মত ও মন্তব্য-রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি by হারুন হাবীব

য়েক দিন আগে একটি টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ওপর একটি আলোচনায় অংশ নিয়েছিলাম। আমার মতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন একটি আলোচনা গুরুত্ব বহন করে। এর প্রধান কারণ, আমরা স্বাধীনতার চলি্লশ বছর পরও সহনশীল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে পারিনি। ব্যর্থ হয়েছি রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা দেখাতে। পারিনি সংযত, গণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলতে, সাংবিধানিক আচার-আচরণ রপ্ত করতে।
আগের দিনের রাজনীতির সঙ্গে ইদানীংকার রাজনীতির যতটাই পার্থক্য থাক না কেন, রাজনীতি মূলতই নীতি-আদর্শভিত্তিক। সে আদর্শ বা ভাবাদর্শর্কে কেন্দ্র করেই রাষ্ট্র ও সমাজের স্বার্থে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নিরূপণ করা হয়। গণসমর্থনে পুষ্ট হয়ে যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা, আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করবেন। সব কিছুই চলবে রাষ্ট্রের সংবিধান ভিত্তি করে, আমাদের দেশে যে সংবিধান জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের মাঝ দিয়ে জন্ম হয়েছে।
রাষ্ট্রক্ষমতা অধিকারীদের কর্মকাণ্ড বা কর্মসূচির বিরোধিতা গণতান্ত্রিক আচরণের অন্যতম প্রধান শর্ত। কাজেই রাজনৈতিক বিরোধীরা সাংবিধানিক অধিকারেই সরকারের সমালোচনা করবেন, জনমত গঠন করবেন এবং পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। জনগণই ঠিক করবেন পুরনোরাই থেকে যাবে নাকি নতুনরা আসবে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের রাষ্ট্রে এ কালচারটি চলি্লশ বছরেও স্থায়িত্ব লাভ করেনি। ফলে রাজনৈতিক সংকট কখনো কাটেনি, ঘুরেফিরে এসেছে, রাষ্ট্র ও সমাজকে উত্তরোত্তর অসহিষ্ণুতার দিকে, সহিংসতার দিকে ধাবিত করেছে।
অবশ্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুঃখটা, আমার ধারণা, রাষ্ট্র বা রাজনীতি ব্যবস্থার গতানুগতিক সংকটের চেয়ে বেশি। এর প্রধান কারণ এই নয় যে দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক জোট পরস্পরবিরোধী মতাদর্শের অনুসারী। যেকোনো দেশেই পরস্পরবিরোধী আদর্শের রাজনৈতিক দল আছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের স্বরূপ, কিছু পশ্চিম দেশীয় পর্যবেক্ষক_এমনকি তাঁদের এ দেশীয় অনুসারীরা যেভাবেই মূল্যায়ন করুন না কেন, আমার মতে, আরো বেশ গভীরে প্রোথিত। খুব সহজ করে কথাটি বলতে গেলে বলতে হয়, বাংলাদেশের বয়স চার দশক পেরিয়ে গেলেও তার জন্মের ইতিহাস আজও দেশটির রাজনীতিকে প্রভাবিত করে যাচ্ছে। দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী মনে করে যে বিএনপি নামের বড় রাজনৈতিক দলটির ছত্রচ্ছায়ায় শুধু দেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী নয়, আরো অন্যান্য 'পাকিস্তানপ্রেমী' গোষ্ঠীগুলো হাল আমলেও পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। হচ্ছে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে গড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে ষড়যন্ত্র, যে ষড়যন্ত্রের প্রধান কারণ সাম্প্রদায়িকতার পুনরাবিষ্কার, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যে ভারত বাংলাদেশের জন্মকে সহায়তা করেছিল, তার বিরুদ্ধাচরণ এবং একাত্তরের মাঠে তাদের পিতৃপুরুষদের ঐতিহাসিক পরাজয়ের শোধ নেওয়া। এর বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার প্রধান ধারাটি বহন করে আরো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, যে দলটি জাতির মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেছিল এবং আজও, সমালোচনা-সীমাবদ্ধতার পরও, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী সম্মিলিত মঞ্চের প্রধান সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। অতএব রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার ইতিহাস, ৪০ বছর পরও যখন জাতীয় রাজনীতির প্রধান উপাত্ত হয়, তখন সন্দেহ-অবিশ্বাস বা পারস্পরিক আস্থাহীনতা কমানোর বিন্দুমাত্র কারণ থাকে না। বাংলাদেশের রাজনীতির আরো যে সংকটটি আবির্ভূত তা হচ্ছে, বিএনপির শীর্ষ নেত্রী বা তার প্রধান নেতারা দলীয় নীতি-অবস্থানে কখনোই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসেননি, আসার প্রয়োজন বোধ করেননি, বরং কখনো কখনো প্রকাশ্যেই সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের প্রকাশ্য সমর্থক হতে পারার মাঝে নিজেদের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার কৃতিত্ব খুঁজে পেয়েছেন!
কাজেই গতানুগতিক রাজনৈতিক সংকটের বাইরেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সংকটটি মৌলিক, যাকে অবহেলা করার কোনোই সুযোগ নেই, যদিও সিভিল সোসাইটির অনেকেই, হয়তো তাদের অবস্থানের কারণে এ বিষয়টিকে আমল দিতে কুণ্ঠাবোধ করে থাকেন। আমি সর্বান্তঃকরণেই এ সংকট উত্তরণের পক্ষে এবং যত শিগগির তা সম্ভব হয় জাতির জন্য ততই মঙ্গলময় বলে মনে করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রায় তিন বছর হতে চলল। অতীত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় বলা যায়, সামনের দুটি বছর সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের নানামুখী চাপের মধ্য দিয়েই এ সরকারকে চলতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনে পরাজিত দল বা জোট প্রথমত নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে চায় না এবং বলতে গেলে, প্রায় প্রথম দিন থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। এ ধারার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বা অদূর ভবিষ্যতে হবে_এমন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
এর পরও বলি, সরকারবিরোধীরা সাংবিধানিকভাবেই সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা বা বিরোধিতা করার অধিকার রাখেন। কিন্তু সরকারকে নির্বাচনের আগে 'উৎখাত' করার অধিকার রাখেন কি না_তা অবশ্যই প্রশ্নসাপেক্ষ। এ ধরনের উৎখাত সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত যেমন নয়, তেমনি গণতান্ত্রিক আচরণও নয়। বলতেই হবে, কোনো স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে নির্বিঘ্নে বা অবাধে তার কর্মকাণ্ড করতে দেওয়ার মাঝে সরকারের গণতান্ত্রিক মানসিকতা পরিস্ফুট হয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকারের সীমানায় জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানো যেমন গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি গ্রহণযোগ্য নয় নির্বিচারে যানবাহন পোড়ানো, দোকানপাটে অগি্নসংযোগ এবং সহিংসতা ঘটানো। আর সরকার যদি তার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কারণেই এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়, তাহলে তাকে কতটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলা যাবে_ সেটিও ভেবে দেখার বিষয়।
সম্প্রতি (সম্ভবত ১৯ সেপ্টেম্বর) জামায়াতে ইসলামী দলটি ঢাকা ও চট্টগ্রামে যে ধরনের সহিংসতা ঘটিয়েছে, যেভাবে নির্বিচারে রাষ্ট্রীয় যানবাহনে আগুন দিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক অধিকারের সীমা নিয়ে অবশ্যই শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। আবার সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনকারীর বুকে কোনো পুলিশ সদস্য তাঁর বুট তুলে ধরবেন, নির্বিচারে নির্যাতন চালাবেন, এটিও মেনে নেওয়ার কারণ নেই। মেনে নেওয়া যাবে না এ কারণে যে রাজনৈতিক অধিকারের যেমন সীমা আছে, সীমা আছে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষেরও। মোটকথা, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে সব পক্ষের জন্যই সীমানা বেঁধে দেওয়া আছে। অধিকারের যেমন সীমানা আছে, আইন প্রয়োগকারীর অধিকারেও সীমানা আছে। এর ব্যতিক্রম রাষ্ট্রকে কখনো সভ্য, গণতান্ত্রিক বা সহনশীল করে না। অনেকেই মনে করেন, আমার নিজেরও বিশ্বাস, বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন এক সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন কোন ধরনের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে সে বিতর্কে সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। সরকারের ইচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রী অতিসম্প্রতি যথেষ্টই খোলাসা করে দিয়েছেন, সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী মতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, প্রচলিত, পৃথিবীর প্রতিটি দেশে যেভাবে নির্বাচন ঘটে, সেভাবেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বা জামায়াতে ইসলামীসহ তাদের জোট বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। না হলে রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে উৎখাত বা বিদায় করা হবে। বেগম খালেদা জিয়া ইতিমধ্যেই আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সরকারের সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এ ধরনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার মধ্যে মেঠো রাজনীতির বাহবা হয়তো থাকে, কিন্তু রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কতটা থাকে_তা অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়।
অনস্বীকার্যভাবেই বোঝা যাচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা না করাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতি আবারও বড় ধরনের এক পরিণতির দিকে ছুটছে। সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থানে ১০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে কথা বলছেন, তাতে তিনি তাঁর কথা না মানলে সরকারকে টেনে নামিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবেন_এমনটাই ভাবতে হয়! তিনি তা কতটা পারবেন বা পারবেন না, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে, কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাবে_এ কথা অনস্বীকার্যভাবেই বলা যায়।
মোটকথা, গণতান্ত্রিক রাজনীতিচর্চায় যে পরিবর্তন আশা করা হয়েছিল_তা হয়নি। বলাবাহুল্য, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান না হলে রাজনীতি আরো গভীর সংকটে পড়বে। এখানে আরো একটি প্রসঙ্গ আলোচিত হওয়া জরুরি। পৃথিবীর দেশে দেশে নির্বাচন কে পরিচালনা করে? সরকার না নির্বাচন কমিশন? বলতেই হবে সেটি নির্বাচন কমিশন, সাংবিধানিকভাবে গঠিত যে কমিশন ভোট-সংক্রান্ত প্রতিটি কাজের তদারকি করে, পরিচালনা করে এবং প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ ও চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। এসব কারণেই নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করা হয়, যাতে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব না খাটে। আমাদের দেশের বেলায়ও সাংবিধানিক সে স্বীকৃতি বহাল আছে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কোনো কোনো সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনে দলীয় স্বার্থ দেখার অপকৌশল করেছে, যাতে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে। কাজেই নির্বাচন কমিশন গঠনে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনবোধে সব মহলের মধ্যে আলোচনা বা সমঝোতা জরুরি। আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনে সেই আলোচনার পক্ষে তাঁর সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন।
দেশের বিরোধী দল জাতীয় সংসদে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। এটি রাজনীতির শুভ লক্ষণ নয়। তারা হয়তো এটিই ধরে নিয়েছে যে রাজপথের আন্দোলন দিয়েই তারা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করাতে সক্ষম হবে। কিন্তু পরিস্থিতি কখন কোনদিকে গড়াবে তা কেউই বলতে পারে না। অতএব সংকট নিরসনে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। এটিই এখনকার স্পষ্ট বিষয় যে বিরোধীদলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে এক দফার আন্দোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা মাসব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে। মোটকথা, রাজনীতি আবারও একটি সংকটে পড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনের এ অস্থিরতা অদূর ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। আলোচনার টেবিলে বসা সম্ভব না হলে এ অস্থিরতা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হবে। এ বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কারণ সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুল আজিজের বিতর্কিত নিয়োগ ও ভূমিকার কারণেই ২০০৬ সালের শেষদিকে মহাজোট আন্দোলনের সূত্রপাত করে। বিরোধীদলীয় নেতা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সরকারেরও সে আলোচনায় অনিচ্ছা নেই। মহাজোট নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আলোচনার কথা বলেছেন, কিন্তু তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে দেশের শীর্ষ আদালতের রায় মেনে এবং অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতায় আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা কোথায় হবে? সরকারি দল অবশ্যই চাইবে সেটি হোক জাতীয় সংসদে। কিন্তু বিরোধী দল? যারা নির্বাচন করেও সংসদে যেতে চায় না, তারা কি সংসদে যাবে? গেলে মঙ্গল। কারণ রাজনীতি আবারও সহিংস হয়ে উঠুক_এটি কেউ চাইতে পারেন না। অতএব আলোচনার বিকল্প নেই।
লেখক : কথাসাহিত্যিক, রাজনৈতিক
বিশ্লেষক ও সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.