টঙ্গীতে সহপাঠীর হাতে শিশু খুন

মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে টঙ্গীতে সহপাঠীর হাতে খুন হয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্র। রবিবার গভীর রাতে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে পুলিশ নিহত রমজান আলীর (১১) লাশ উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত নাজমুল হককে।নিহত রমজানের বড় ভাই এরশাদ হোসেন জানান, শুক্রবার থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আগেই তাঁরা জানতে পেরেছিলেন, একটি মোবাইল ফোন নিয়ে সহপাঠী নাজমুলের সঙ্গে রমজানের ঝগড়া ও মারামারি হয়েছে। নাজমুল ও রমজান কাদেরিয়া সুতাকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত।


নাজমুলকে কৌশলে বাসায় ডেকে এনে তিনি ভয় দেখিয়ে রমজানের খোঁজ জানার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে খুনের ঘটনা। পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর নাজমুলের স্বীকারোক্তিমতে কাদেরিয়া সুতাকল শ্রমিক কলোনির পাশের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে রবিবার রাতে রমজানের লাশ উদ্ধার করা হয়। নাজমুলের বরাত দিয়ে এরশাদ বলেন, শুক্রবার দুপুরে রমজানকে মাথায় লাঠির আঘাতে অজ্ঞান করে জিআই তার গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
টঙ্গী থানার এসআই আবুল বাশার বলেন, অভিযুক্ত নাজমুল হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছে, সে নিজেই হত্যার পর রমজানের লাশ টেনে এনে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। এতে তাদের বাড়ির কেউ কেউ সহায়তা করে।

No comments

Powered by Blogger.