যে খবর নাড়া দেয়-আলোর পথযাত্রী


কালের রোদ্দুর এসে লেগেছে ওদের চোখেমুখে। ক্যামেরাবন্দী হতে পারার খুশিতে হাসি ঝিলিক দিচ্ছে কারও কারও ঠোঁটের কোনায়। কারও হাতে স্কুলব্যাগ। কারও হাতে বই-খাতা। এমনিতে খুব সাদামাটা একটা দৃশ্য। আবার ভেবে দেখলে অসাধারণ। কারণ, ক্যাপশন বলছে ছবিটা রাঙামাটির। এই দেবশিশুরা দল বেঁধে অপেক্ষায় আছে। বিদ্যার্জনের জন্য ওরা যাবে অন্যপাড়ায়, শিক্ষকের বাড়ি। সামনে নতুন ক্লাসে ওঠার ভর্তি পরীক্ষা। হাতে একদম সময় নেই।


তাই তৈরি হচ্ছে ওরা। ওই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করেছেন আলোকচিত্রী সুপ্রিয় চাকমা। (সূত্র: প্রথম আলো, ১৯ ডিসেম্বর ২০১১)।

শিক্ষার আলো কী দারুণভাবে এসে পৌঁছে গেছে এই দূর পাহাড়ি জনপদেও। এই ফুটফুটে শিশুর দল একদিন শিক্ষায়-দীক্ষায় বড় হবে। এদের বুকে থাকবে বাংলাদেশ। ওদের সবাই হয়তো পারবে না, কিন্তু ওদের কেউ একজন নিশ্চয়ই হবে মহাকাশ বিজ্ঞানী। খ্যাতিমান গবেষক। আরও কত কী। ওরা ছড়িয়ে পড়বে দেশে-বিদেশে। সারা দুনিয়ার কাছে জানিয়ে দেবে—এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভাবতেই ভালো লাগে।
একেকটা শিশু একেকটা অনন্ত সম্ভাবনা। ওদের সেই সম্ভাবনাটুকুকে ডানা মেলার সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। ওরা যেন থাকে দুধে-ভাতে। এই আলোর পথযাত্রী শিশুদের জয় হোক।
 ই. হো. চৌ

No comments

Powered by Blogger.