নিবন্ধনের ছাড়পত্র পেল আরও ৫ বেসরকারী ব্যাংক- সুগম হলো বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসার পথ

কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসার পথ সুগম হলো চতুর্থ প্রজন্মের জন্য প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া বেসরকারী খাতের ৫ বাণিজ্যিক ব্যাংকের।
বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ সর্বসম্মতভাবে প্রবাসী উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন দুটি ও দেশী উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন তিনটি ব্যাংককে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধনের জন্য ছাড়পত্র দিতে রাজি হয়েছে। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের ফলে ছাড়পত্র পাওয়া এই ব্যাংকগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে গিয়ে নিজ নিজ কোম্পানির নাম তালিকাভুক্ত করতে পারবে।
ব্যাংকগুলো হচ্ছে দেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ইউনিয়ন ব্যাংক। এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন জনৈক শহীদুল আলম। সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান ও নসরুল হামিদের প্রস্তাবিত মেঘনা ব্যাংক। চেয়ারম্যান হিসেবে নাম রয়েছে আশিকুর রহমানের। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংক। এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন এস এম আমজাদ হোসেন।
আর প্রবাসী উদ্যোক্তাদের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ফরাসত আলীর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিজাম চৌধুরীর এনআরবি ব্যাংক এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইকবাল চৌধুরীর অপর এনআরবি ব্যাংক।
এদিকে গত বছরের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া ৯ ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ব্যাংককে কোম্পানি গঠন ও নিবন্ধনের জন্য ছাড়পত্র দেয়া হলেও এই প্রাথমিক তালিকায় এম মনিরুজ্জামান খন্দকারের প্রস্তাবিত মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রস্তাবও বিবেচনাধীন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পর্ষদ সভায় ব্যাংক উত্থাপিত কাগজপত্র ও ব্যবসায়িক প্লান নিয়ে পর্ষদ সদস্যদের কিছু আপত্তি থাকায় প্রাথমিক চূড়ান্ত অনুমোদনের তালিকায় আর ঠাঁই হয়নি। ব্যাংকটির বিষয়ে পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাকি তিনটি ব্যাংকের বিষয়ে (একটি এনআরবি ব্যাংক ও দেশীয় মালিকানাধীন দুটি ফার্মাস ও মধুমতি) ব্যাংকের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় কবে নাগাদ এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটি জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত নতুন ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম শুরু করার জন্য উদ্যোক্তাদের লাইসেন্স নেয়ার ছাড়পত্র দিতে তিন দফায় তিন কার্যদিবস বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক বোর্ড। বোর্ডসভার ওসব বৈঠকে ৬টি ব্যাংকের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এতে প্রথম কার্যদিবসে প্রবাসী মালিকানাধীন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে মনোনীত করা হয়। পরের বোর্ডসভায় এনআরবি ছাড়াও ইউনিয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রস্তাব ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনার বিষয়ে পর্ষদ অবহিত হয়। তবে ওই দিনও এই ব্যাংকগুলোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি বোর্ড। সর্বশেষ তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার মেঘনা ব্যাংক ও মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রস্তাব পর্যালোচনা ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনার কথা শোনে পর্ষদ। এভাবে দীর্ঘ বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত ৫টি ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়ার ছাড়পত্র দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ। এসব বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলদেশ ব্যাংক গবর্নর ড. আতিউর রহমান। পর্ষদের সকল সদস্যই এই সিদ্ধান্তে অভিন্ন মনোভাব পোষণ করেন বলেও জানা যায়।

No comments

Powered by Blogger.