বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে ৭০০ বছরের পুরোনো হাউস অব লর্ডস
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৭০০ বছরের পুরোনো উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। এটির খোল নলচে বদলে ফেলার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি সরকার। নতুন এ পরিকল্পনা অনুযায়ী রানির পছন্দের এবং উত্তরাধিকারসূত্রে আজীবন সদস্যপদ পাওয়া ৭৪০ জন অনির্বাচিত সদস্যের হাউস অব লর্ডস বিলুপ্ত করে তার জায়গায় ভোটে নির্বাচিত ৩০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ হবে। এমনকি ‘হাউস অব লর্ডস’ নামটিও আর থাকবে না। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আদলে নতুন ওই উচ্চকক্ষের নাম হবে ‘সিনেট’। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈপ্লবিক সংস্কার পরিকল্পনার ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটেনের পত্রিকা দ্য সানডে টাইমস গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। পিটিআই।
বিচারমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, উচ্চকক্ষের সংস্কারসংক্রান্ত পরিকল্পনার খসড়া তৈরির জন্য স্ট্র নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিগগিরই তিনি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ কিছু সংস্কারমূলক প্রস্তাবের খসড়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চকক্ষকে বলা হবে সিনেট। এর সদস্যরা সিনেটর নামে পরিচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটর নিয়োগ করা হবে।
আগামী মে মাসে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর আগেই হাউস অব লর্ডসের সভায় জ্যাক স্ট্র তাঁর পরিকল্পনাপত্র পেশ করবেন।
প্রায় সাত শতাব্দী ধরে হাউস অব লর্ডস ব্রিটেনের রাজকীয় ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের সদস্যসংখ্যা ৬৪৬ জন। তাঁরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত। অন্যদিকে হাউস অব লর্ডসের সদস্যসংখ্যা ৭৪০ জন। তাঁরা কেউই ভোটে নির্বাচিত নন। তাঁদের বেশির ভাগ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে রানির অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বাকিরা রাজপরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে এই কক্ষের আজীবন সদস্য। বর্তমানে এ রকম আজীবন সদস্য রয়েছেন ৯২ জন।
সম্প্রতি এসব আজীবন সদস্য তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অর্থের অপচয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারের নতুন এ পরিকল্পনার পেছনে এটিকেও একটি বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিচারমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, উচ্চকক্ষের সংস্কারসংক্রান্ত পরিকল্পনার খসড়া তৈরির জন্য স্ট্র নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিগগিরই তিনি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ কিছু সংস্কারমূলক প্রস্তাবের খসড়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চকক্ষকে বলা হবে সিনেট। এর সদস্যরা সিনেটর নামে পরিচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটর নিয়োগ করা হবে।
আগামী মে মাসে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর আগেই হাউস অব লর্ডসের সভায় জ্যাক স্ট্র তাঁর পরিকল্পনাপত্র পেশ করবেন।
প্রায় সাত শতাব্দী ধরে হাউস অব লর্ডস ব্রিটেনের রাজকীয় ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের সদস্যসংখ্যা ৬৪৬ জন। তাঁরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত। অন্যদিকে হাউস অব লর্ডসের সদস্যসংখ্যা ৭৪০ জন। তাঁরা কেউই ভোটে নির্বাচিত নন। তাঁদের বেশির ভাগ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে রানির অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বাকিরা রাজপরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে এই কক্ষের আজীবন সদস্য। বর্তমানে এ রকম আজীবন সদস্য রয়েছেন ৯২ জন।
সম্প্রতি এসব আজীবন সদস্য তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অর্থের অপচয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারের নতুন এ পরিকল্পনার পেছনে এটিকেও একটি বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
No comments