নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের ব্যস্ত সময়

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে সামাজিক বাণিজ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে ১০ম বার্ষিক ক্লিনটন গ্লোবাল মিটিংয়ে যোগ দেন। সেখানে হিলারি ক্লিনটন, আঁদ্রে জাং ও ড. ইউনূস জনাকীর্ণ এক হলে গ্রামীণ আমেরিকার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন যৌথভাবে। বলা হয়, নিউ ইয়র্ক সিটির হারলেম বরোতে ৭ হাজারেরও বেশি নারীর মালিকানাধীন বাণিজ্যে ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে গ্রামীণ আমেরিকা। এই হারলেম বরোতে ২৫শে সেপ্টেম্বর গ্রামীণ আমেরিকা ইনকরপোরেশনের নতুন শাখা উদ্বোধন করেন ড. ইউনূস। এ নিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতে এর ৭ম শাখা উদ্বোধন হলো। এছাড়া জ্যাকসন হাইটস, কুইন্স, ব্রুকলিন, ব্রোঙ্কস ও ম্যানহাটানে রয়েছে শাখা। যুক্তরাষ্ট্রের ৮টি শহরে বর্তমানে ১৯টি শাখা কাজ করছে গ্রামীণ আমেরিকার। তাদের উদ্দেশ্য স্বল্প আয়ের নারীদের শিক্ষিত করে তোলা। হারলেম শাখা উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ আমেরিকা ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আঁদ্রে জাং, অন্য সিনিয়র ম্যানেজার, কর্মকর্তা। প্রফেসর ড. ইউনূস নিউ ইয়র্কে ২০ থেকে ২৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করেন ১০ম বার্ষিক ক্লিনটন গ্লোবাল মিটিং ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক এডভোকেসি গ্রুপ মিটিংয়ে অংশ নিতে। এ সব বৈঠকে ব্যবসায়, বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও, সরকারি কর্মকর্তারা যোগ দেন। সেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সমাধান, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সফরের সময় তিনি সরকারি, ব্যবসায়ী, এনজিও নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। ২২ থেকে ২৮শে সেপ্টেম্বর ক্লাইমেট গ্রুপ আয়োজিত ৬ষ্ঠ ক্লাইমেট উইক-এ অংশগ্রহণ করেন ড. ইউনূস। হাইতিতে ইউনূস সামাজিক বাণিজ্য চালু করা নিয়ে আলোচনা করতে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী লরা লামোথি। এ সময় লামোথি তার দেশকে আন্তর্জাতিক সাহায্যমুক্ত করতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির আগ্রহ দেখান। এছাড়া, ড. ইউনূস জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী ড. গার্ড মুয়েলারের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন।

No comments

Powered by Blogger.