গ্যাস সরবরাহে হলিডে স্ট্যাগারিং-চট্টগ্রামে রি-রোলিং ও সিমেন্ট মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন

লিডে স্ট্যাগারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন রি-রোলিং মিলের মালিক, শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় এক ঘণ্টাব্যাপী নগরীর পূর্ব নাছিরাবাদ শিল্প এলাকায় চট্টগ্রাম স্টিল রি-রোলিং মিলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে বিএসআরএমের পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে আমাদের রি-রোলিং মিলের বিভিন্ন ইউনিট বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। অর্ডার অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ করতে পারছি না। এভাবে চললে চট্টগ্রামে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।


মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সালেহ স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক ইকবাল বলেন, 'চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্র করে কৃত্রিমভাবে গ্যাস সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। ঈদের আগে আমাদের কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আমরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারছি না। আমাদের পুঁজি, বিনিয়োগ সব কিছুই হুমকির মুখে পড়েছে।
ইসলাম স্টিলের মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছরে গ্যাস সংযোগের অভাবে শুধু চট্টগ্রামেই ৩৮টি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে গ্যাস সংকটের কথা বলা হলেও ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় চট্টগ্রামের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, উৎপাদিত সারের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রচুর টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। যার তুলনায় সার আমদানি খরচ আরো অনেক কম। তাই সরকার সার আমদানি করলে একদিকে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে অন্যদিকে সরকার লাভবান হবে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলে হলিডে স্ট্যাগারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের কারণে সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (কেজিএসএল)।
  • এদিকে সপ্তাহে তিন দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধের প্রতিবাদে কনফিডেন্স সিমেন্ট কারখানার সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গতকাল কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের কোথাও গ্যাস বন্ধ না করে একতরফাভাবে চট্টগ্রামে গ্যাস বন্ধ করায় এই অঞ্চলের সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

No comments

Powered by Blogger.