বিদেশেও দারুণ জনপ্রিয় হোগলা পাতার শোপিস

সুন্দরবনের হোগলা পাতার শোপিসের জনপ্রিয়তা এখন দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও দারুণ জনপ্রিয়। তালিকায় দিনদিন যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশের নাম। বাড়ছে চাহিদা, আসছে কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে গার্মেন্টস’র পাশাপাশি এ শিল্পও জাতীয় অর্থনীতিতে রাখতে পারে ব্যাপক অবদান।

এফবিসিসিআই আয়োজিত পঞ্চম এসএমই মেলায় অংশ নেওয়া গ্লোরিয়া ফ্যাশন এন্ড ক্রাফট’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) এসব তথ্য জানান।

গ্লোরিয়া ফ্যাশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) সাইফুল এইচ সরদার বাংলানিউজকে আরো জানান, হোগলা পাতার তৈরি ফুলদানি, ময়লা ফেলার ঝুড়িসহ বেশকিছু পণ্য বিশ্বের অনেক দেশেই এখন রফতানি হচ্ছে।

‘ব্যাপক চাহিদার তাদেরকে আরো আত্ববিশ্বাসী করে তুলেছে বলেও জানান তিনি।’

আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান ও কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাড়ন্ত চাহিদার কারণে দেশের অভ্যন্তরে সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

‘কাঁচামাল সংকটের কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন যেভাবে চাহিদা বাড়ছে তাতে এই খাতকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হলে বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।’

তিনি আরো জানান, হোগলা পাতার এসব পণ্য ছাড়াও তারা সম্পূর্ণ দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে তৈরি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ডিজাইনের মানিব্যাগ, ভ্যানেটি ব্যাগ, মহিলাদের হাতব্যাগ তারা রফতানি করছেন।

তিনি দাবি করেন গার্মেন্টসশিল্পে কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর এই শিল্পে ন্যূনতম কোনো বিদেশি কাঁচামাল নেই।

যে কারণে এই শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া দেশের জন্যই জরুরি বলে দাবি করেন তিনি।

এসএমই মেলায় প্রত্যাশার চেয়ে তাদের প্রাপ্তি বেশি উল্লেখ করে বলেন, মেলায় অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও কানাডিয়ার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য নেওয়ার জন্য চুক্তি করেছেন।

এছাড়া বাণিজ্যমেলায় বিক্রির জন্য অনেক দেশীয় প্রতিষ্ঠানও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছে।

এমএমই মেলাকে সফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলার প্রচার আরো বাড়ানো প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বাণিজ্যমেলার মতো বছরের নির্ধারিত তারিখে এসএমই মেলা করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব বলেও দাবি করেন তিনি।

এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, ক্রেতা আর অর্থায়নকারীদের খুব কাছাকাছি আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা শেষ হচ্ছে শনিবার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা মেলায় আসছেন প্রযুক্তি, বাজার আর অর্থায়ন বিষয়ে খোঁজ নিতে।

মেলায় রয়েছে প্লাস্টিক ফার্নিচার, টেক্সটাইল, হ্যান্ডিক্রাফটস, পাটপণ্য, বৈদ্যুতিক তার, জেনারেটর, খাদ্য ও অর্গানিক ফুড, তৈজসপত্র সামগ্রী, শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, বিস্কুট, সিরামিক, ছাপার কালি, স্প্রিং ও ফিল্টার, স্যানিটারি ফিটিংস, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হারবাল, হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং রিয়েল এস্টেট খাতের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পণ্য।

এছাড়া দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি ব্যাংক অংশ নিয়েছে। এসব ব্যাংক এসএমই উদ্যোক্তাদের কিভাবে কত টাকা ঋণ প্রদান করছে তা প্রচার করছে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকগুলোর কী কী ঋণ সুবিধা আছে তা জানা যাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.