টাইমলাইন ফেসবুকে দিনলিপি by মামুন কবির

সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক এখন কেবল যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এটি ব্যবহারকারীর দিনলিপি, মতামত ও দৈনন্দিন কাজকর্মের বিবরণ হয়ে উঠেছে। হয়ে উঠেছে ডায়েরির মতোই। ডায়েরির মাধ্যমে একজন যেমন তার অতীতে ফিরে যেতে পারেন তেমনি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকেও সে সুবিধাটি রয়েছে। তবে এতদিন কেউ ফেসবুকে চাইলেই তার নির্ধারিত দিন বা মাসের কার্যক্রম দেখার সুযোগ পেতেন না। যেমন_ ব্যবহারকারী চাইলেই


২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসের ফেসবুক অ্যাকটিভিটিগুলো দেখতে পারবেন না। এ জন্য তাকে তার ফেসবুক ওয়াল ধরে একটু করে নিচে নামতে হবে। বারবার ওয়ালে 'মোর স্টোরিজ' ক্লিক করতে হবে। এক বছর আগের অ্যাকটিভিটি দেখার জন্য নিশ্চিত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হবে। ধীরগতির ইন্টারনেট থাকলে তো এটি কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। তবে ফেসবুক এবার সে সমস্যার নতুন সমাধান নিয়ে এসেছে ফেসবুক টাইমলাইন। কয়েক মাস ধরে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ফেসবুক টাইমলাইনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কোনো বছর বা মাসের সব অ্যাকটিভিটি দু'ক্লিকেই দেখার সুযোগ পাবেন। ব্যবহারকারী নিজে যেমন তার তথ্য দেখতে পারবেন তেমনি তথ্যগুলো দেখার সুবিধা পাবেন তার বন্ধুরাও। ব্যক্তিগত ডায়েরিতে যেমন নিজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশেষভাবে হাইলাইট করে রাখা যায়, তেমনি ফেসবুক টাইমলাইনে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাটাস বা ছবি টাইমলাইনে হাইলাইট [ফিচারড] করে রাখা যাবে। টাইমলাইন নতুন করে চালু করলে ফিচারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখার সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি চালুর পর ব্যবহারকারীরা সাত দিন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবেন। এ সময়ের মধ্যে টাইমলাইন প্রকাশ করতে হবে অথবা এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রকাশিত হয়ে যাবে। ব্যবহারকারী ফেসবুকে যেসব লেখালেখি করছেন তা নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে 'অ্যাকটিভিটি লগ' অপশন। টাইমলাইন ব্যবহারের পর অন্য ব্যবহারকারীর কাছে এটি কী রকম দেখাচ্ছে তা জানার জন্য ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের পাশে অ্যাকটিভিটি লগের পাশের বাটনে ক্লিকের পর 'ভিউ অ্যাজ' বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেওয়া সব পোস্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। টাইমলাইনে সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটি নতুন ব্যবহারকারীর চোখে পড়বে সেটি হচ্ছে কভার ফটো। এটি ফেসবুক প্রোফাইল ছবির পাশাপাশি একটি বড় ছবি। সেটি প্রফাইল ছবির ওপরেই থাকে। টাইমলাইনে ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিত্যনতুন এ পরিবর্তনে বেশ সমালোচনাও কুড়িয়েছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এ সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে তার পরিকল্পনা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ফেসবুক ব্যবহারকারীর জীবনের ইতিহাস বলবে।' www.facebook.com/about/timeline ঠিকানায় গিয়ে 'গেট ইট নাউ' বাটনটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে ুন ফিচারটি চালু করা যাবে। ফেসবুক প্রফাইলটি করে ফেলতে পারেন একেবারে জীবন্ত এবং গল্পে পড়া টাইম মেশিনের মতো ঘুরে আসা যাবে ফেসবুকে নিজের জীবনের অতীত কার্যক্রম থেকে!

No comments

Powered by Blogger.