আট বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা কবে? by আলাউদ্দিন

র্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল আট বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা। কিন্তু বর্তমান সরকারের মেয়াদ তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও এ বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী দু'বছরের মধ্যে এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে না। কারণ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারের নেই। আমার মতে, কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ ছাড়া বর্তমান অবকাঠামোতে ও বর্তমান জনবল দিয়েই ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম


শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা সম্ভব, আমার প্রস্তাবগুলো নিম্নরূপ_ ১. যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে একই ক্যাম্পাসে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে সেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণী কার্যক্রমের জন্য যেসব শ্রেণীকক্ষ আছে সেগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আপাতত ৫ বছরের জন্য ব্যবহার করতে দিতে হবে।
২. সাধারণত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী থাকেন। এই জনবলকে দু'ভাগে ভাগ করতে হবে। ১৩ জনের মধ্যে ৫ জনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করতে হবে। তবে তাদের বর্তমান আর্থিক সুবিধা কোনো অবস্থাতেই কমানো যাবে না। অর্থাৎ তারা এমপিওপ্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এলেও পাবেন। তবে এসব শিক্ষককে ৫ বছরের মধ্যে জাতীয়করণ করা হবে_ এ প্রতিশ্রুতি সরকারকে দিতে হবে।
৩. যেসব এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেসব এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীকে সংযুক্ত প্রাথমিক শাখা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, প্রাথমিক শাখার জনবলকে ওই নিয়মে পৃথক করতে হবে। প্রাথমিক শাখার একজন সিনিয়র শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। তিনি প্রশাসনিক দিক দেখাশোনা করবেন, প্রতি মাসের সমন্বয় সভায় যোগ দেবেন। প্রাথমিক শাখার শিক্ষকদেরও ৫ বছরের মধ্যে জাতীয়করণ করতে হবে।
৪. সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ করে নবম শ্রেণী থেকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে হবে। এতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণী খোলা সহজ হবে। কারণ, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক মাস্টার্স ডিগ্রিধারী।
আশা করি, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখবেন।
য় সহকারী শিক্ষক, পশ্চিম সিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী

No comments

Powered by Blogger.