অ্যাঞ্জেলিনার ছবি কাঁদাল বসনিয়াবাসীকে (ভিডিও)

সার্বিয়ার এক পুরুষ বসনিয়ার এক মুসলিম নারীর প্রেমে পড়েন। সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলছিল। তাঁরা স্বপ্ন দেখছিলেন ঘর বাঁধার। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের ঘর বাঁধার স্বপ্ন হঠাত্ কোথায় যেন মিলিয়ে গেল। শুরু হলো সহিংসতা, রক্তের হোলি খেলা। ১৯৯২ সালে সংঘটিত বসনিয়া-হার্জেগোভিনার যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে। সেই যুদ্ধে প্রিয়জনকে হারিয়েছে অনেকে, অনেকে হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন।


বসনিয়ার সেই যুদ্ধকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে ‘দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানি’ নামের একটি চলচ্চিত্র। আর এর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হয়েছে হলিউডের হার্টথ্রব অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। বসনিয়ার রাজধানীতে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী দেখে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। দুঃস্বপ্নের সেই সময়ের কথা মনে করে অনেকে ডুকরে কেঁদেছে।
সিনেমাটি দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বসনিয়ার অধিবাসী ভ্রিকালো সারাজেভো বলেন, ‘আমার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই। বসনিয়ার যুদ্ধ আমার চোখের সামনেই হয়েছে। এই চলচ্চিত্র বেদনাদায়ক সব স্মৃতির কথা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে।’
বসনিয়ার আরেক নাগরিক সকোলভিক বলেন, ‘বসনিয়া-হার্জেগোভিনা যুদ্ধে কী ঘটেছে—এই চলচ্চিত্র তা আমাদের ভালভাবে মনে করিয়ে দেয়।’
চলচ্চিত্রটিকে বেশি বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য করতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্থানীয় কয়েকজনকে অভিনেতা হিসেবে বেছে নেন। ছবিটি দেখার পর বেশিরভাগ দর্শকেরই প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। বসনিয়া যুদ্ধের সময় সাংবাদিকতা করেছেন এমন একজন সাংবাদিক বলেন, যুদ্ধের সবকিছুই এ চলচ্চিত্রে ভালোভাবে উঠে এসেছে।
হলিউডের ফরেন প্রেস গোল্ডেন গ্লোব সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানিকে মনোনয়ন দিতে সম্মতি জানিয়েছে। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.