মিসরে নতুন করে গণবিক্ষোভ

মিসরে সেনাশাসনের অবসান দাবিতে গতকাল শুক্রবার ফের বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। কয়েকদিন আগে বিক্ষোভ ও ব্যাপক সহিংসতায় ১৭ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর আবারও বিক্ষোভের ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাবাহিনীর নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মিসরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ উইমেন এজেন্সি জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ
বিক্ষোভে নারী-শিশুসহ বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রধান মিচেল বেচলেট বলেন, আমরা মিসরের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষকে দেশটির নারীদের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। খবর এএফপি, আলজাজিরা, বিবিসি।
উল্লেখ্য, কায়রোয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে নতুন বিক্ষোভের ডাক দিয়ে এক বিবৃতিতে ২৪টি দল, ইয়ুথ মুভমেন্ট ও আরও অনেকেই কায়রোর এইন শামস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণবিক্ষোভ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল জুমার পর কায়রোর তাহরির স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে জড়ো হয়। এ সময় তারা সেনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করে। আগামী ২৫ জানুয়ারি মিসরে মুবারকবিরোধী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি হবে। বিক্ষোভকারীরা এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের প্রতি ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানায়।
সেনাশাসনের দাবিতে রাজধানীতে পাঁচদিন ধরে সেনা ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এইন শামস বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন নিহত হয়। আর এতে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের জেনারেলরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'নিজেদের ভূমিকা পালনে সেনা পরিষদের অনিচ্ছার কারণে আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁৗছেছি। তাদের ইচ্ছাকৃত টানাহেঁচড়া, দায়িত্ব ভঙ্গ, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা দানে ব্যর্থতায় পুরো দেশ এক বড় ধরনের সংকটের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।' এদিকে মিসরের সংসদীয় নির্বাচনের প্রতিনিধিত্বকারী মুসলিম ব্রাদারহুডের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) এ আন্দোলনে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.