‘সংবিধান অজুহাত’ ছাড়ুন নির্বাচনে নিতে চাইলে
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আলোচনায় বসে সমাধান বের করতে হবে, নচেৎ দেশ কঠিন সংকটের দিকে ধাবিত হবে -রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে সুইডেনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা চলছে। নানা বিশ্লেষণ করছেন মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যুগান্তর প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সাফ কথা- নির্বাচনে যাব, আর ভুল করব না। বেশ ভালো কথা। কিন্তু তার আগে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে হবে- এই অজুহাত থেকে আওয়ামী লীগকে সরে আসতে হবে। কেননা একদিকে বলবেন নির্বাচনে আসেন, আর অন্যদিকে নিজেদের মনগড়া সংশোধনীর সংবিধান দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে ছড়ি ঘুরাবেন, তা তো হবে না। যেহেতু জনগণের ভোট ছাড়াই জোর করে ক্ষমতায় আছেন, তাই সবার আগে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠনের পদ্ধতি বের করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতেই হবে। এ বিষয়ে দুই বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকের দেয়া মতামতের মূল কথা হল, সরকার সত্যিই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলে আলোচনায় বসে সমাধান বের করতে হবে, নচেৎ দেশ কঠিন সংকটের দিকে ধাবিত হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, ‘সুইডেনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গণমাধ্যমের বরাতে আমরা জেনেছি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা আগে কখনও শুনেনি, এই প্রথম শুনালম। তাহলে ধরে নেব, তিনিও বুঝতে পেরেছেন, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না। তাই এতে কিছুটা আনন্দিত হয়েছি।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেখানে প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, আমরা (বিএনপি) যেন ভুল না করি, যেন নির্বাচনে যাই। এটি খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমরা তো ওই নির্বাচনেও যেতে চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনারা চাতুরী ও প্রতারণা করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী করলেন। অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আনলেন। তখন এর বিরুদ্ধে আমরা যে আন্দোলন করেছি, সেই আন্দোলনে আমরা একা ছিলাম না, দেশের সব রাজনৈতিক দল ছিল, দেশের মানুষ ছিল। আপনারা কাউকে পাশে পাননি। বর্তমানেও একই অবস্থা বিরাজ। অথচ আবারও একতরফা নির্বাচনই করতে চাচ্ছেন। সংগতকারণে আমরা বলতে চাই, এবার একতরফা নির্বাচন হবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপিকে যদি সত্যি সত্যি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী চান, তাহলে ওনি (প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা দিক নির্বাচনের মাঠ সবার জন্য সমান থাকবে, প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। এখন থেকেই বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দিবে। বিরোধী দলের যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেটা ফিরিয়ে দিক। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের নেতাদের নামে যেসব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করুক। কারাবন্দি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিক। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা একদিকে বিএনপিকে বলবেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। আবার অন্যদিকে বলবেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। আসলে এটা তাদের দ্বিমুখী অবস্থান। তাই ক্ষমতাসীনদের এই অবস্থান পাল্টাতে হবে। বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিতে হলে আওয়ামী লীগকে ‘সংবিধান অজুহাত’ ছাড়তে হবে। কারণ সংবিধান তো আমরা সংশোধন করিনি। এতে তো আমাদের কোনো সায় ছিল না। দেশের জনগণ কি সংবিধান সংশোধনের কোনো দাবি করেছিল? না। বরং দেশের জনগণ এই সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে ছিল। আসলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য গায়ের জোরে আওয়ামী লীগ নিজেদের মতো করে সংবিধান সংশোধন করেছে। ফলে এ সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তো কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা বারবারই বলছি, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। কিন্তু সেখানেই আওয়ামী লীগের মূল ভয়। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা সব জরিপ দেখেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৩০ থেকে ৪০টির বেশি আসন পাবে না। সেই কারণে আমরা বলছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং সবার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের সরকার বা ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানে রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন বা অন্য যে কোনো ইস্যুতে সংবিধানের কথা বলে। সংবিধান ক্ষমতাসীনদের জন্য সুবিধাজনক। তারা সংবিধানের কথা বলবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। অন্যদিকে, বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে না আসে, তাহলে ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। সেটা ক্ষমতাসীনদের জন্য অসুবিধাজনক। তাই উভয় কূল রক্ষার প্রয়াস থেকে সরকারি দলের নেতারা একদিকে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার জন্য বলছেন, অন্যদিকে বলছেন আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। দেশে অনুষ্ঠিত ১০টি নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত দেশে ১০টি নির্বাচন হয়েছে।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে সুইডেনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা চলছে। নানা বিশ্লেষণ করছেন মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যুগান্তর প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সাফ কথা- নির্বাচনে যাব, আর ভুল করব না। বেশ ভালো কথা। কিন্তু তার আগে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে হবে- এই অজুহাত থেকে আওয়ামী লীগকে সরে আসতে হবে। কেননা একদিকে বলবেন নির্বাচনে আসেন, আর অন্যদিকে নিজেদের মনগড়া সংশোধনীর সংবিধান দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে ছড়ি ঘুরাবেন, তা তো হবে না। যেহেতু জনগণের ভোট ছাড়াই জোর করে ক্ষমতায় আছেন, তাই সবার আগে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠনের পদ্ধতি বের করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতেই হবে। এ বিষয়ে দুই বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষকের দেয়া মতামতের মূল কথা হল, সরকার সত্যিই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইলে আলোচনায় বসে সমাধান বের করতে হবে, নচেৎ দেশ কঠিন সংকটের দিকে ধাবিত হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, ‘সুইডেনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গণমাধ্যমের বরাতে আমরা জেনেছি। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা আগে কখনও শুনেনি, এই প্রথম শুনালম। তাহলে ধরে নেব, তিনিও বুঝতে পেরেছেন, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না। তাই এতে কিছুটা আনন্দিত হয়েছি।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেখানে প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, আমরা (বিএনপি) যেন ভুল না করি, যেন নির্বাচনে যাই। এটি খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমরা তো ওই নির্বাচনেও যেতে চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনারা চাতুরী ও প্রতারণা করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী করলেন। অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে আবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আনলেন। তখন এর বিরুদ্ধে আমরা যে আন্দোলন করেছি, সেই আন্দোলনে আমরা একা ছিলাম না, দেশের সব রাজনৈতিক দল ছিল, দেশের মানুষ ছিল। আপনারা কাউকে পাশে পাননি। বর্তমানেও একই অবস্থা বিরাজ। অথচ আবারও একতরফা নির্বাচনই করতে চাচ্ছেন। সংগতকারণে আমরা বলতে চাই, এবার একতরফা নির্বাচন হবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপিকে যদি সত্যি সত্যি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী চান, তাহলে ওনি (প্রধানমন্ত্রী) ঘোষণা দিক নির্বাচনের মাঠ সবার জন্য সমান থাকবে, প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। এখন থেকেই বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দিবে। বিরোধী দলের যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেটা ফিরিয়ে দিক। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের নেতাদের নামে যেসব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করুক। কারাবন্দি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিক। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা একদিকে বিএনপিকে বলবেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। আবার অন্যদিকে বলবেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। আসলে এটা তাদের দ্বিমুখী অবস্থান। তাই ক্ষমতাসীনদের এই অবস্থান পাল্টাতে হবে। বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিতে হলে আওয়ামী লীগকে ‘সংবিধান অজুহাত’ ছাড়তে হবে। কারণ সংবিধান তো আমরা সংশোধন করিনি। এতে তো আমাদের কোনো সায় ছিল না। দেশের জনগণ কি সংবিধান সংশোধনের কোনো দাবি করেছিল? না। বরং দেশের জনগণ এই সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে ছিল। আসলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য গায়ের জোরে আওয়ামী লীগ নিজেদের মতো করে সংবিধান সংশোধন করেছে। ফলে এ সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তো কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই আমরা বারবারই বলছি, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। কিন্তু সেখানেই আওয়ামী লীগের মূল ভয়। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা সব জরিপ দেখেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৩০ থেকে ৪০টির বেশি আসন পাবে না। সেই কারণে আমরা বলছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং সবার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের সরকার বা ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানে রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন বা অন্য যে কোনো ইস্যুতে সংবিধানের কথা বলে। সংবিধান ক্ষমতাসীনদের জন্য সুবিধাজনক। তারা সংবিধানের কথা বলবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। অন্যদিকে, বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে না আসে, তাহলে ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। সেটা ক্ষমতাসীনদের জন্য অসুবিধাজনক। তাই উভয় কূল রক্ষার প্রয়াস থেকে সরকারি দলের নেতারা একদিকে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার জন্য বলছেন, অন্যদিকে বলছেন আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। দেশে অনুষ্ঠিত ১০টি নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই পর্যন্ত দেশে ১০টি নির্বাচন হয়েছে।
এর মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে ৬টি নির্বাচন হয়েছে। যার একটিও সুষ্ঠু হয়নি- এটাই ঐতিহাসিক সত্য। এ থেকে আমাদের বুঝতে হবে, সামনের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে কী করতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, দেশে যদি সব দলের অংশগ্রহণে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সরকার চায়, তাহলে প্রথমেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ দেশের জনগণ এই সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন দেখেছে, একাধিক উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেখেছে। কোনো নির্বাচনই তাদের অধীনে সুষ্ঠু হয়নি। এখন এ সরকারের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। এ অবস্থায় শেখ হাসিনাকে স্বপদে বহাল রেখে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণ তো ভোট কেন্দ্রেই যাবে না। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, আর প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন, এটা দেশের কোনো মানুষই বিশ্বাস করে না। আর তারা যে সংবিধানের দোহাই দেয়, সেটা তো তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সংশোধন হয়েছে। এখানে বিরোধী দলগুলোর কোনো সায় ছিল না। অতএব নিরপেক্ষ কোনো সরকার না হলে দেশে সুষ্ঠু কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারের যদি বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছাই থাকে, তাহলে তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, সরকার তো চায় নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক এবং তারা ওই নির্বাচনে জয়ী হোক। এ কারণেই তারা সংবিধান সংশোধন করেছে। অতএব সরকার তো তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না। তাদের যদি বিভিন্ন রকম চাপে ফেলে সরিয়ে আনা না যায়, তাহলে তারা সরে আসবে না। কারণ তাদের নির্বাচনে জিততে হবে- এর কোনো বিকল্প নেই। এখন দেশে পোস্টারিং চলছে। একে-অপরের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা বুদ্ধিমানের কৌশল নয়। এটা কোনো দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। দেশের জন্য তো নয়ই। তাই সবাই বসে আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট সংকটের সমাধান করা উচিত। তা না হলে দেশ কঠিন সংকটের দিকে ধাবিত হবে।
No comments