ছিনতাই উপদ্রব
ছিনতাই-রাহাজানি-ডাকাতি বাংলাদেশে এক চিরন্তন ব্যাপার হলেও কখনো তা বিপদ হয়ে আসে, কখনো আবার উপদ্রবে পরিণত হয়। বর্তমানে অতীতের তুলনায় মাস্তানি-সন্ত্রাস ইত্যাদি কিছুটা নিম্নমাত্রায় থাকলেও জনগণের জানমালের ওপর হামলা নিয়মিত উপদ্রব হিসেবে রয়ে গেছে। পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর কারণে হয়তো ‘মলম পার্টি’ থেকে বিপদ কিছুটা কমেছে, কিন্তু অপরাধীরা তো আর বসে থাকার নয়, নতুন নতুন কৌশলে তারা তাদের কাজ চালিয়েই যাচ্ছে।
গত সোমবারের প্রথম আলোয় ছিনতাই-রাহাজানির কয়েকটি সংবাদের মধ্যে সামনে এসেছে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে বাসযাত্রীদের প্রায় জিম্মি করে ডাকাতি এবং প্রকাশ্যে রিকশাযাত্রীকে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ রকম অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে, এবং রয়ে যাচ্ছে প্রতিকারহীন। বন্যার পানি যেমন ধীরগতিতে বাড়তে বাড়তে একসময় দুই কূল উপচায়, হত্যা-রাহাজানি-সন্ত্রাসের মাত্রা তেমন করেই বাড়ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম তো বটেই, জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের অবস্থাও কম উদ্বেগজনক নয়। এ ধরনের অপরাধ কচুরিপানার বিস্তারের মতো দ্রুতই ছড়িয়ে যেতে পারে, যদি তা ঠেকিয়ে রাখা না হয়। অতএব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের টনকটি ভালো করেই নড়া দরকার।
কারও মনে হতে পারে, ‘এ রকম দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতেই পারে।’ পুলিশ কর্তৃপক্ষ হয়তো বলবে, ‘আমরা তো আর বসে নেই।’ তারা হয়তো দণ্ডায়মান, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঘরে-বাইরে নিরাপদ রাখার মতো পরিস্থিতি বজায় রাখার পুলিশি নজরদারি ও তত্পরতা আলগা হওয়ার সুযোগ নেই। এ কথা ঠিক, এক পুলিশ কর্মকর্তার ত্বরিত তত্পরতার কারণে ঢাকায় বাস ডাকাতির অপরাধীরা হাতে-নাতে ধরা পড়েছে; কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ আসে ঘটনার পর এবং তাদের হস্ত সব সময় অপরাধীর চুল স্পর্শ করতে সক্ষম হয় না। এ কথাও সত্য যে পুলিশের একার পক্ষে সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নয়। নিয়মিতভাবে যারা অপরাধকর্মের সঙ্গে যুক্ত, তালিকা তৈরির মাধ্যমে তাদের নিরস্ত করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ কাজ পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে অসম্ভব হওয়ার কথা নয়।
সংঘবদ্ধ অপরাধই জননিরাপত্তার প্রধান হুমকি। আশার কথা যে তা বর্তমানে প্রশমিত রয়েছে। তাহলেও অজস্র খুচরো অপরাধ জনজীবনকে সন্ত্রস্ত করার সুযোগ পাচ্ছে এবং এটা সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির গুরুতর গলদ হিসেবেই গণ্য হবে। ১৫ কোটি মানুষের দেশে অল্প মানুষই হয়তো অপরাধের শিকার হয়। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য-উত্পাদনে বাধা সৃষ্টি এমনকি সামাজিক পরিমণ্ডলে ভীতি ছড়াতে তা যথেষ্ট। এসব ঘটনা আইনের শাসনে মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়। নিরাপত্তার আস্থা সৃষ্টি সভ্য সমাজ ও গণতন্ত্রের আবশ্যকীয় শর্ত।
গত সোমবারের প্রথম আলোয় ছিনতাই-রাহাজানির কয়েকটি সংবাদের মধ্যে সামনে এসেছে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে বাসযাত্রীদের প্রায় জিম্মি করে ডাকাতি এবং প্রকাশ্যে রিকশাযাত্রীকে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ রকম অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে, এবং রয়ে যাচ্ছে প্রতিকারহীন। বন্যার পানি যেমন ধীরগতিতে বাড়তে বাড়তে একসময় দুই কূল উপচায়, হত্যা-রাহাজানি-সন্ত্রাসের মাত্রা তেমন করেই বাড়ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম তো বটেই, জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের অবস্থাও কম উদ্বেগজনক নয়। এ ধরনের অপরাধ কচুরিপানার বিস্তারের মতো দ্রুতই ছড়িয়ে যেতে পারে, যদি তা ঠেকিয়ে রাখা না হয়। অতএব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের টনকটি ভালো করেই নড়া দরকার।
কারও মনে হতে পারে, ‘এ রকম দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতেই পারে।’ পুলিশ কর্তৃপক্ষ হয়তো বলবে, ‘আমরা তো আর বসে নেই।’ তারা হয়তো দণ্ডায়মান, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঘরে-বাইরে নিরাপদ রাখার মতো পরিস্থিতি বজায় রাখার পুলিশি নজরদারি ও তত্পরতা আলগা হওয়ার সুযোগ নেই। এ কথা ঠিক, এক পুলিশ কর্মকর্তার ত্বরিত তত্পরতার কারণে ঢাকায় বাস ডাকাতির অপরাধীরা হাতে-নাতে ধরা পড়েছে; কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ আসে ঘটনার পর এবং তাদের হস্ত সব সময় অপরাধীর চুল স্পর্শ করতে সক্ষম হয় না। এ কথাও সত্য যে পুলিশের একার পক্ষে সব ধরনের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নয়। নিয়মিতভাবে যারা অপরাধকর্মের সঙ্গে যুক্ত, তালিকা তৈরির মাধ্যমে তাদের নিরস্ত করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা প্রয়োজন। এ কাজ পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষে অসম্ভব হওয়ার কথা নয়।
সংঘবদ্ধ অপরাধই জননিরাপত্তার প্রধান হুমকি। আশার কথা যে তা বর্তমানে প্রশমিত রয়েছে। তাহলেও অজস্র খুচরো অপরাধ জনজীবনকে সন্ত্রস্ত করার সুযোগ পাচ্ছে এবং এটা সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির গুরুতর গলদ হিসেবেই গণ্য হবে। ১৫ কোটি মানুষের দেশে অল্প মানুষই হয়তো অপরাধের শিকার হয়। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য-উত্পাদনে বাধা সৃষ্টি এমনকি সামাজিক পরিমণ্ডলে ভীতি ছড়াতে তা যথেষ্ট। এসব ঘটনা আইনের শাসনে মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়। নিরাপত্তার আস্থা সৃষ্টি সভ্য সমাজ ও গণতন্ত্রের আবশ্যকীয় শর্ত।
No comments