রাজনীতি সংসদের বাইরে চলে গেছে- সাক্ষাৎকারে ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান by ফারুক ওয়াসিফ
ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান। ১৯৮১
সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় নিয়োজিত। উচ্চশিক্ষা লাভ করেন ঢাকা ও
ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ফুলব্রাইট স্কলার এবং জাপানের কানাজাওয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপান ফাউন্ডেশন ফেলো ছিলেন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে
সংসদীয় প্রক্রিয়া, দলীয় রাজনীতি এবং গভর্ন্যান্স-সম্পর্কিত বিষয়।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ
প্রথম আলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকেন্দ্রিক জটিলতা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় কী ধরনের প্রভাব ফেলছে?
আল মাসুদ হাসানউজ্জামান ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে সার্বিকভাবে এ দেশে ইলেক্টোরাল ডেমোক্রেসি তথা নির্বাচনী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো অর্থাৎ তৎকালীন সরকারপক্ষ, প্রধান বিরোধী দল ও জোট, নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত ব্যর্থতার ফল হিসেবে দেখতে চাই। বস্তুত, এখানে গণতন্ত্রচর্চার বেলায় নির্বাচনী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই মুখ্য ব্যাপার। কিন্তু এ ব্যাপারেও আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। অতীতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা পূর্ণাঙ্গ নয়। আমি মনে করি, সেটা ছিল খণ্ডকালীন সমঝোতা। এটা এখন কাজ তো করছেই না, বরং তা সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময়ে পক্ষগুলোর গঠনমূলক ভূমিকা দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনসহ যাদের গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি বলা হয়, তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কথা বলে এই নির্বাচন করা হয়েছে। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত না নির্বাচনী গণতন্ত্রকে সুসংগঠিত ও সংহত করা না যাচ্ছে, তত দিন গণতন্ত্র নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য।
প্রথম আলো যখন সংসদে প্রধান বিরোধী দল নেই, তখন সমঝোতার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পথ খোলা থাকল কি না।
হাসানউজ্জামান যেকোনো কিছু করতে গেলে একটা সমঝোতা তো লাগবেই। পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর কিন্তু যথেষ্ট সময় ছিল। সেই সময়ে দুটি পক্ষ সেভাবে আলোচনার উদ্যোগ নিল না। শেষ সময়ে একটা ডামাডোল দেখতে পেলাম। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনড় শর্ত দিয়ে গেছে। এই শর্তগুলো কোনো ঐকমত্য তৈরিতে কাজে লাগেনি। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী যে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন, সেটাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করায় বিরোধী দল যে সমস্যায় পড়েছে, তা আর তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। পরে জাতিসংঘের মধ্যস্থতাও ব্যর্থ হলে পরে রাজনৈতিক সরকারের অধীনেই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে নতুন সরকার গঠনের পরে কিন্তু সহিংসতা বন্ধ হয়ে গেছে। এটা ক্ষমতাসীনেরা রাজনৈতিক বিজয় বলে দেখছে। ফলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টা গৌণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথাও সরকার আর বলছে না।
প্রথম আলো বল প্রয়োগের মাধ্যমেই নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল বিরোধী দল। আবার সরকার বল প্রয়োগের মাধ্যমেই অবস্থান ধরে রেখেছে। তাহলে আমরা কী অর্জন করলাম?
হাসানউজ্জামান দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় কাঠামো গ্রহণ বিষয়ে যে সমঝোতা হয়েছিল, তা আমরা নীতিগতভাবে মেনেছি। কিন্তু এটি কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে কোনো সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অর্থাৎ আগের সমঝোতা থেকে পরের সমঝোতায় আর পৌঁছানো গেল না। গণতন্ত্রের কাঠামোগুলোকে যৌথভাবে লালন করে বিকশিত করায় কারও মনোযোগ নেই। বিরোধী দলে যে-ই থাকুক, সে-ই সংসদ বর্জন করে চলেছে। সংসদ কার্যত একদলীয় নিয়ন্ত্রণে চলেছে। শাসনপদ্ধতিতে থাকে বলে রুল অব দ্য গেম অব পলিটিকস, সে ব্যাপারে সর্বসম্মত অলিখিত রীতিনীতি বিধি অনুসরণের ক্ষেত্র এখনো রচনা করা হয়নি। এর সঙ্গে রয়েছে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর, পক্ষপাতহীনভাবে আইনের প্রয়োগ এবং পারস্পরিক আস্থা নির্মাণের বিষয়ে ঐকমত্যের অভাব। এসব উপাদানের অনুপস্থিত অসহনশীল রাজনীতিচর্চার ক্ষেত্র তৈরি করে এবং দ্বন্দ্বমূলক সংস্কৃতিকে অব্যাহত রাখে। রাজনীতি সংসদের বাইরে চলে গেছে। বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে সরকারের হাতে বল প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে। সেটা ব্যবহার করে তারা ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় আছে’ বলে দেখাতে চাইছে।
নব্বই-পরবর্তী জাতীয় সংসদগুলোতে শক্তিশালী বিরোধী দলের অবস্থান থাকলেও সংসদীয় কর্মকাণ্ডে তাদের অনুপস্থিতি এসব সংসদকে একদলীয় সংসদে পরিণত করে। সংসদীয় কাঠামোতে বিভিন্ন সংস্কার, যেমন- বিল উত্থাপনের পরই আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে তা প্রেরণ, সংসদীয় কমিটিতে নন-মিনিস্টার সাংসদকে প্রধান করার বিধান, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর চালু ইত্যাদি প্রবর্তন করা হলেও প্রধান বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে এসব সংস্কারের গুরুত্ব ম্লান হয়ে পড়ে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর ঐকমত্যের সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। এবং সংসদে জাতীয় পার্টি সরকারে থেকেও বিরোধী দলের আসনে অধিষ্ঠিত। এ ব্যবস্থায় সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা সম্ভব কি না, তা আগামী অধিবেশনগুলোতে জাতীয় পার্টির ভূমিকাই বলে দেবে। তবে আজ পর্যন্ত তা লক্ষণীয় হয়নি।
প্রথম আলো সহিংসতার পথে গিয়েই কি বিরোধী দল সরকারকে বল প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে?
হাসানউজ্জামান বিরোধী দল যেভাবে সহিংসতার পথে গিয়েছিল, তার মাধ্যমে তারা কতটুকু জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি করতে পেরেছিল? আমি বলব, পারেনি। এই জনসম্পৃক্ততার অভাবই সরকারের বল প্রয়োগের চর্চাকে বৈধতা দিয়েছে। জনগণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেতে চেয়েছিল, যেটা নির্বাচনের পর একভাবে অর্জিত হয়েছে।
প্রথম আলো ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছিল, দশম সংসদের নির্বাচনের পর একাদশ সংসদ গঠনের নির্বাচন নিয়ে কথা হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তারা সেই প্রতিশ্রুতি রাখছে না।
হাসানউজ্জামান সরকার গঠিত হওয়ার পর একধরনের বৈধতা তারা নিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন দেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। বিরোধী দলও সরকারকে বাধ্য করতে পারছে না নতুন নির্বাচনের ব্যাপারে। এই পরিস্থিতিতে সরকার অবস্থান সংহত করে নিতে পারছে। সরকার মনে করছে, আমরা তো টিকে গেছি। এটা তত দিন চলবে, যত দিন জনগণের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়।
প্রথম আলো উপজেলা নির্বাচনে সরকারপন্থীদের সংখ্যাগত পরাজয়কে তো সরকারের প্রতি জনগণের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বলে দেখার সুযোগ থাকে।
হাসানউজ্জামান পঞ্চদশ সংশোধনীর পর থেকেই বিএনপি ও ১৮ দল নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিলেও দলীয় সরকারের অধীনেই স্থানীয় পর্যায়ের, বিশেষত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে খুব ভালো ফল করে। তবে স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়। তারা ভেবেছিল, সরকারকে চাপ দিয়ে পরিস্থিতিকে পক্ষে আনতে পারবে। কিন্তু সেই কৌশল আপাতত ব্যর্থ হয়েছে। এখন বিরোধী দল যে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটাকে আমি স্ববিরোধিতা মনে করি না। এটা করছে দলের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করার জন্য। এটা রাজনৈতিক খেলার অংশ এবং এতে কাজও হচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিতে পারেননি। তাঁদের অতৃপ্তি থেকে গেছে। সেই অসন্তুষ্টি থেকে তাঁরা উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
প্রথম আলো এখন সংকট উত্তরণের উপায় কী? অনেকে মনে করেন, ক্ষমতাচক্রের মধ্যে সমঝোতা যাকে বলে ‘এলিট সেটলেমন্ট’, সব পক্ষের মধ্যে সে রকম একটা সমঝোতাই বেশি কাঙ্ক্ষিত?
হাসানউজ্জামান আমি অবশ্যই সমঝোতার পথকে শ্রেয় মনে করব। গণতন্ত্রে ভিন্নমতের সুযোগ থাকা উচিত। সহিংসতা কখন হয়? যখন আর বিকল্প থাকে না। আমরা আশা করব, একধরনের সমঝোতা হোক। এর প্রথম ধাপ গেল, কিছু অলিখিত বিধিবিধান নির্মাণ করে সেটা মান্য করে অগ্রসর হওয়া। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে কর্মক্ষম করতে হবে, যাতে একধরনের স্থিতি আসে। এর মধ্যে পরস্পরের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। স্থিতির মধ্যেই সমঝোতার প্রক্রিয়া চলতে পারে। এভাবে ধাপে ধাপে নির্বাচনী গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের মৌলিক বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রথম আলো গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন অংশ, যেমন—পেশাজীবী, বিদ্বৎসমাজের ভূমিকা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনৈতিক সমাজ আর নাগরিক সমাজের মধ্যে অবিশ্বাসের কারণ কী?
হাসানউজ্জামান ঐতিহাসিকভাবে এ দেশের নাগরিক সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু নব্বই-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একধরনের দ্বিদলীয় ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং রাজনৈতিকভাবে দেশটাই দলীয়ভাবে বিভক্ত হয়ে গেছে। সুশীল সমাজ বলেন, নাগরিক সমাজ বলেন, বিদ্বৎসমাজ বলেন, তারাও এর অংশ হয়ে গেছে। দীর্ঘ দুই দশক থেকে দলীয়করণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা সর্বগ্রাসী রয়েছে। তারা তাদের স্বকীয়তা হারিয়েছে। সম্প্রতি তরুণসমাজ যে স্বকীয় জাগরণ দেখিয়েছে, তা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি এবং আবারও স্বকীয়তা তৈরি করতে পারি।
উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও বুদ্ধিজীবীরা রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট বা লেবার ও কনজারভেটিভ ভাগে বিভক্ত। তাঁরাও নিজ নিজ দলের পক্ষে কথা বলেন এবং দল ক্ষমতায় গেলে সুবিধাও লাভ করেন। কিন্তু নগ্ন দলীয়করণ বা সুবিধাবাদিতা সেখানে তত দৃশ্যমান নয়। আমাদের মতো দেশে গণতন্ত্র বিনির্মাণে সংশ্লিষ্ট নাগরিক সমাজ, সিভিল সোসাইটি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিকদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি কাম্য নয়, বরং নিজস্ব বলয় তৈরি করে গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে অতীতের মতো জাগ্রত ভূমিকা পালন করা দরকার।
প্রথম আলো সংসদ পরিচালনা, দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র ও দুর্নীতি সম্পর্কে রাজনীতির বাইরে থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা সরকার সহ্য করে না। এই অসহিষ্ণুতার মধ্যে নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ করবে?
হাসানউজ্জামান দেখুন, গণতন্ত্রে তদারকি সংস্থাগুলোর উপস্থিতি জরুরি। সরকারের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠায় তাদের কাজ বিশেষভাবে সহায়ক। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করা এবং তা প্রকাশ করার মানসিকতাও ইতিবাচক। টিআইবির প্রতিবেদন নতুন সরকারকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। এ জন্যই এর তীব্র বিরোধিতা লক্ষণীয়। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে পার্লামেন্টারি মনিটরিং অর্গানাইজেশন তথা পিএমও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআইয়ের গবেষণা থেকে জেনেছি বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশে ১৯১টি পিএমওর উপস্থিতি আছে। এদের শতকরা ৯৪ ভাগ সংসদীয় কর্মকাণ্ড এবং ২৪ ভাগ সাংসদদের তৎপরতা মনিটর করে থাকে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে পার্লামেন্টারি ইনফরমেটিকস, ট্রান্সপারেন্সি অব পার্লামেন্টারি ইনফরমেশনে সুশীল সমাজ ও নাগরিক গোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এবং এই চর্চা সংসদীয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল করতে অবদান রাখছে। বাংলাদেশেও সংসদসহ রাষ্ট্রীয় ও প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নিত্য তদারকি গণতন্ত্রের স্বার্থেই জরুরি।
প্রথম আলো আপনাকে ধন্যবাদ।
হাসানউজ্জামান ধন্যবাদ।
No comments