স্ল্যাব ও খুঁটি ভেঙে সেতু ব্যবহারের অনুপযোগী

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একটি লোহার সেতু যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ উপজেলাসহ দশমিনার দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাউফল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে বাউফলের নওমালা গ্রামে বান্ধের খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।


সেতুর উত্তর পাড়ে বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন ও দক্ষিণ পাড়ে দশমিনার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে বাউফল ও দশমিনা উপজেলার জনগণকে সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। নওমালা ইউনিয়নে দুটি ডিগ্রি কলেজ ও সিনিয়র মাদ্রাসা রয়েছে। লেখাপড়ার জন্য দশমিনার কয়েক শ শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন বাউফলে আসতে হয়। পাশাপাশি উত্তর পাড়ে কালাইয়া বাজার হওয়ায় দক্ষিণ পাড়ের ব্যবসায়ীদের ওই সেতু ব্যবহার করতে হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা গেছে, ২৪ বছর সংস্কার না করায় এটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই এর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির ওপরের অংশে বসানো সিমেন্টের তৈরি অধিকাংশ স্ল্যাবই নেই। কিছু স্ল্যাব ভাঙা। নিচের অংশে লোহার ছয়টি খুঁটির মধ্যে দুটি ভেঙে গেছে। এলাকাবাসী সিমেন্টের তৈরি দুটি পিলারের সাহায্যে সেখানে ঠেক দিয়ে রেখেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চার বছর ধরে এর ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল এখন সম্পূর্ণ বন্ধ।
নওমালা গ্রামের মো. সোহরাব হোসেন জানান, সেতুসংলগ্ন দশমিনার অংশে রয়েছে একটি হাট। সপ্তাহে তিন দিন ওই হাট বসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য তাঁদের ওপারে যেতে হয়। বান্দের হাটের ব্যবসায়ী সোবাহান মিয়া জানান, দোকান দশমিনার অংশে হলেও এই সেতু পার হয়েই বাউফল উপজেলার কালাইয়া হাট থেকে পাইকারি মালপত্র আনতে হয়।
বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মসিউর রহমান জানান, তাঁর ইউনিয়নের বেতাগী, সানকিপুর ও বেতাগী সানকিপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই বাউফলের নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ ও বাউফল ডিগ্রি কলেজ এবং পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় যায়।
নওমালা ইউপির চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য এলজিইডির স্থানীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইউনুচ মিয়া জানান, শিগগিরই সেতুটি সংস্কারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.