জয় দিয়ে শুরু কক্সসিটির

ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তো বটেই, এই প্রথম কোনো ম্যাচ খেলল কক্সসিটি ফুটবল দল। কদিন আগেই কক্সবাজারের স্থানীয় কিছু উৎসাহী ক্রীড়ামোদী মিলে দলটা তৈরি করেছেন বাংলাদেশ লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলার জন্য। তারই সুবাদে ফেডারেশন কাপের বাছাইপর্বে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচেই জয় নিয়ে কক্সসিটি উঠে গেল চূড়ান্ত পর্বে।
কাল নৌবাহিনীর বিপক্ষে জয়টি এসেছে নুরুল আবসারের দেওয়া একমাত্র গোলে। মৌসুম সূচক ফেডারেশন কাপের


নকআউট-ভিত্তিক বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। কক্সসিটির এই উত্তরণ ঘরোয়া ফুটবলের জন্য হয়তো তেমন আলোড়িত হওয়ার কিছু নয়। তবে দীর্ঘ বিরতির পর এই ম্যাচটা দিয়ে ঘরোয়া ফুটবল মাঠে নামাটা বড় খবরই।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পেশাদার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিয়ানীবাজারকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ওয়ারী। শীতের সন্ধ্যায় শাহীনুর করেছেন দুই গোল, অন্য গোলটি জাকিরের। সিলেট বিয়ানীবাজারে নাম লিখিয়েছেন ঢাকা মোহামেডানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাই বিয়ানীবাজারকে নিয়ে কৌতূহল ছিল অনেক। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী ওয়ারীর কাছে পাত্তাই পায়নি ৩০ মিনিটে ১০ জন হয়ে যাওয়া বিয়ানীবাজার। তবে এর পরও চূড়ান্ত পর্বে উঠতে সেনাবাহিনী-বিকেএসসি ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে প্লে-অফ খেলতে হবে ওয়ারীকে। এক টুর্নামেন্টে দুই নিয়ম!
এটা করা হয়েছে ১২ দলের বাছাইপর্ব থেকে পাঁচটি দলকে চূড়ান্ত পর্বে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এক ম্যাচ খেলেই চারটি দল যাচ্ছে চূড়ান্ত পর্বে। বাকি দুই দল প্লে-অফ খেলে উঠবে। ছয়টি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছে প্লে-অফের জন্য।
ঘরোয়া ফুটবল মাঠে নামলেও আসল উত্তাপটা পাওয়া যাবে বড় দলগুলো মাঠে নামার পর। সেই পর্বটা মানে চূড়ান্ত পর্ব ২ জানুয়ারি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে কাল। ৩০ ডিসেম্বর ড্র। ১৩ বা ১৪ জানুয়ারি ফাইনাল।
চূড়ান্ত পর্বে চমক দেখাতে চায় কক্সসিটি। সেই সামর্থ্য দলটির আছে বলে দাবি করলেন খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। যদিও এখনো কক্সসিটির কোনো অবকাঠামোই নেই। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে কাজ চলছে। এমনকি কাল কক্সসিটির সঙ্গে কোনো কোচও দেখা যায়নি।
গতবার পেশাদার লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক মাসুদ আলম এই কক্সসিটিরও অধিনায়ক। উচ্ছ্বসিত মাসুদ বলছিলেন, ‘গতবার পেশাদার লিগের ১৫-১৬ খেলোয়াড় ছিল কক্সবাজারের। এই দলে আছে সাত-আটজন। পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলার অনুমতি পেয়ে আমরা শহরে শোভাযাত্রা-মতবিনিময়সহ অনেক কিছু করেছি। ধন্যবাদ শামসুল হুদা টাইটেল ভাইকে, নতুন এই ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে আমাদের এত দূর নিয়ে এসেছেন তিনি।’

No comments

Powered by Blogger.