অপেক্ষায় শচীন

দুটি সেঞ্চুরি। দু'জনের এ দুটি সেঞ্চুরি হলেই হাফ ছেড়ে বাঁচবে যেন ক্রিকেট বিশ্ব। এ দু'জনের একজন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং এবং অন্যজন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। দু'জনের দুটি সেঞ্চুরির প্রত্যাশার কারণ অবশ্য ভিন্ন। শচীনের সেঞ্চুরির প্রত্যাশা শততম মাইলফলকে পেঁৗছার। আর পন্টিংয়ের সেঞ্চুরির প্রত্যাশা ক্যারিয়ার বাঁচানোর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বক্সিং ডেতে শুরু হতে যাওয়া চার টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে যদি শচীন


সেঞ্চুরিটি পেয়েই যান, তাহলে অবসান হবে দীর্ঘ অপেক্ষার। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৯১ রানে আউট হয়ে যাওয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৬ এবং মুম্বাইতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৯৪ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর শচীনের শততম সেঞ্চুরিটি এখন যেন একেবারে আরাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভক্তরা আশায় বুক বেঁধে আছেন, গ্যালারিতে বসে শচীনের শততম সেঞ্চুরিটির প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়ার জন্য। অথচ বারবার আশাভঙ্গের বেদনা নিয়ে তাদের ফিরতে হয়েছে ঘরে। মেলবোর্ন কি সেই ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে? দেখার বিষয়। শচীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ানদের প্রত্যাশা, আরেকটি সেঞ্চুরি আসুক তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিংয়ের ব্যাট থেকে। টানা দু'বছর যার ব্যাট একটিও সেঞ্চুরি উপহার দিতে পারেনি, যার ব্যাট দীর্ঘদিন কথা বলছে না অস্ট্রেলিয়ার হয়ে, যিনি বাজে ফর্মের কারণে বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন, তাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি মাত্র সেঞ্চুরি। আর এ সেঞ্চুরিটি চাই অবশ্যই মেলবোর্নে। গত চার ইনিংসে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করার কারণে পন্টিং নিজেকে কিছুটা হলেও বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোবার্ট টেস্টে কিছু করতে না পারায় তাকে নিয়ে প্রশ্নটা আবারও উঠেছে। তবুও বক্সিং ডে টেস্টের দলে ঠাঁই পেয়েছেন পন্টিং। এবার নিজেকে প্রমাণ করার পালা তার। শচীনের সঙ্গে ফিরে আসতে চান তিনিও।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ডন ব্র্যাডম্যানের পর রিকি পন্টিংকেই ভাবা হয় গ্রেট ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৩৯টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ১২৬৫৬ রান নিয়ে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীও তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে তো সেরা। অথচ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই সফল অধিনায়কই কি-না এখন সব তোপের মুখে। তবে অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক মনে করেন, 'পন্টিং অবশ্যই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারবেন। একবার তিনি যদি একটা ভালো স্কোর করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই শচীনের মতো চাপমুক্ত হবেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আরও অবদান রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয়, রিকি যতদিন দলে থাকবেন, ততদিন তরুণ ক্রিকেটাররা অনেক সহযোগিতা পাবেন তার কাছ থেকে। রিকিকে দেখে তারা উদ্বুদ্ধও হতে পারবে।'

No comments

Powered by Blogger.