বলছেন অধিনায়ক মেসি
ডিয়েগো ম্যারাডোনাই যেন ফিরলেন। না, সশরীরে ম্যারাডোনার প্রত্যাবর্তন হয়নি। তবে আলেজান্দ্রো সাবেলা তাঁর প্রথম ম্যাচে যে দর্শনে খেলিয়েছেন আর্জেন্টিনা দলকে, সেটা ম্যারাডোনারই দর্শন। খোদ লিওনেল মেসি নতুন কোচের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দায়িত্ব পালন করা ম্যারাডোনার।
জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের পর আর্জেন্টাইন সাংবাদিকদের মেসি বলেছেন, ‘সাবেলা মনে করে, আমি সেই পজিশনেই খেলে ভালো করব যে পজিশন আমার পছন্দ। এদিক দিয়ে দেখলে তাঁর চিন্তাভাবনা ডিয়েগোর মতোই। তিনিও মনে করেন, একজন খেলোয়াড়ের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনার এটাই সেরা উপায়। খেলোয়াড়দের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ায় তিনি বিশ্বাস করেন না।’
দলকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আগেও, গ্রিসের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপের ম্যাচে। এবার মেসিকে পূর্ণকালীন অধিনায়কের দায়িত্বই দিয়ে দিলেন সাবেলা। বার্সেলোনার এই তারকাও জানালেন, অধিনায়কের দায়িত্বটা তিনিও চাইছিলেন মনে মনে। বয়স মাত্র ২৪ বছর হলেও ফুটবল-উন্মাদ একটা দেশের অধিনায়কের ভার নিতে তিনি প্রস্তুত। এটাকে চাপ বলেও মনে করছেন না। বরং বলেছেন, ‘প্রথম দিকে এই অনুভূতিটা বিশেষ কিছু মনে হচ্ছিল। কিন্তু মাঠে পা দেওয়ার পর এটা আর মাথায়ই থাকেনি।’
তা এই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা কেমন দেখছেন তিনি? ‘অধিনায়ক হতে গেলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু জিনিস থাকতে হবে। তবে সবার আগে যেটা পেতে হবে, তা হলো সতীর্থদের সম্মান। আমি আমার দলের কাছ থেকে সেটা পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
হাভিয়ের মাচেরানোর হাত থেকে নেতৃত্বের হাতবদল হয়েছে। মাচেরানো তাঁর বার্সা-সতীর্থও। তবে মেসি জানালেন, নেতৃত্ব হারিয়ে মাচেরানো মোটেও অসন্তুষ্ট নন। বরং মাচেরানোই প্রথম এই দায়িত্বটা নিতে তাঁকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, ‘আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব যখন এল, হাভিয়েরই আমাকে বলল দায়িত্বটা লুফে নিতে। অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরা বিরাট একটা ব্যাপার। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত।’
অধিনায়ক হিসেবে নিজের চিন্তাভাবনার কথাও বেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মেসি। বললেন, বারবার কোচ পাল্টানো দলের জন্য শুভ নয়, ‘বারবার কোচ পাল্টালে আমরা সাফল্য পাব না। সাবেলাকে দীর্ঘ সময়ের জন্যই রাখতে হবে আমাদের। তাঁর নির্দেশনায় এই দল অনেক উঁচুতে উঠতে পারবে।’ হুয়ান রোমান রিকেলমেকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সাবেলা। এই উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছেন মেসি, ‘রিকেলমে তো খুবই ভালো খেলোয়াড়। ওর মতো খেলোয়াড় দরকার আমাদের। আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে ওর খেলাটা খুব মেলে। মাঝমাঠ থেকে ও আমাদের খেলাটা বানিয়ে দিতে পারবে। আক্রমণভাগের সঙ্গে মাঝমাঠের যোগসূত্র তৈরি করে দিতে পারে এমন একজন খেলোয়াড় আমাদের দরকার।’
আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনও ফিরছেন। ভেরন অবশ্য খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ফিরছেন ম্যানেজারের ভূমিকায়। এতে দলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন মেসি, ‘ভেরনের সঙ্গে আমার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। এই দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেও তা-ই।’
‘বার্সার মেসি’ কেন ‘আর্জেন্টিনার মেসি’ হয়ে উঠতে পারেন না, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে তাঁরও। মেসিই বললেন, ‘বার্সার হয়ে অনেক সময় এমনও হয়েছে, না চাইতেও গোল করেছি। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার সময় সেটা হয় না। তবে আমি মাথা ঠান্ডা রাখছি। গোল অবশ্যই আসবে।’
তাঁকে নিয়ে ভারতের দর্শকদের উন্মাদনায় মুগ্ধ মেসি। এবার অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের দর্শকদের কাছ থেকে মুগ্ধতা পেতে, মুগ্ধ করতে।
জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের পর আর্জেন্টাইন সাংবাদিকদের মেসি বলেছেন, ‘সাবেলা মনে করে, আমি সেই পজিশনেই খেলে ভালো করব যে পজিশন আমার পছন্দ। এদিক দিয়ে দেখলে তাঁর চিন্তাভাবনা ডিয়েগোর মতোই। তিনিও মনে করেন, একজন খেলোয়াড়ের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনার এটাই সেরা উপায়। খেলোয়াড়দের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ায় তিনি বিশ্বাস করেন না।’
দলকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আগেও, গ্রিসের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপের ম্যাচে। এবার মেসিকে পূর্ণকালীন অধিনায়কের দায়িত্বই দিয়ে দিলেন সাবেলা। বার্সেলোনার এই তারকাও জানালেন, অধিনায়কের দায়িত্বটা তিনিও চাইছিলেন মনে মনে। বয়স মাত্র ২৪ বছর হলেও ফুটবল-উন্মাদ একটা দেশের অধিনায়কের ভার নিতে তিনি প্রস্তুত। এটাকে চাপ বলেও মনে করছেন না। বরং বলেছেন, ‘প্রথম দিকে এই অনুভূতিটা বিশেষ কিছু মনে হচ্ছিল। কিন্তু মাঠে পা দেওয়ার পর এটা আর মাথায়ই থাকেনি।’
তা এই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা কেমন দেখছেন তিনি? ‘অধিনায়ক হতে গেলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু জিনিস থাকতে হবে। তবে সবার আগে যেটা পেতে হবে, তা হলো সতীর্থদের সম্মান। আমি আমার দলের কাছ থেকে সেটা পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
হাভিয়ের মাচেরানোর হাত থেকে নেতৃত্বের হাতবদল হয়েছে। মাচেরানো তাঁর বার্সা-সতীর্থও। তবে মেসি জানালেন, নেতৃত্ব হারিয়ে মাচেরানো মোটেও অসন্তুষ্ট নন। বরং মাচেরানোই প্রথম এই দায়িত্বটা নিতে তাঁকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, ‘আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব যখন এল, হাভিয়েরই আমাকে বলল দায়িত্বটা লুফে নিতে। অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরা বিরাট একটা ব্যাপার। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরে আমি গর্বিত।’
অধিনায়ক হিসেবে নিজের চিন্তাভাবনার কথাও বেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মেসি। বললেন, বারবার কোচ পাল্টানো দলের জন্য শুভ নয়, ‘বারবার কোচ পাল্টালে আমরা সাফল্য পাব না। সাবেলাকে দীর্ঘ সময়ের জন্যই রাখতে হবে আমাদের। তাঁর নির্দেশনায় এই দল অনেক উঁচুতে উঠতে পারবে।’ হুয়ান রোমান রিকেলমেকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সাবেলা। এই উদ্যোগকেও স্বাগত জানিয়েছেন মেসি, ‘রিকেলমে তো খুবই ভালো খেলোয়াড়। ওর মতো খেলোয়াড় দরকার আমাদের। আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে ওর খেলাটা খুব মেলে। মাঝমাঠ থেকে ও আমাদের খেলাটা বানিয়ে দিতে পারবে। আক্রমণভাগের সঙ্গে মাঝমাঠের যোগসূত্র তৈরি করে দিতে পারে এমন একজন খেলোয়াড় আমাদের দরকার।’
আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনও ফিরছেন। ভেরন অবশ্য খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ফিরছেন ম্যানেজারের ভূমিকায়। এতে দলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন মেসি, ‘ভেরনের সঙ্গে আমার বন্ধুর মতো সম্পর্ক। এই দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেও তা-ই।’
‘বার্সার মেসি’ কেন ‘আর্জেন্টিনার মেসি’ হয়ে উঠতে পারেন না, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে তাঁরও। মেসিই বললেন, ‘বার্সার হয়ে অনেক সময় এমনও হয়েছে, না চাইতেও গোল করেছি। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার সময় সেটা হয় না। তবে আমি মাথা ঠান্ডা রাখছি। গোল অবশ্যই আসবে।’
তাঁকে নিয়ে ভারতের দর্শকদের উন্মাদনায় মুগ্ধ মেসি। এবার অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের দর্শকদের কাছ থেকে মুগ্ধতা পেতে, মুগ্ধ করতে।
No comments