কে এই কাদের মোল্লা

কে এই যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা। মিরপুরবাসীর কাছে কসাই নামে পরিচিত। আজ নিজেকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত করেছেন? একাত্তরে তার কি ভূমিকা ছিল? কি অভিযোগ ছিল ছাত্র জীবনে? তার পরিচয় কি ছিল, এখন কি করেন।
এসব জানার জন্য সবাই অধীর আগ্রহ আছে। নতুন প্রজন্ম তার সম্বন্ধে কিছুই জানে না। তারা জানে কাদের মোল্লা জামায়াতের একজন নেতা। অথচ তার ঐ পরিচয়ের পিছনে লুকিয়ে আছে ঘৃণ্য এক চেহারা। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের কসাই এই কাদের মোল্লার পরিচয় অনেকেই জানেন না। আব্দুল কাদের মোল্লা ১৯৪৮ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম সানাউল্লা মোল্লা। সাং আমিরাবাদ, থানা-সদরপুর, জেলা-ফরিদপুর, বর্তমান ঠিকানা ফ্ল্যাট -৮/এ.গ্রীন ভেলী এ্যাপার্টমেন্ট, ৪৯৩ বড় মগবাজার। তিনি ১৯৬১ সালে আমিরাবাদ ফজলুল হক ইনিস্টিটিউশনে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ হতে ডিগ্রী পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিদ্যা বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন। ১৯৬৬ সালে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজে বিএসসি প্রথম বর্ষে পড়াকালে উক্ত ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন। বিএসসি ২য় বর্ষের শেষের দিকে তিনি ইসলামী ছাত্রসংঘের কলেজ শাখার সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন তিনি শহীদুল্লাহ হলে থাকতেন এবং ১৯৭০ সালের অক্টোবরে তিনি শহীদুল্লাহ হলের ছাত্র সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য যে, ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘ ইসলামী ছাত্র শিবির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি তখন ইসলামী ছাত্র শিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য হন।
আসামী আব্দুল কাদের মোল্লা ১৯৭৭ সালের মে মাসে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। যদিও জামায়াতে ইসলামী তখনও প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসেনি। ১৯৭৮ সালে তিনি রাইফেল পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ফুয়াদ আব্দুল হামিদ আল খতিবের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও আর্থিক সহায়তায় দেশে মুসলমান ছেলে-মেয়েদের আন্তর্জতিকমানের একটি ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে গুলশান-১ নম্বর মার্কেটের দক্ষিণ পাশে ‘মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে মানারাত ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত। সেখানে তিনি প্রায় ১ বছর কাজ করেন। ১৯৮০ সালে দৈনিক সংগ্রাম এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। তখন তিনি ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য হতে সহকারী সেক্রেটারী জোনারেল পদে নিয়োজিত হন। পরবর্তীতে আবদুল কাদের মোল্লা জামায়াতের ইসলামীর প্রচার সম্পাদক পদে নিয়োজিত হন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সদরপুর-চরভদ্রাসন আসন থেকে নির্বাচন করেন। কিন্তু উভয় নির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াফত হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অীঁরষরধৎু ভড়ৎপবং সহ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের অধিনায়কের নিকট আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি আব্দুর কাদের মোল্লা ঞযব রহঃবৎহধঃরড়হধষ পৎরসবং (ঞৎরনঁহধষং) অপঃ, ১৯৭৩ এর ৩ (২)/৪ (১) ধারায় উল্লিখিত অপরাধসমূহ সংঘটিত করেন। দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং এদেশীয় তাদের দোসর পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশনস, কাউন্সিল ও কাইয়ূম) নেজামে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি), শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলমামসসহ আসামি আব্দুল কাদের মোল্লা ও তাদের অনুসারীরা পারস্পরিক যোগসাজশ ও চক্রান্তে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত কারণে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুম, উচ্ছেদ, বিতাড়ন, ইত্যাদি অপরাধসমূহ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে শুরু হবার পূর্বে আসামি আব্দুল কাদের মোল্লা ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদুল্লাহ হলে ইসলামী ছাত্রসংঘরের সভাপতি ছিলেন। তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করেন, যা প্রথমে জামায়াতে ইসলাম প্রাইভেট বাহিনী হিসেবে ছিলÑ যারা পরবর্তীতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে সংঘটিত অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
আব্দুল কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সহযোগী অবাঙালী বিহারীদের নিয়ে বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে জোরপূর্বক ধরে এনে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ১ নম্বর এবং ১ নং শাহ আলী মাজার থেকে হাতে দড়ি বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে পুনরায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে ঈদগাহ মাঠে নিয়ে এসে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পল্লবের দেহ দু’দিন ঝুলিয়ে রেখে তার সহযোগী আলবদর বাহিনীর সদস্য ও অবাঙালী বিহারী দ্বারা পল্লবের আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলে এবং ৫ এপ্রিল তার নির্দেশে ও উপস্থিতিতে তার প্রধান সহযোগী আলবদর আক্তার গু-া পল্লবের বুকে পর পর ৫টি গুলি করে হত্যা করে। হাতের আঙুল কেটে দেয়। ১৯৭১ র মার্চ মাসে স্বাধীনতা বিরোধীরা পল্লবের অবস্থান জানতে পেরে নবাবপুর থেকে তাকে জোরপূর্বক ধরে মিরপুরে কাদের মোল্লার কাছে নিয়ে যায়। পরে কাদের মোল্লার নির্দেশে তার সহযোগীরা পল্লবকে মিরপুর-১২ নম্বর থেকে ১নম্বর সেকশন শাহ আলী মাজার পর্যন্ত হাতে দড়ি বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং একইভাবে মিরপুর ১ নম্বর থেকে ১২ নম্বর সেকশনে ঈদগাহ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে গাছে ঝুলিয়ে আগুল কেটে দু’দিন পর গুলি করে হত্যা করে। এর দু’দিন পর পল্লবের লাশ মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে কালাপানি ঝিলের পাশে আরও ৭ জনের সঙ্গে মাটি চাপা দেয়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আলবদর বাহিনী নেতা আাসামি আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী আলবদর সদস্য ও অবাঙালী বিহারীদের নিয়ে মিরপুরের মহিলা কবি মেহেরুন্নেছাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকা-ের দৃশ্য দেখে বাড়ির সিরাজ নামক এক ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
২৯ মার্চ সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, পিতা - মৃত খন্দকার আব্দুর রউফ, সেকশন-১০, ব্লক-বি, রোড নং-২, প্লট-১৩ মিরপুর, ঢাকার আরামবাগ হতে তার নিজ বাড়ির অবস্থা দেখার জন্য আসেন। বাসার সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় তিনি পুনরায় আরামবাগের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়ার জন্য মিরপুর ১০ নং বাসস্ট্যান্ডে গেলে স্থানীয় আলবদর বাহিনীর নেতা আসামি আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী আলবদর বাহিনীর সদস্য ও অবাঙালী বিহারীদের নিয়ে বাসে উঠার আগেই খন্দকার আবু তালেবকে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে মিরপুর জল্লাদখানা পাম্প হাউসে নিয়ে আসে। এরপর আসামি আব্দুর কাদের মোল্লার নির্দেশে ও উপস্থিতিতে তাকে জবাই করে হত্যা করে।
আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী বাহিনী আলবদর সদস্য ও পাকি সৈন্যদের নিয়ে হত্যাকা- ঘটিয়েছেন। একাত্তরের ২৫ নবেম্বর ভাওয়াল খানবাড়ি ও ঘাটারচর (শহীদনগর) এবং পার্শ্ববর্তী দুটি গ্রামে কাদের মোল্লা তার সহযোগী আলবদর বাহিনীর সদস্যসহ পাকিস্তানী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করে। হত্যাকা-ের পর স্থানীয় বাড়িঘড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে যাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন, ওসমান গনি, গোলাম মোস্তফা, দরবেশ আলী, আরজ আলী, রাজা মিয়া, আব্দুর রহমান, আব্দুল কাদির, সোহরাব হোসেন, আব্দুল লতিফ, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলীসহ আরো অনেকে। এই হত্যাকা-ের পর আলবদর বাহিনীর সদস্যরা মোজাফফর আহম্মেদ খানের বাড়িসহ দুটি গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মোল্লার নেতৃত্বে একাত্তরের ২৪ এপ্রিল তার সহযোগী আল-বদর বাহিনীর প্রায় ৫০ জন সদস্য নিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহায়তায় আলোকদি গ্রাম ঘিরে নির্বিচারে গুলি করে ৩৪৪ জনকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৪ এপ্রিল ফজরের নামাজ পড়ে পাকবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে তুরাগ নদীর পারে আলোকদি গ্রামের পাশ্চিম পাশে অবতরণ করে। পূর্বদিকে হতে স্থানীয় আলবদর বাহিনীর নেতা আসামি আব্দুল কাদের মোল্লা তার সহযোগী আলবদর বাহিনীর প্রায় ৫০ জন সদস্য ও কতিপয় অবাঙালী বিহারীদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ও যোগসাজশে আলোকদি গ্রাম ঘিরে ফেলে ও নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে বাসু মিয়া, জহিরুল হক ওরফে জোরা মোল্লা, জেরাত আলী, ফোয়াদ আলী, শুকুর মিয়া, আওয়াল মোল্লা, ছলে মোল্লা, রুস্তম আলী ব্যাপারী, করিম মোল্লা, জয়নাল মোল্লা, কাশেম মোল্লা, বদরউদ্দিন, বিষু মোল্লা, অজল হক, ফজল হক, রহমান ব্যাপারী, নবী মোল্লা, আলামত মিয়া, মোকলেচুর রহমান, ফুলচান, নওয়াব মিয়া, ইয়াছিন ভানু, লালুচান ব্যাপারী, সুনু মিয়াসহ ৩৪৪ জনের অধিক লোককে হত্যা করা হয়।
আব্দুল কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় তার আলবদর বাহিনী নিয়ে শহীদ হযরত আলী লস্করের বাড়িতে ঢুকে মধ্যযুগীয় তা-ব চালায়। ঢাকার মিরপুরের ১২ নং সেকশনের কালাপানির ৫নং লাইনের ২১ নম্বর বাড়িতে এই তা-ব চালানো হয়। সেখানে আব্দুল কাদের মোল্লার নির্দেশে হয়রত আলী লস্করকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী আমেনা ও দুই শিশু মেয়ে খোদেজা ও তাছলিমাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ছোট ছেলে বাবুু, যার বয়স মাত্র ২ বছর তাকে মাটিতে আছড়িয়ে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় মেয়ে আমেনাকে (১১) পালাক্রমে ১২ জন মিলে ধর্ষণ করে।
একাত্তরের ২৬ মার্চ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে শহীদ হযরত আলী লস্কর হাফাতে হাফাতে দৌড়ে তার ঘটনাস্থলের বাড়িতে আসেন। তখন বাহির থেকে আসামি কাদের মোল্লার নেতৃত্বে বিহারী আক্তার গু-াসহ ১২/১৩ জন বিহারী পাকিস্তানী সেনা নিয়ে উক্ত হযরত আলীর বাড়িতে ঢোকে এবং বাইরে থেকে দরজায় লাথি মেরে হযরত আলীকে দরজা খুলে দিতে বলে দরজা না খুললে বোমা মারবে। এর পরও হযরত আলী লস্কর দরজা না খুললে আসামিরা বোমা মেরে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তখন হযরত আলী লস্কর একটি দা হাতে নিয়ে দরজা খোলেন। সঙ্গে সঙ্গে আসামি কাদের মোল্লার নির্দেশে পাক আর্মিরা ঘরে ঢুকেই প্রথমে হযরত আলী লস্করের পেটে গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে হযরত আলী লস্কর গুলি খেয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে যান। তখন হয়রত আলীর স্ত্রী আমিনা (অন্তঃসত্ত্বা) চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বের হলে আব্দুল কাদের মোল্লার নির্দেশে পাকিস্তানী আর্মি ও সঙ্গে থাকা বিহারী হযরত আলী লস্করের স্ত্রী আমিনা বেগমকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর তার ৩ নম্বর মেয়ে (বয়স অনুমান ৯ বছর) জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে ৪র্থ মেয়ে তাসলিমাকে (বয়স ৬/৭ বছর), তাকেও জবাই করে হত্যা করা হয়। ছোট শিশু (বয়স অনুমান ২ বছর) বাবুকে মাটিতে আঁছড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ দৃশ্য দেখে ঘরের ভিতর ট্রাংকের পিছন লুকিয়ে থাকা হযরত আলী লস্করের ২য় মেয়ে (বয়স অনুমান ১১ বছর) চিৎকার দেয়। এই চিৎকার শুনে আসামি আব্দুল কাদের মোল্লার সহযোগী (পরবর্তীতে আলবদর) উক্ত আমেনাকে চৌকির নিচে ট্রাংকের পিছন থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে তার পরনে থাকা প্যান্ট-ফ্রক খুলে ফেলে বিবস্ত্র করে ঘরের মেঝেতে ফেলে একজন একজন করে ধর্ষণ করে।

No comments

Powered by Blogger.