আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না দুর্গত মানুষের

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমি ধসে স্বজন ও সহায়-সম্পদ হারানো পার্বত্য দুই জেলা- রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানবাসীর পিছু ছাড়ছে না আতঙ্ক। আবারও বৃষ্টি বা পাহাড় ধসের শঙ্কার পাশাপাশি কিভাবে বিধ্বস্ত ভিটেবাড়িতে নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করবেন, তা ভেবে আঁতকে উঠছেন তারা। ফের পাহাড় ধস হতে পারে- এমন আশঙ্কায় শনিবারও বান্দরবানের পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে শতাধিক পরিবারকে। এ ছাড়া আশ্রয় শিবিরগুলোতে চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। একমুঠো ত্রাণের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তারা। সড়কপথে চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙ্গামাটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নদীপথেই লঞ্চে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী। তবে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে জ্বালানি সংকট কিছুটা লাঘব হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে নৌপথে জ্বালানি তেল পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন সেনা সদস্যরা। অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়ার কারণে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্যের দাম শনিবারও ছিল আকাশচুম্বী। এদিকে শুক্রবার বিকালে রাঙ্গামাটিতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হলেও সন্ধ্যায় জেলার জুড়াছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়ন থেকে দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাটিচাপা পড়ে থাকার চার দিন পর খবর পেয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন মাটির নিচ থেকে তাদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। হতভাগ্য দুই তরুণ-তরুণী হলেন তিয়ং চাকমা (১৭) ও চিগোথি চাকমা (১৮)। শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি সদরের আরণ্যক রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকায় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় মাফিয়া বেগম (৫৫) নামে এক নারীর লাশ। এ নিয়ে পাহাড় ধসে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৯-এ। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন বলেছেন, তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছিলেন শুক্রবার। শনিবার শহরে এক নারীর মাটিচাপা পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাদের টিম আবারও অভিযানে নামে। অন্যদিকে শনিবার বৃষ্টি না হওয়ায় বান্দরবানের কয়েকটি ত্রাণ শিবির থেকে কিছু কিছু মানুষ ফিরেছেন নিজেদের ভিটায়। তবে মাথা গোঁজার ঠাঁই বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি দেখে অনেকেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন।
ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত : রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন মঙ্গলবার রাত থেকে। পাহাড় ধসে ভিটেবাড়ি ও স্বজন হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া মানুষ আশ্রয় শিবিরে গেলেও একমুঠো ত্রাণের জন্য সেখানে প্রথমদিন থেকেই চলছে হুড়োহুড়ি। বিদ্যুৎ-পানি না থাকায় তাদের কষ্টের শেষ নেই। মোমবাতি জ্বালিয়ে চরম কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের। যদিও আশ্রয় শিবিরগুলোতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। টানা এক সপ্তাহ বৃষ্টি-বাদল ও বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকার পর শনিবার সূর্যের মুখ দেখা গেছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে মানুষ। নিজের ভিটেবাড়িতে ফিরে চেষ্টা করছে ঘুরে দাঁড়ানোর। রাঙ্গামাটিতে ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গত পরিবারের মধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা শুরু করেছে নৌবাহিনী। আইএসপিআর জানায়, রাঙ্গামাটিতে ব্যাপক ভূমি ধসের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় নিত্যপণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এতে সেখানকার স্থানীয় লোকজন চরম খাদ্য, পানীয় এবং চিকিৎসা সংকটে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নৌবাহিনী গত শুক্রবার থেকে কাপ্তাই এলাকার ব্যাঙছড়ি, ছিটমোড়ল, শিলছড়ি, বড়ইছড়ি, চন্দ্রঘোনা ও রায়পুরা এলাকায় জরুরি ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শুরু করে। ইতিমধ্যে ৫০০ পরিবারের মাঝে তাজা ও শুকনা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি তাজা খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটে রয়েছে চাল ৫ কেজি, ডাল ১ কেজি, আলু ২ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, সয়াবিন তেল ১ লিটার, বিশুদ্ধ খাবার পানি ৪ লিটার, ম্যাচ ১ ডজন, মোমবাতি ১ ডজন, লবণ ১ কেজি ও শুকনা মরিচ। এ ছাড়া শুকনা খাবারের প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে চিঁড়া ৩ কেজি, বিস্কুট ১ কেজি, গুড় ২ কেজি, মুড়ি ১ কেজি, ম্যাচ ১ ডজন, মোমবাতি ১ ডজন ও বিশুদ্ধ খাবার পানি ৪ লিটার। এ ছাড়া ভূমি ধসের ঘটনার পরপরই নৌবাহিনীর ডুবুরি দলসহ একাধিক উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করে। উদ্ধার কাজের পাশাপাশি দুর্গত এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য নৌবাহিনীর ১০ সদস্যের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এই ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটি : জেলা প্রতিনিধি সুশীল প্রসাদ চাকমা জানান, ১ জুন পাহাড় ধসের ঘটনায় সদরসহ রাঙ্গামাটি জেলায় এ পর্যন্ত ১১৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বাড়ছে নানান সংকট। তবে পরিস্থিতি উন্নতির পথে দাবি করে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তা সংস্কারকাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তিন দিনের মধ্যে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সাময়িকভাবে হালকা যান চলাচল উপযোগী করা যাবে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের নগদ টাকা ও ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি চাল এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত সবার বাড়িঘর পুনঃনির্মাণ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের নিয়মিত খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি উন্নতির পথে। দুই-এক দিনের মধ্যে স্বভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দুর্যোগের আশঙ্কা কাটেনি। আবার পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিতে বসবাসকারী লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে। এজন্য মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা সচল করতে অপসারণসহ সংস্কারকাজ চলছে। এতে সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী টিমও অংশ নিচ্ছে। এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা মেরামত ও সংস্কারকাজ করছে। খুব শিগগির চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে সমায়িকভাবে যান চলাচল উপযোগী হয়ে উঠবে।
এদিকে দুর্যোগের পাঁচ দিনেও বাইরের সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন। ফলে অবরুদ্ধ মানুষজন। জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বিকল্প যোগাযোগ হিসেবে রাঙ্গামাটি-কাপ্তাইয়ে পানিপথে দুটি লঞ্চ সার্ভিস শুক্রবার হতে চালু করা হয়েছে। সেটিই এখন যাতায়াত ও পরিবহন নিয়ে ভরসা মানুষের। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেযজ্ঞ মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান রাঙ্গামাটি সড়কে মেরামত ও মাটি সরানোর কাজ পরিদর্শন করেছেন। দুর্গত এলাকাসহ আশ্রয় কেন্দ্রেও পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার ও রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সচল করতে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে কাজ চলছে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে। তবে তিন দিনের মধ্যেই সাময়িকভাবে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল উপযোগী করা যাবে। এ সময় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রাঙ্গামাটিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সংকট সমাধান করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান চট্টগ্রামের জিওসি। এছাড়া শনিবার রাঙ্গামাটির দুর্ঘটনাস্থল ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর। এ সময় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া দুর্গত লোকজনের মাঝে খাবার বিতরণ করেন তিনি। দুর্গতদের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী। এদিকে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখন পানি, খাবারসহ নানান সংকটে দুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানান দুর্গতরা। অনেকে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা। রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম, কাপ্তাই, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি সড়কসহ ৩৭ স্থানে পাহাড় ধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাহাড় ধস হয়েছে জেলার ১৪৫ স্থানে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া অনেক সেতু ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি ভারিবর্ষণে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা দ্রুত আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর মধ্যে লেকের উচ্চতা ১২ ফুট বেড়েছে বলে উল্লেখ করে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবদুর রহমান জানান, লেকে অতিরিক্ত পানির চাপ এড়াতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্প্রিলওয়ের গেট খুলে দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে।
বান্দরবান : জেলা প্রতিনিধি এনামুল হক কাশেমী জানান, বান্দরবান জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের নিচু এবং পাদদেশে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্যে মাঠপর্যায়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শনিবার। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আলী নুরের নেতৃত্বে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম শনিবার সকাল ও দুপুরে শহরের ফেন্সিঘোণা, রানীর চর, কালাঘাটা এবং বড়–য়ারটেক এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় শতাধিক পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশসহ সতর্ক করে দেয়া হয়। পৌরসচিব তৌহিদুর রহমান জানান, প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলার হাফেজঘোনা সাইক্লোন শেল্টার, শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সরকারি বিশ্রামাগার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে কিছু লোক ফিরে গেছে নিজ নিজ ভিটে-বাড়িতে। তারা আবার নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করেছেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, অতিবৃষ্টি, পাহাড় ধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। রাঙ্গামাটিতে অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় ইফতার মাহফিল পরিহার করে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবসায়ী সংগঠন, কর্পোরেট হাউস ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। মাহবুবুল আলম বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মাহবুবুল আলম তার প্রতিষ্ঠিত আনোয়ারা আলম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রাউজান পৌরসভা, হলদিয়া ইউনিয়ন, চিকদাইর ইউনিয়ন ও ডাবুয়া ইউনিয়নে ৫ টন করে মোট ২০ টন চাল ১০ কেজি করে ২ হাজার দুর্গত পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন।

No comments

Powered by Blogger.