বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, বাংলাদেশের শুরু যেখানে by নাকিবুল আহসান নিশাদ
টেকনাফ
থেকে তেঁতুলিয়া আর থানচি থেকে শিবগঞ্জসহ দেশের প্রতিটি প্রান্তর ঘুরে
দেখার ইচ্ছে আছে। এবার ঘুরে এলাম উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগ। এর মধ্যে হিমালয়
কন্যা পঞ্চগড় জেলার কথা বলি। সেখানে দর্শনীয় স্থান হিসেবে প্রথমেই সামনে
আসে হিমালয়ের পাদদেশে তেঁতুলিয়া। এর বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন দেশের সর্ব উত্তরে
অবস্থিত।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে রোজ ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি থাকে। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি শহর সাত কিলোমিটার আর দার্জিলিং ৫৮ কিলোমিটার দূরে। এছাড়া বাংলাবান্ধা থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত। নেপাল, ভুটান, গ্যাংটক, ডুয়ার্স ভ্রমণকারীরাও এই পথে যাওয়া-আসা করে থাকেন।
মহানন্দা নদীর তীর ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন তেঁতুলিয়া উপজেলার ১ নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর। এর মাধ্যমে চার দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান) পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর এটি অবস্থিত।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে রোজ ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি থাকে। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি শহর সাত কিলোমিটার আর দার্জিলিং ৫৮ কিলোমিটার দূরে। এছাড়া বাংলাবান্ধা থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে নেপালের কাকরভিটা সীমান্ত। নেপাল, ভুটান, গ্যাংটক, ডুয়ার্স ভ্রমণকারীরাও এই পথে যাওয়া-আসা করে থাকেন।
মহানন্দা নদীর তীর ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন তেঁতুলিয়া উপজেলার ১ নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর। এর মাধ্যমে চার দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান) পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর এটি অবস্থিত।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে লেখক |
১৯৯৭
সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রথম খুলে দেওয়া হয়। দেশের
অর্থনীতিতে এটি শুরু থেকে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। নেপালের সঙ্গে
বাংলাদেশের একটি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পণ্য আমদানি-রফতানির মাধ্যমে এর
যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির
আওতায় পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ। বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত থেকে
প্রতিদিন গড়ে একহাজার মেট্রিক টন পাথর ও নেপাল থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০০
মেট্রিক টন ডাল আমদানি করা হয়।
ভারত থেকে প্রতিদিন যে পাথর আসে তা জিরো পয়েন্টের খুব কাছেই রাস্তার পাশে মজুত করে রাখা হয়। মেশিনের সহায়তায় ভাঙার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায় সেগুলো। জিরো পয়েন্ট পৌঁছানোর রাস্তার দু’পাশে পাথরের বিশাল বিশাল পাহাড়। এখানে স্থানীয় নারী-পুরুষ তাল মিলিয়ে কাজ করে।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট যেতে হলে পঞ্চগড় বাস টার্মিনাল থেকে তেঁতুলিয়াগামী বাসে বাংলাবান্ধা বাজারে নামতে হবে। তেঁতুলিয়া বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটো বাইকে জিরো পয়েন্টে যাওয়ার সময় রাস্তার দু’পাশে চোখে পড়ে পাহাড় সারি। পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী। এর ওপারে ভারতের সীমান্ত।
ভারত থেকে প্রতিদিন যে পাথর আসে তা জিরো পয়েন্টের খুব কাছেই রাস্তার পাশে মজুত করে রাখা হয়। মেশিনের সহায়তায় ভাঙার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায় সেগুলো। জিরো পয়েন্ট পৌঁছানোর রাস্তার দু’পাশে পাথরের বিশাল বিশাল পাহাড়। এখানে স্থানীয় নারী-পুরুষ তাল মিলিয়ে কাজ করে।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট যেতে হলে পঞ্চগড় বাস টার্মিনাল থেকে তেঁতুলিয়াগামী বাসে বাংলাবান্ধা বাজারে নামতে হবে। তেঁতুলিয়া বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটো বাইকে জিরো পয়েন্টে যাওয়ার সময় রাস্তার দু’পাশে চোখে পড়ে পাহাড় সারি। পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী। এর ওপারে ভারতের সীমান্ত।
জিরো পয়েন্টে যাওয়ার সময় চোখে পড়ে পাথরের মেলা |
জিরো
পয়েন্টের কাছে গেলে দেখা যায় বিশাল আকারের একটি জিরো। এখান থেকেই
বাংলাদেশের শুরু। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে কিছুক্ষণ গাছের নিচে বসে আরাম
করা যায় সেখানে। সবুজে ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশে এর চেয়ে ভালো আর কোনও জায়গা
হয় না!
ভারত, নেপাল বা ভুটানগামী মানুষ এখানে পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার হয়। তবে পাসপোর্ট ও ভিসা থাকা চাই। দেশের বাইরে থেকে আসা প্রিয়জনের জন্য এখানে অনেকে অপেক্ষা করেন। তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা আছে।
জিরো পয়েন্ট ফটকের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ভারতের জাতীয় পতাকা টানানো। অনুমতি ছাড়া এর ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। ভারত, নেপাল বা ভুটান থেকে আসা বিভিন্ন মালবাহী সারি সারি ট্রাক দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে।
পঞ্চগড় ফেরার পথে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ঘুরে আসা যায়। মহানন্দা নদীর কূলে অবস্থিত এই বাংলো শহরের কোলাহল ভুলিয়ে দেয়। দর্শনাথীর ভিড় না থাকায় নিরিবিলি সময় কাটানো যায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রাচীনকালের এই ডাকবাংলোয় থাকা যাবে।
তেঁতুলিয়ায় কোনও আবাসিক হোটেল নেই। পঞ্চগড় শহরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল আছে। এগুলোতে কক্ষভেদে প্রতি রাতের ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা।
ভারত, নেপাল বা ভুটানগামী মানুষ এখানে পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার হয়। তবে পাসপোর্ট ও ভিসা থাকা চাই। দেশের বাইরে থেকে আসা প্রিয়জনের জন্য এখানে অনেকে অপেক্ষা করেন। তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা আছে।
জিরো পয়েন্ট ফটকের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ভারতের জাতীয় পতাকা টানানো। অনুমতি ছাড়া এর ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। ভারত, নেপাল বা ভুটান থেকে আসা বিভিন্ন মালবাহী সারি সারি ট্রাক দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে।
পঞ্চগড় ফেরার পথে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ঘুরে আসা যায়। মহানন্দা নদীর কূলে অবস্থিত এই বাংলো শহরের কোলাহল ভুলিয়ে দেয়। দর্শনাথীর ভিড় না থাকায় নিরিবিলি সময় কাটানো যায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রাচীনকালের এই ডাকবাংলোয় থাকা যাবে।
তেঁতুলিয়ায় কোনও আবাসিক হোটেল নেই। পঞ্চগড় শহরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু আবাসিক হোটেল আছে। এগুলোতে কক্ষভেদে প্রতি রাতের ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা।
বাংলাবান্ধা |
No comments