মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ীদের ঝোঁক মোদির দিকে
গত বছরের শেষের দিকের কথা। ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন তখনো অনেক দূরে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি সিদ্ধান্ত নিলেন যেকোনো মূল্যে মুম্বাইকে নিজের দিকে টানবেন। তখন দুই মাসের ব্যবধানে দুবার মুম্বাই সফর করেন তিনি। প্রথম সফরে মোদি ভাষণ দেন ডায়মন্ড ব্যবসায়ীদের সংগঠন ভারত ডায়মন্ড বার্সের সদস্যদের একটি অনুষ্ঠানে। পরের সফরের জন্য বেছে নেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সের বিশাল চত্বর। স্থানটার গুরুত্ব অপরিসীম, সেটা বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত। লোকসভা নির্বাচনের তখনো অনেক দেরি থাকলেও সেখানে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল না। মোদির ভাষণের পুরো সময়জুড়ে তাঁরা প্রশংসাসূচক করতালি ও অঙ্গভঙ্গি করে গেলেন।
ভারতের অর্থনীতির দৈন্য অবস্থা, নীতিগত দুর্বলতা, দুর্নীতিসহ নানা সমস্যার মধ্যে মোদিই যেন তাঁদের ত্রাতা; তাঁদের কাছে মোদি মানেই ব্যবসা। ভারত ডায়মন্ড বার্সের সভাপতি নরেশ মেহতার ভাষ্য, ‘অর্থনীতি যদি গতি পায়, তবেই ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমাদের দরকর কঠিন পদক্ষেপ, যেটা করার সদিচ্ছা দেখিয়েছেন মোদি। ডায়মন্ড ব্যবসায়ীরা তাই মোদি ও তাঁর নীতির একনিষ্ঠ ভক্ত।’ মুম্বাইয়ে মোদির ব্যবসায়িক সমর্থনের ভিত্তিগুলোর মধ্যে পাইকারি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত মুলজি জেহতা ও মঙ্গলদাস মার্কেট, শেয়ারবাজারের ব্রোকার হাউসগুলোর কেন্দ্রবিন্দু দালাল স্ট্রিট, রত্ন ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশন, ডায়মন্ড ব্যবসায়ীদের সংগঠন মুম্বাইয় ডায়মন্ড মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং রুপার অলংকার সামগ্রী ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য বোম্বে বুলিঅন অ্যাসোসিয়েশন। এসব সংগঠন মোদিকেই আগামী নির্বাচনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে। তারা এ জন্য অর্থকিড় ঢালাসহ যেকোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে পিছপা হবে না। হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments