পন্টিংদের হাতে আগেই একটা ট্রফি
দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার টানা চতুর্থ আর অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না, পরের প্রশ্ন। সেটি পূরণ হোক আর না হোক, বিশ্বকাপ-যাত্রার দ্বিতীয় ম্যাচেই একটা ট্রফি পেয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া!
ব্যস্ত সূচির কারণে এবার চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ হচ্ছে না। তাই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড দুই পক্ষ মিলে নাগপুরের বিশ্বকাপ ম্যাচটিকেই ঘোষণা করে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ম্যাচ।
কাল নাগপুরের ম্যাচটি ছিল আবেগ ও শোকেরও। ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দুই দলের ক্রিকেটাররাই মাঠে নামেন কালো ব্যাজ পরে। চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের স্বাদ, স্বজন হারানোর শোক—কোনোটাই ভেট্টোরির দলের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেনি।
বলে-ব্যাটে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতল ৭ উইকেটে। প্রথমবারের মতো তাসমান অঞ্চলের বাইরে থেকে জিতল চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি। বিশ্বকাপে টানা জয়ের হিসাবটাকে টেনে তুলল ২৫-এ।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেই লি-টেইট-জনসন ত্রয়ী বুঝিয়েছেন, কেন পেস বোলিংয়ের ওপর অস্ট্রেলিয়ার এত আস্থা। কাল বুঝিয়ে দিলেন আরও বেশি করে। টস জিতে পন্টিংয়ের বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে নিউজিল্যান্ডকে শেষ করলেন ২০৬ রানে। উইকেট শিকারে যথারীতি নেতৃত্ব দিলেন বাঁহাতি পেসার মিচেল জনসন। কালও নিলেন ৪ উইকেট, টেইট ৩ উইকেট, লি-ওয়াটসন ১টি করে।
জিম্বাবুয়ে ম্যাচে জনসনকে হারিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন ওয়াটসন। কাল সেই ওয়াটসনকে হারিয়েই ম্যাচ-সেরা জনসন। ১ উইকেট পেয়েছেন, সঙ্গে আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি।
ব্রেট লির করা ইনিংসের প্রথম ওভারে রান পেলেন না। পরের ১২ বলেও মার্টিন গাপটিল রানবিহীন, ১৮ বলে ০। ধারাভাষ্য কক্ষে তখন সুনীল গাভাস্কার আর ম্যাথু হেইডেন প্রসঙ্গ।
১৯৭৫-এ প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পুরো ৬০ ওভার ব্যাটিং করে গাভাস্কার ১৭৪ বল খেলে অপরাজিত থেকে যান ৩৬ রানে! গাপটিল গাভাস্কারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসলেন না তো? ২০০৭ চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৮১ রান করেন হেইডেন। অথচ প্রথম ১৮ বলে করেছিলেন শূন্য। হেইডেনের মতো গাপটিলও কি স্মরণীয় ইনিংসের প্রস্তুতিই নিচ্ছেন?
গাভাস্কার-হেইডেন কাউকেই অনুসরণ করা হয়নি গাপটিলের। ২৫ বলে ১০ রান করে আউট। গাপটিল যেন পুরো দলেরই প্রতীক!
ও পাশে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম শুরু করেন ঝোড়ো গতিতে। তবে সেই দৌড় থামিয়ে দিয়েছেন টেইট। গাপটিল রানের খাতা খোলার আগেই ম্যাককালাম (১২ বলে ১৬) আউট। গাপটিলকে ফেরান ওয়াটসন। পরে জনসন-তোপে ৭৩ রানেই ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। নাথান ম্যাককালাম আর অধিনায়ক ভেট্টোরির কল্যাণে নিউজিল্যান্ড ২০০ পেরোয়। নাথান করেন বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি (৫২), ভেট্টোরি ৪৪।
লক্ষ্য ২০৭। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা কোনো বিষয়! ৩৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে সেটি তারা বুঝিয়েছেও। ওয়াটসন-হাডিন উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ১৩৩ রান। দুজনেই করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। হাডিনের (৫৫) এটা বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি, ওয়াটসনের (৬২) তৃতীয়। পন্টিং ফিরে যান ১২ রানে। বাকি কাজটুকু হেলেদুলেই শেষ করেছেন মাইকেল ক্লার্ক (২৪*) আর ক্যামেরন হোয়াইট (২২*)।
ব্যস্ত সূচির কারণে এবার চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ হচ্ছে না। তাই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড দুই পক্ষ মিলে নাগপুরের বিশ্বকাপ ম্যাচটিকেই ঘোষণা করে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ম্যাচ।
কাল নাগপুরের ম্যাচটি ছিল আবেগ ও শোকেরও। ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দুই দলের ক্রিকেটাররাই মাঠে নামেন কালো ব্যাজ পরে। চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের স্বাদ, স্বজন হারানোর শোক—কোনোটাই ভেট্টোরির দলের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেনি।
বলে-ব্যাটে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতল ৭ উইকেটে। প্রথমবারের মতো তাসমান অঞ্চলের বাইরে থেকে জিতল চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি। বিশ্বকাপে টানা জয়ের হিসাবটাকে টেনে তুলল ২৫-এ।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেই লি-টেইট-জনসন ত্রয়ী বুঝিয়েছেন, কেন পেস বোলিংয়ের ওপর অস্ট্রেলিয়ার এত আস্থা। কাল বুঝিয়ে দিলেন আরও বেশি করে। টস জিতে পন্টিংয়ের বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে নিউজিল্যান্ডকে শেষ করলেন ২০৬ রানে। উইকেট শিকারে যথারীতি নেতৃত্ব দিলেন বাঁহাতি পেসার মিচেল জনসন। কালও নিলেন ৪ উইকেট, টেইট ৩ উইকেট, লি-ওয়াটসন ১টি করে।
জিম্বাবুয়ে ম্যাচে জনসনকে হারিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন ওয়াটসন। কাল সেই ওয়াটসনকে হারিয়েই ম্যাচ-সেরা জনসন। ১ উইকেট পেয়েছেন, সঙ্গে আরেকটি হাফ সেঞ্চুরি।
ব্রেট লির করা ইনিংসের প্রথম ওভারে রান পেলেন না। পরের ১২ বলেও মার্টিন গাপটিল রানবিহীন, ১৮ বলে ০। ধারাভাষ্য কক্ষে তখন সুনীল গাভাস্কার আর ম্যাথু হেইডেন প্রসঙ্গ।
১৯৭৫-এ প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পুরো ৬০ ওভার ব্যাটিং করে গাভাস্কার ১৭৪ বল খেলে অপরাজিত থেকে যান ৩৬ রানে! গাপটিল গাভাস্কারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসলেন না তো? ২০০৭ চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৮১ রান করেন হেইডেন। অথচ প্রথম ১৮ বলে করেছিলেন শূন্য। হেইডেনের মতো গাপটিলও কি স্মরণীয় ইনিংসের প্রস্তুতিই নিচ্ছেন?
গাভাস্কার-হেইডেন কাউকেই অনুসরণ করা হয়নি গাপটিলের। ২৫ বলে ১০ রান করে আউট। গাপটিল যেন পুরো দলেরই প্রতীক!
ও পাশে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম শুরু করেন ঝোড়ো গতিতে। তবে সেই দৌড় থামিয়ে দিয়েছেন টেইট। গাপটিল রানের খাতা খোলার আগেই ম্যাককালাম (১২ বলে ১৬) আউট। গাপটিলকে ফেরান ওয়াটসন। পরে জনসন-তোপে ৭৩ রানেই ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। নাথান ম্যাককালাম আর অধিনায়ক ভেট্টোরির কল্যাণে নিউজিল্যান্ড ২০০ পেরোয়। নাথান করেন বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি (৫২), ভেট্টোরি ৪৪।
লক্ষ্য ২০৭। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা কোনো বিষয়! ৩৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে সেটি তারা বুঝিয়েছেও। ওয়াটসন-হাডিন উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ১৩৩ রান। দুজনেই করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। হাডিনের (৫৫) এটা বিশ্বকাপে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি, ওয়াটসনের (৬২) তৃতীয়। পন্টিং ফিরে যান ১২ রানে। বাকি কাজটুকু হেলেদুলেই শেষ করেছেন মাইকেল ক্লার্ক (২৪*) আর ক্যামেরন হোয়াইট (২২*)।
No comments