রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি by আল-নাহিয়ান
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এ চিঠি
লেখা আমার জন্য খুবই দুঃসাহসী একটি কাজ। কারণ যাদের নিয়ে লিখছি, আমার
পরীক্ষার নম্বর নির্ভর করছে তাদের ওপর। তারপরও দিনের পর দিন আমাদের
পিতৃতুল্য শিক্ষকদের আন্দোলনের জন্য যেখানে ক্লাস-পরীক্ষাই হচ্ছে না,
সেখানে নম্বর নিয়ে চিন্তা করে কী লাভ? আগে তো পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা হোক!
মাননীয় রাষ্ট্রপতি, এই চিঠির মাধ্যমে আমি উপাচার্য স্যারের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিতে চাই না। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার মতো হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও আমাদের অভিভাবকদের কথা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমাদের দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হয়েছিল। বলতে চাই তাদের কথা, যারা লাখো শিক্ষার্থীর ভিড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষক কিংবা উপাচার্য স্যার কেউই ভাবছেন না তাদের নিয়ে। আগে জানতাম শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয় ছাত্রদের পড়ানোর জন্য। স্কুল-কলেজে তা-ই দেখে এসেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সেই ধারণায় আমূল পরিবর্তন হল। বিশ্ববিদ্যালয় (শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয়) এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে শুধু শিক্ষকদের অধিকার আর দাবি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন শিক্ষকরা। যাই হোক, আমাদের ক্যাম্পাসে বর্তমানে উপাচার্য স্যার অবরুদ্ধ আছেন। ফলে এখন ক্লাস-পরীক্ষার তেমন একটা বালাই নেই। কিন্তু উপাচার্য অবরুদ্ধ হওয়ার চারদিন অতিবাহিত হলেও সরকারকে এখনও পর্যন্ত ফলপ্রসূ কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন স্যার উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিগত প্রায় দেড় বছরে এখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে মোটে চার থেকে পাঁচ মাস। নিজের ব্যর্থতার জন্যই হোক অথবা উপাচার্যকে শিক্ষকরা সহযোগিতা না করার জন্যই হোক, অনেক চেষ্টা করেও উপাচার্য মহোদয় শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেননি।
বর্তমান উপাচার্যকে সরাতে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের প্রায় ৩৭০ জন শিক্ষক কর্মবিরতি আর ধর্মঘট পালনের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছেন না। অপরদিকে শিক্ষক মঞ্চের ব্যানারে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষক উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছেন, কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। না উপাচার্য পদত্যাগ করছেন, না আমাদের ক্লাস হচ্ছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আমাদের শিক্ষকরা আন্দোলনের ১৮টি কারণ দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু আমরা মনে করি এগুলো কোনোটিই প্রকৃত কারণ নয়। আন্দোলনের প্রথম কারণ বর্তমান উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন। দ্বিতীয়ত, তিনি সব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দেন, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি আছে যার ফলে এখানকার শিক্ষকরা বিষয়টি প্রথম থেকেই ভালো চোখে দেখেন না। এছাড়া উপাচার্য নিজেও অনেকবার অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে এবং যখন-তখন যাকে-তাকে এমনকি আওয়ামীপন্থী একজন প্রভাবশালী শিক্ষককে শিবির বলার মাধ্যমে বারবার শিক্ষকদের তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ছাত্রদের হলে ঢুকে পুলিশের গুলি চালানো, মৃত এক শিক্ষার্থীকে শিবির বলা, অপরাধ ভালোভাবে না শুনেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করার কথা দেয়া এবং চাপের মুখে তা প্রত্যাহার করাসহ একজন পত্রিকার হকারের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে এই উপাচার্যের আমলেই। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত উপাচর্যের পদত্যাগের দাবি উঠেছে তিনবার। এর মধ্যে একবার তিনি পদত্যাগও করেছিলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তন না হলে এ ধরনের জটিলতা চলতেই থাকবে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের পছন্দমতো উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। শিক্ষক নিয়োগেও দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এতে একদিকে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক থেকে বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা, যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার মানে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি এখন দল থেকে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিভক্ত শিক্ষক রাজনীতির কারণে মারাÍকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকদের এ আচরণে কলুষিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো অঘটনের দায় শেষ পর্যন্ত সরকারের ওপরই বর্তায়। সরকারকে এটা অনুধাবন করতে হবে। স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের যে পদ্ধতি, তার থেকে অনেক নিুমানের পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন আপনারা। উপাচার্য নির্বাচনে যিনি প্রথম হবেন, তাকে বাদ দিয়ে যদি দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় কাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হয় তবে কেন এই নির্বাচন, সেটাই আমার বোধগম্য নয়। আর ৭৩-এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তা যেন স্বেচ্ছাচারিতায় রূপ না নেয় সে জন্য আইনটিতে কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা সবাই বলি। সেই পরিবর্তন আনা সম্ভব না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের মুখ আমরা কোনোদিন দেখব না, যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে তরুণ প্রজন্ম বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত করেছিল। যে তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, আজ তারা আপনার কাছে তাদের মূল্যবান শিক্ষাজীবন আর বাবা মায়ের দেখানো স্বপ্ন ভিক্ষা চাইছে। কে উপাচার্য হলেন অথবা হলেন না, তা নিয়ে কথা বলে আমরা দোষী হতে চাই না। উপাচার্যকে শিক্ষকরা তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখায় আমরাও আমাদের হলের রুমে বন্দি হয়ে গেছি। উপাচার্যকে পদত্যাগ করিয়েই হোক অথবা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরিয়েই হোক- মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনি আমাদের শিক্ষা জীবনকে এ অনিশ্চয়তা থেকে দ্রুত মুক্ত করবেন, আপনার কাছে আমরা এ প্রত্যাশাই করি।
আল-নাহিয়ান : শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
মাননীয় রাষ্ট্রপতি, এই চিঠির মাধ্যমে আমি উপাচার্য স্যারের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিতে চাই না। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার মতো হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও আমাদের অভিভাবকদের কথা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমাদের দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হয়েছিল। বলতে চাই তাদের কথা, যারা লাখো শিক্ষার্থীর ভিড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষক কিংবা উপাচার্য স্যার কেউই ভাবছেন না তাদের নিয়ে। আগে জানতাম শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয় ছাত্রদের পড়ানোর জন্য। স্কুল-কলেজে তা-ই দেখে এসেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সেই ধারণায় আমূল পরিবর্তন হল। বিশ্ববিদ্যালয় (শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয়) এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে শুধু শিক্ষকদের অধিকার আর দাবি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন শিক্ষকরা। যাই হোক, আমাদের ক্যাম্পাসে বর্তমানে উপাচার্য স্যার অবরুদ্ধ আছেন। ফলে এখন ক্লাস-পরীক্ষার তেমন একটা বালাই নেই। কিন্তু উপাচার্য অবরুদ্ধ হওয়ার চারদিন অতিবাহিত হলেও সরকারকে এখনও পর্যন্ত ফলপ্রসূ কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন স্যার উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিগত প্রায় দেড় বছরে এখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে মোটে চার থেকে পাঁচ মাস। নিজের ব্যর্থতার জন্যই হোক অথবা উপাচার্যকে শিক্ষকরা সহযোগিতা না করার জন্যই হোক, অনেক চেষ্টা করেও উপাচার্য মহোদয় শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেননি।
বর্তমান উপাচার্যকে সরাতে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের প্রায় ৩৭০ জন শিক্ষক কর্মবিরতি আর ধর্মঘট পালনের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছেন না। অপরদিকে শিক্ষক মঞ্চের ব্যানারে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষক উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছেন, কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। না উপাচার্য পদত্যাগ করছেন, না আমাদের ক্লাস হচ্ছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আমাদের শিক্ষকরা আন্দোলনের ১৮টি কারণ দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু আমরা মনে করি এগুলো কোনোটিই প্রকৃত কারণ নয়। আন্দোলনের প্রথম কারণ বর্তমান উপাচার্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন। দ্বিতীয়ত, তিনি সব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দেন, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি আছে যার ফলে এখানকার শিক্ষকরা বিষয়টি প্রথম থেকেই ভালো চোখে দেখেন না। এছাড়া উপাচার্য নিজেও অনেকবার অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে এবং যখন-তখন যাকে-তাকে এমনকি আওয়ামীপন্থী একজন প্রভাবশালী শিক্ষককে শিবির বলার মাধ্যমে বারবার শিক্ষকদের তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ছাত্রদের হলে ঢুকে পুলিশের গুলি চালানো, মৃত এক শিক্ষার্থীকে শিবির বলা, অপরাধ ভালোভাবে না শুনেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করার কথা দেয়া এবং চাপের মুখে তা প্রত্যাহার করাসহ একজন পত্রিকার হকারের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে এই উপাচার্যের আমলেই। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত উপাচর্যের পদত্যাগের দাবি উঠেছে তিনবার। এর মধ্যে একবার তিনি পদত্যাগও করেছিলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তন না হলে এ ধরনের জটিলতা চলতেই থাকবে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তারা রাজনৈতিক বিবেচনায় তাদের পছন্দমতো উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। শিক্ষক নিয়োগেও দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এতে একদিকে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক থেকে বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা, যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার মানে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি এখন দল থেকে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিভক্ত শিক্ষক রাজনীতির কারণে মারাÍকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকদের এ আচরণে কলুষিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ। রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো অঘটনের দায় শেষ পর্যন্ত সরকারের ওপরই বর্তায়। সরকারকে এটা অনুধাবন করতে হবে। স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের যে পদ্ধতি, তার থেকে অনেক নিুমানের পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন আপনারা। উপাচার্য নির্বাচনে যিনি প্রথম হবেন, তাকে বাদ দিয়ে যদি দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় কাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হয় তবে কেন এই নির্বাচন, সেটাই আমার বোধগম্য নয়। আর ৭৩-এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তা যেন স্বেচ্ছাচারিতায় রূপ না নেয় সে জন্য আইনটিতে কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা সবাই বলি। সেই পরিবর্তন আনা সম্ভব না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের মুখ আমরা কোনোদিন দেখব না, যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে তরুণ প্রজন্ম বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত করেছিল। যে তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, আজ তারা আপনার কাছে তাদের মূল্যবান শিক্ষাজীবন আর বাবা মায়ের দেখানো স্বপ্ন ভিক্ষা চাইছে। কে উপাচার্য হলেন অথবা হলেন না, তা নিয়ে কথা বলে আমরা দোষী হতে চাই না। উপাচার্যকে শিক্ষকরা তার অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখায় আমরাও আমাদের হলের রুমে বন্দি হয়ে গেছি। উপাচার্যকে পদত্যাগ করিয়েই হোক অথবা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সরিয়েই হোক- মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনি আমাদের শিক্ষা জীবনকে এ অনিশ্চয়তা থেকে দ্রুত মুক্ত করবেন, আপনার কাছে আমরা এ প্রত্যাশাই করি।
আল-নাহিয়ান : শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments