রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওবামার ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তাঁর দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং তা নেওয়া হবে’। মার্কিন গোয়েন্দারা হ্যাকিংয়ের জন্য সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করার পর ওবামা এমন হুঁশিয়ারি দেন। তবে ওবামার হুঁশিয়ারির জবাবে পুতিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন ‘প্রমাণহীন’ এই অভিযোগ ‘খুবই নোংরা’। গত বুধবার মার্কিন টেলিভিশন এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই পুতিন হিলারির সহযোগীর ই-মেইল হ্যাক করেন। হোয়াইট হাউসও ওই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় পুতিনের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে। এ বিষয়ে ওবামা বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন, যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ওবামা বলেন, ‘মি. পুতিন আমার মনের অবস্থা বুঝতে পারবেন কারণ এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়েছে।’ ওবামা বলেন, হ্যাকিং সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে, কিছু গোপন রাখা হতে পারে।
কথিত হ্যাকিংয়ে পুতিনকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করেছে, ক্রেমলিন গতকাল শুক্রবার তার কঠোর নিন্দা করেছে। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ জাপানে সফরকালে সাংবাদিকদের বলেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) এ বিষয়ে কথাবার্তা বন্ধ করা উচিত অথবা কোনো ধরনের প্রমাণ থাকলে সেটা দেখানো উচিত। অন্যথায় এমন অভিযোগ খুবই নোংরা দেখায়। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামার মন্তব্যে বিশ্বের শীর্ষ দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে বিরোধ নতুন করে চরমে পৌঁছেছে। এনবিসি নিউজ জানায়, কীভাবে ডেমোক্র্যাটদের তথ্য হ্যাক করা হবে এবং তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে পুতিন নিজেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। হ্যাকিং নিয়ে নতুন এ পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে তাঁরা অনেকটাই নিশ্চিত এবং এ নিয়ে তাঁদের ‘যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস’ আছে। এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছিল, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুকূলে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ই-মেইল হ্যাক করেছিল। প্রেসিডেন্ট ওবামার শীর্ষস্থানীয় পরামর্শক বেন রোডস বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি মনে করি না রাশিয়ার সরকার পুতিনের অগোচরে এমন কিছু করেছে।’
No comments