শেরি রেহমানের প্রশ্নঃ রাতারাতি কিভাবে পাইলটকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হলো?
ভারতের
পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে তাড়াহুড়ো করে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে
প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তারা জানতে চেয়েছে, এ নিয়ে
পর্দার আড়ালে কোনো সমঝোতায় গেছে কিনা পাকিস্তান সরকার। শুক্রবার
পাকিস্তানের সিনেটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে আলোচনায় এসব
প্রশ্ন তোলেন পিপিপির পার্লামেন্টারি নেতা শেরি রেহমান। অভিনন্দনকে মুক্তি
দেয়ার পর ভারতের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া বা বার্তা আসছে সে বিষয়ে তিনি
বলেন, এখন দেখতে হবে অন্যপক্ষ থেকে কি বার্তা আসে। ভারত কি আলোচনার জন্য
রাজি হয়েছে? এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডন।
শেরি রেহমান আরো বলেন, ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়ার বিরোধী তিনি নন। তবে তিনি জানতে চান, এর বিনিময়ে পাকিস্তান ভারতের কাছে কি চেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, এর বিনিময়ে ভারত কোনোই ছাড় দেয় নি।
ফলে (ওই পাইলটকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে) আমরা যদি কিছুই না চেয়ে থাকি, তাহলে তা হবে একটি অপরিপক্ব কূটনীতি। শেরি রেহমান আরো বলেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা দু’বার লঙ্ঘন করেছে ভারত। এটা এক রকম আগ্রাসী কর্মকা-।
শেরি রেহমান আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হলো ভারতের একটি মিত্র। তারা চায় পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এক্ষেত্রে পাকিস্তান তার উচ্চ নৈতিকতা প্রদর্শন করেছে। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া দৃশ্যত শিশুসুলভ আচরণ করছে। পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দেয়ায় ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা যথার্থ নয়। ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বার বার ফোন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেন নি’। শেরি রেহমান প্রশ্ন রাখেন, কিভাবে রাতারাতি ওই পাইলটকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? এমন শুভেচ্ছার বিনিময় হিসেবে ভারত কি সাড়া দিয়েছে? ভারতের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অন্তত জবাব দেয়া।
সিনেটের এই বিতর্কে অংশ নেন সিনেটের সাবেক চেয়ারম্যান মিয়া রাজা রাব্বানি। তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যাতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তুঙ্গু উত্তেজনায় ভূমিকা রাখছে ইসরাইল। তিনি বলেন, ভারতের সামরিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রচারণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র চাইছে এ অঞ্চলে চীনকে দমিয়ে রাখতে ভারতকে প্রহরী হিসেবে দাঁড় করাতে। মিয়া রাজা রাব্বানি আরো বলেন, পালওয়ামা হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত নয়। এটা সত্য যে, এই উত্তেজনার নেপথ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণা। এ ছাড়া আরো অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে।
এসব ফ্যাক্টর সম্পর্কে তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্স অ্যান্ড এনালাইসিস উইং (র)। এই সংস্থাটি পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসে সহযোগিতা দিচ্ছে, সাহায্য করছে। এরপরে আসে ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের ঘটনা। এরপরই ভারত সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। তারা বলে, সন্ত্রাসের ছায়া যেখানে আছে সেখানে তারা যেতে পারে না।
রাজা রাব্বানি আরো বলেন, ভারত প্রচার করে যে পাকিস্তান হলো সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য। তারা কথা বলে ইন্দুস পানি বন্টন চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে। তারা চেষ্টা করছে পাকিস্তানকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কালো তালিকায় নিতে। তার পরেই ভারত বলে, তারা শুধু সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা করবে। কাশ্মির ইস্যুতে নয়।
শেরি রেহমান আরো বলেন, ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়ার বিরোধী তিনি নন। তবে তিনি জানতে চান, এর বিনিময়ে পাকিস্তান ভারতের কাছে কি চেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, এর বিনিময়ে ভারত কোনোই ছাড় দেয় নি।
ফলে (ওই পাইলটকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে) আমরা যদি কিছুই না চেয়ে থাকি, তাহলে তা হবে একটি অপরিপক্ব কূটনীতি। শেরি রেহমান আরো বলেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা দু’বার লঙ্ঘন করেছে ভারত। এটা এক রকম আগ্রাসী কর্মকা-।
শেরি রেহমান আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হলো ভারতের একটি মিত্র। তারা চায় পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এক্ষেত্রে পাকিস্তান তার উচ্চ নৈতিকতা প্রদর্শন করেছে। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া দৃশ্যত শিশুসুলভ আচরণ করছে। পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দেয়ায় ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা যথার্থ নয়। ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বার বার ফোন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেন নি’। শেরি রেহমান প্রশ্ন রাখেন, কিভাবে রাতারাতি ওই পাইলটকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? এমন শুভেচ্ছার বিনিময় হিসেবে ভারত কি সাড়া দিয়েছে? ভারতের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অন্তত জবাব দেয়া।
সিনেটের এই বিতর্কে অংশ নেন সিনেটের সাবেক চেয়ারম্যান মিয়া রাজা রাব্বানি। তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যাতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তুঙ্গু উত্তেজনায় ভূমিকা রাখছে ইসরাইল। তিনি বলেন, ভারতের সামরিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রচারণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র চাইছে এ অঞ্চলে চীনকে দমিয়ে রাখতে ভারতকে প্রহরী হিসেবে দাঁড় করাতে। মিয়া রাজা রাব্বানি আরো বলেন, পালওয়ামা হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত নয়। এটা সত্য যে, এই উত্তেজনার নেপথ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণা। এ ছাড়া আরো অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে।
এসব ফ্যাক্টর সম্পর্কে তিনি বলেন, এর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্স অ্যান্ড এনালাইসিস উইং (র)। এই সংস্থাটি পাকিস্তানের ভিতরে সন্ত্রাসে সহযোগিতা দিচ্ছে, সাহায্য করছে। এরপরে আসে ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের ঘটনা। এরপরই ভারত সার্ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। তারা বলে, সন্ত্রাসের ছায়া যেখানে আছে সেখানে তারা যেতে পারে না।
রাজা রাব্বানি আরো বলেন, ভারত প্রচার করে যে পাকিস্তান হলো সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য। তারা কথা বলে ইন্দুস পানি বন্টন চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে। তারা চেষ্টা করছে পাকিস্তানকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কালো তালিকায় নিতে। তার পরেই ভারত বলে, তারা শুধু সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা করবে। কাশ্মির ইস্যুতে নয়।
No comments