বেকায়দায় পড়েছেন নেতানিয়াহু
অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকায় নতুন করে বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল পড়েছে দারুণ বেকায়দায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও পড়েছেন তোপের মুখে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের সময় ওই বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ায় যত বিপত্তি ঘটেছে। বিষয়টি এখন ইসরায়েল-মার্কিন সম্পর্ককে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ করেছে বলে ইসরায়েলি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন শুক্রবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে টেলিফোন করে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার কথা জানিয়েছেন। হিলারি তাঁকে বলেছেন, ইসরায়েলি সরকার নতুন করে বসতি স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা একটি নেতিবাচক ইঙ্গিত। এটি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
হিলারি আরও বলেছেন, নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি পদক্ষেপ শুধু শান্তি-প্রক্রিয়াকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং দেশটির শীর্ষ মিত্রের কাছে একটি গভীর নেতিবাচক বার্তাও পাঠাচ্ছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাম্প্রতিক ইসরায়েল সফরকালে পূর্ব জেরুজালেমে এক হাজার ৬০০ ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা শুরুর উদ্যোগও প্রশ্নের মুখে পড়ে।
গণমাধ্যমের তোপের মুখে পড়ে মার্কিন-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু উদ্যোগী হয়েছেন। তবে সেই উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এরই মধ্যে ইসায়েলের মারিভ পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয়তে বলেছে, সংকট এখনো পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে। বরং এটা এখন নতুন একটি উচ্চতায় চলে গেছে।...সম্ভবত এটা আরও দীর্ঘায়িত হবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় গতকাল রোববার বিষয়টি নিয়ে জনগণের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করেছে, ওই দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে মার্কিন-ইসরায়েল ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। গতকাল নেতানিয়াহু বলেছেন, আমার পরামর্শ হলো আত্মসংযম হারালে চলবে না। শান্ত থাকতে হবে। আমরা জানি, কিভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি ধীরস্থিরভাবে মোকাবিলা করতে হয়।
ইসরায়েলের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র এদিয়ত আহারনত নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করে ‘মুখে থুতু নিক্ষেপ’ শিরোনামের এক সম্পাদকীয়তে বলে, সর্বশেষ কবে আমরা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এ ধরনের কর্কশ এবং শীতল ও বিরূপ মন্তব্য শুনেছি? এবং এটা স্রেফ ওয়াশিংটনের কণ্ঠস্বর বা তাদের দুটি শব্দই নয়। এটা (ইসরায়েলের প্রতি) আস্থার অভাব ও চরম অবজ্ঞারই বহির্প্রকাশ। এএফপি।
পশ্চিম তীর বন্ধের সময় বাড়াল ইসরায়েল
ইসরায়েল গত শনিবার অধিকৃত পশ্চিম তীর বন্ধ রাখার সময় বাড়িয়েছে এবং জেরুজালেমের বিরোধপূর্ণ আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ বসতি স্থাপন পরিকল্পনা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, অব্যাহত হামলার ঝুঁকির কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক পশ্চিম তীর বন্ধ রাখার সময় আগামীকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, বন্ধের সময় গত শনিবার রাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধ ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় ইসরায়েল গত শুক্রবার পশ্চিম তীর বন্ধ করে দেয়। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে হাসপাতাল কর্মী, রোগী, ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য পেশাজীবী এবং যাদের মানবিক কারণে প্রয়োজন তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে।
গত শনিবার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন শুক্রবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে টেলিফোন করে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার কথা জানিয়েছেন। হিলারি তাঁকে বলেছেন, ইসরায়েলি সরকার নতুন করে বসতি স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা একটি নেতিবাচক ইঙ্গিত। এটি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি-প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
হিলারি আরও বলেছেন, নতুন ইহুদি বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি পদক্ষেপ শুধু শান্তি-প্রক্রিয়াকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং দেশটির শীর্ষ মিত্রের কাছে একটি গভীর নেতিবাচক বার্তাও পাঠাচ্ছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাম্প্রতিক ইসরায়েল সফরকালে পূর্ব জেরুজালেমে এক হাজার ৬০০ ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা শুরুর উদ্যোগও প্রশ্নের মুখে পড়ে।
গণমাধ্যমের তোপের মুখে পড়ে মার্কিন-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু উদ্যোগী হয়েছেন। তবে সেই উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এরই মধ্যে ইসায়েলের মারিভ পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয়তে বলেছে, সংকট এখনো পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে। বরং এটা এখন নতুন একটি উচ্চতায় চলে গেছে।...সম্ভবত এটা আরও দীর্ঘায়িত হবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় গতকাল রোববার বিষয়টি নিয়ে জনগণের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করেছে, ওই দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে মার্কিন-ইসরায়েল ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। গতকাল নেতানিয়াহু বলেছেন, আমার পরামর্শ হলো আত্মসংযম হারালে চলবে না। শান্ত থাকতে হবে। আমরা জানি, কিভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি ধীরস্থিরভাবে মোকাবিলা করতে হয়।
ইসরায়েলের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র এদিয়ত আহারনত নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করে ‘মুখে থুতু নিক্ষেপ’ শিরোনামের এক সম্পাদকীয়তে বলে, সর্বশেষ কবে আমরা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এ ধরনের কর্কশ এবং শীতল ও বিরূপ মন্তব্য শুনেছি? এবং এটা স্রেফ ওয়াশিংটনের কণ্ঠস্বর বা তাদের দুটি শব্দই নয়। এটা (ইসরায়েলের প্রতি) আস্থার অভাব ও চরম অবজ্ঞারই বহির্প্রকাশ। এএফপি।
পশ্চিম তীর বন্ধের সময় বাড়াল ইসরায়েল
ইসরায়েল গত শনিবার অধিকৃত পশ্চিম তীর বন্ধ রাখার সময় বাড়িয়েছে এবং জেরুজালেমের বিরোধপূর্ণ আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ বসতি স্থাপন পরিকল্পনা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, অব্যাহত হামলার ঝুঁকির কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক পশ্চিম তীর বন্ধ রাখার সময় আগামীকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, বন্ধের সময় গত শনিবার রাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধ ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় ইসরায়েল গত শুক্রবার পশ্চিম তীর বন্ধ করে দেয়। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে হাসপাতাল কর্মী, রোগী, ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য পেশাজীবী এবং যাদের মানবিক কারণে প্রয়োজন তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে।
গত শনিবার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি নারী ও পুরুষদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
No comments