব্যাটের হাতটা মন্দ নয় উমর গুল, ওয়াহাব রিয়াজ, আবদুর রেহমানদেরও। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে চালু হওয়ার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ দলই পাওয়ার প্লের শুরুতেই একটা-দুটো উইকেট খুইয়ে পথ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এমন গভীরতার জন্যই একটি-দুটি উইকেট হারানো পাকিস্তানকে খুব বেশি ঝামেলায় ফেলে না। প্রায় সব দলই যেখানে ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খাবি খাচ্ছে, পাকিস্তান ব্যবধান গড়ে তুলছে এখানেই! প্রথম ম্যাচের কথাই ভাবুন না, পাকিস্তান তিন শ ছাড়াল তো ওই পাওয়ার প্লের ৫ ওভারে ৬০ রান হওয়াতেই! নিকট অতীতে পাকিস্তানের এই পাওয়ার প্লে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডও।
কুমার সাঙ্গাকারা সবই জানেন। প্রেমাদাসায় আজ ম্যাচের নিয়ন্তা হতে পারে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে, এটাও মানছেন। তবে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক যেমন আপাদমস্তক ‘স্মার্ট’ ক্রিকেটার, তাঁর জবাবটাও হলো তেমনই, ‘আমরা জানি, পাকিস্তান ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বিপজ্জনক, পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলার মজাটাই এখানে। বিপদের হাত ধরেই তো আসে শঙ্কা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ওদের ব্যাটিং যেমন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তেমনি এই সময় আমরা ভালো বোলিং করলেও ম্যাচ আমাদের দিকে হেলে পড়বে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ, আর আমরা চালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি।’
এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে সাঙ্গাকারার মূল হাতিয়ার হতে পারেন লাসিথ মালিঙ্গা। গতি, অ্যাকশন আর রিভার্স সুইং মিলিয়ে শেষের ওভারগুলোতে বিশ্বের অন্যতম সেরা মালিঙ্গা। কিন্তু হালকা চোটের কারণে তাঁকে প্রথম ম্যাচে খেলায়নি শ্রীলঙ্কা। তবে কাল অনুশীলনে পুরো রানআপেই বোলিং করেছেন, কে জানে চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে হয়তো আজই নিজের মূল অস্ত্রকে মাঠে নামিয়ে দেবেন সাঙ্গাকারা।
সাঙ্গাকারাকে চ্যালেঞ্জে জেতাতে পারেন আরেকজনও। ক্যারিয়ার-জুড়েই যিনি ছিলেন সব অধিনায়কের সবচেয়ে বড় ভরসা—মুত্তিয়া মুরালিধরন। কিন্তু বয়স আর প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কিছুটা নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স মিলিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি স্পিন জাদুকর। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যে দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন (৯৫টি), সেই দলের কোচ ওয়াকার ইউনুস যেমন মুরালি-শঙ্কা স্রেফ উড়িয়ে দিলেন, ‘মুরালিকে আমরা সব সময়ই ভালো খেলেছি, ওকে নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। তা ছাড়া ওর বয়স তো এখন ২৮ নয়। ওর জন্য কিন্তু কাজটা সহজ হবে না!’
কথাগুলো মুরালির কানে গেছে কি না, কে জানে। ক্যারিয়ারে প্রায় সব পাওয়ার পর যদি খানিকটা আয়েশি ভাব চলেও আসে, এই মন্তব্য মুরালিকে তাতিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
মুরালির বোলিং, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে এমন লড়াইয়ের ভেতর অনেক লড়াইয়ের মঞ্চ তাই প্রস্তুত।
ছয়ে উমর আকমল, সাতে শহীদ আফ্রিদি, আটে আবদুল রাজ্জাক—খানিকটা ঝুঁকি নিয়ে বলে ফেলা যায় ওয়ানডে ইতিহাসেরই সবচেয়ে ভয়ংকর লোয়ার মিডল অর্ডার! শেষ এখানেই নয়, ব্যাটের হাতটা মন্দ নয় উমর গুল, ওয়াহাব রিয়াজ, আবদুর রেহমানদেরও। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে চালু হওয়ার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ দলই পাওয়ার প্লের শুরুতেই একটা-দুটো উইকেট খুইয়ে পথ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এমন গভীরতার জন্যই একটি-দুটি উইকেট হারানো পাকিস্তানকে খুব বেশি ঝামেলায় ফেলে না। প্রায় সব দলই যেখানে ব্যাটিং পাওয়ার প্লের সঙ্গে মানিয়ে নিতে খাবি খাচ্ছে, পাকিস্তান ব্যবধান গড়ে তুলছে এখানেই! প্রথম ম্যাচের কথাই ভাবুন না, পাকিস্তান তিন শ ছাড়াল তো ওই পাওয়ার প্লের ৫ ওভারে ৬০ রান হওয়াতেই! নিকট অতীতে পাকিস্তানের এই পাওয়ার প্লে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডও।
কুমার সাঙ্গাকারা সবই জানেন। প্রেমাদাসায় আজ ম্যাচের নিয়ন্তা হতে পারে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে, এটাও মানছেন। তবে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক যেমন আপাদমস্তক ‘স্মার্ট’ ক্রিকেটার, তাঁর জবাবটাও হলো তেমনই, ‘আমরা জানি, পাকিস্তান ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বিপজ্জনক, পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে খেলার মজাটাই এখানে। বিপদের হাত ধরেই তো আসে শঙ্কা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ওদের ব্যাটিং যেমন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তেমনি এই সময় আমরা ভালো বোলিং করলেও ম্যাচ আমাদের দিকে হেলে পড়বে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ, আর আমরা চালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি।’
এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে সাঙ্গাকারার মূল হাতিয়ার হতে পারেন লাসিথ মালিঙ্গা। গতি, অ্যাকশন আর রিভার্স সুইং মিলিয়ে শেষের ওভারগুলোতে বিশ্বের অন্যতম সেরা মালিঙ্গা। কিন্তু হালকা চোটের কারণে তাঁকে প্রথম ম্যাচে খেলায়নি শ্রীলঙ্কা। তবে কাল অনুশীলনে পুরো রানআপেই বোলিং করেছেন, কে জানে চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে হয়তো আজই নিজের মূল অস্ত্রকে মাঠে নামিয়ে দেবেন সাঙ্গাকারা।
সাঙ্গাকারাকে চ্যালেঞ্জে জেতাতে পারেন আরেকজনও। ক্যারিয়ার-জুড়েই যিনি ছিলেন সব অধিনায়কের সবচেয়ে বড় ভরসা—মুত্তিয়া মুরালিধরন। কিন্তু বয়স আর প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কিছুটা নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স মিলিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি স্পিন জাদুকর। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যে দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন (৯৫টি), সেই দলের কোচ ওয়াকার ইউনুস যেমন মুরালি-শঙ্কা স্রেফ উড়িয়ে দিলেন, ‘মুরালিকে আমরা সব সময়ই ভালো খেলেছি, ওকে নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। তা ছাড়া ওর বয়স তো এখন ২৮ নয়। ওর জন্য কিন্তু কাজটা সহজ হবে না!’
কথাগুলো মুরালির কানে গেছে কি না, কে জানে। ক্যারিয়ারে প্রায় সব পাওয়ার পর যদি খানিকটা আয়েশি ভাব চলেও আসে, এই মন্তব্য মুরালিকে তাতিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
মুরালির বোলিং, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে এমন লড়াইয়ের ভেতর অনেক লড়াইয়ের মঞ্চ তাই প্রস্তুত।
No comments