ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, পুলিশ সদস্যকে গণধোলাই

মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে যশোরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সাতমাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী পিকুল অভিযোগ করেন, সন্ধ্যার আগে তিনি বাজারের সিকদার হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় সাদা পোশাকের কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম কথা আছে বলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার পকেটে একটি পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ৩/৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তখন লোকজন কনস্টেবল সিরাজের হাতে ইয়াবা ট্যাবলেট দেখতে পান। পিকুলের অভিযোগ শুনে উত্তেজিত জনগণ সে সময় তাকে বেশ কয়েকটি কিলঘুষি মারেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
অভিযোগে আরো জানা গেছে, অবস্থা বেগতিক দেখে কনস্টেবল সিরাজ মোবাইল ফোন করে কোতয়ালি থানার এসআই মোকলেসুজ্জামানকে সংবাদ দেন। সে সময় এএসআই আবুল কালাম আজাদ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যান। এ বিষয়ে এসআই মোকলেসুজ্জামান জানিয়েছেন, আমি রেজাউল ডাকাতকে আটক করার জন্য দৌলতদিহির ব্রিজের কাছে ওঁৎ পেতে ছিলাম। সে সময় সিরাজ তাকে মোবাইল ফোন করে বলেন তিনি বিপদে পড়েছেন। এসময় এএসআই আবুল কালাম আজাদকে পাঠানো হয় তাকে উদ্ধার করতে। তিনি পরে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান যুগান্তরকে জানান, কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ডিবি পুলিশে কর্মরত ছিলেন। মাদক সেবনের অপরাধে তাকে তিনি লাইনে ক্লোজড রয়েছে। শনিবার কাউকে না জানিয়ে সাতমাইল বাজারে মাদক সেবন করতে যান। সেখানে গিয়ে ইয়াবা কিনে দাম না দেয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সে গণরোষের মধ্যে পড়ে। তিনি আরো বলেছেন, ওই কনস্টেবলকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওয়াশ (পাকস্থলী পরিষ্কার) করা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হবে। উল্লেখ, সম্প্রতি যশোরে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে একাধিক ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা ক্লোজড হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.