সংসদীয় তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানালেন ছাত্রনেতারা

বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা ২০০৭ সালের আগস্টে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর সেনা নিপীড়নের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সেনাসমর্থিত অগণতান্ত্রিক সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো ছাত্রসমাজের ওপর আঘাত হেনে প্রকারান্তরে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকেই নির্বাসিত করতে চেয়েছিল। সেনা গোয়েন্দা সংস্থা-ডিজিএফআই রাজনৈতিক


প্রক্রিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রক্ষমতায় অসাংবিধানিক ও অশুভ শক্তির অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ সব সদস্যকে অভিনন্দন জানান। তারা তৎকালীন সরকারপ্রধান ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদসহ তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিচার, রাজনীতিতে সেনাবাহিনী ও সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সব ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ, নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রদের ক্ষতিপূরণ, বিরাজিত সব মামলা ও দ স্থায়ীভাবে বাতিলের দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সহসভাপতি অপর্ণা পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, বর্তমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ছাত্রদলের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসরাম ফিরোজ, ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মানবেন্দ্র দেব, ছাত্রলীগের (জাসদ) তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, ছাত্র মৈত্রীর তৎকালীন ও বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন ও বাপ্পাদিত্য বসু, সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবদুল হামিদ, সেনানির্যাতিত ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, রফিকুল ইসলাম সুজন এবং খোমেনী ইহসান।

No comments

Powered by Blogger.