আজ শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা : মোট পরীক্ষার্থী ১৮ লাখ ৬১ হাজার

জ থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। সারাদেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৬১ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে জেএসসি-তে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪২২ জন এবং জেডিসি-তে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০২ জন।শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।


সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর নোমান উর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, গতবারের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩১১ জন। মোট কেন্দ্রসংখ্যা ২০০৯টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৭ হাজার ৬১৪টি। পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮৫ জন বেশি ছাত্রী অংশ নিচ্ছে। এবার মোট ছাত্রের সংখ্যা ৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৪ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯ জন। এবার পরীক্ষায় মোট অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪৯ জন। মন্ত্রী জানান, এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। এ পরীক্ষার বহুমুখী প্রভাব রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আরও আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী করে তুলবে। ফলাফল ভালো করার জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সবাই আরও মনোযোগী ও আন্তরিক হবেন। পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভীতিও কমে যাবে। গত বছর প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেয়া হয়েছে, এ বছর সময় বৃদ্ধি করে ২০ মিনিট করা হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাড়াও অন্যান্য প্রতিবন্ধীর (যাদের হাত নেই বা হাত দিয়ে লিখতে পারে না) জন্য শ্রুতিলেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথমপত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র ও গণিত ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমোদন নেই, সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের যে কোনো অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। গতবারের মতো এবার পরীক্ষায় যারা ৩ বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য হবে তাদের ৯ম শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ থাকছে। তবে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অবশ্যই পাস করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ পাস দেখানোর জন্য তুলনামূলক দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখা হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলবে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। ১ নভেম্বর জেএসসির বাংলা প্রথমপত্র ও জেডিসির বাংলা সাহিত্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

No comments

Powered by Blogger.