চসিক কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ-এগারো মাস পর দিনে পরীক্ষা, রাতে বাতিল by আহমেদ কুতুব,

ট্টগ্রাম নগর সংস্থার ছয়টি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ১১ মাস পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু 'যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি' না পাওয়ার অজুহাতে ওই দিন রাতেই লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছেন নিয়োগ কমিটির সদস্য সরকারি কলেজের চারজন অধ্যক্ষ।সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, নিয়োগ কমিটির সদস্য চারজন অধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু চার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে এমন কোনো আলোচনা হয়নি।


জানা যায়, নগরের চারটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষরা গত ২৮ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ ২৫ পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিতদের তালিকা তৈরির কিছুক্ষণ পর পরীক্ষাটি বাতিল ঘোষণা করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর করপোরেশনের পাঁচলাইশ এস এম নাসির উদ্দিন কলেজ, দেওয়ানহাট কলেজ, কায়সার-নীলুফার কলেজ, পতেঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কুলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও জরিনা-মফজল কলেজে অধ্যক্ষের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এতে প্রভাষক হিসেবে ১২ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার জন্য ১৩৬ জনের কাছে প্রবেশপত্র পাঠানো হলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১০১ জন। ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২৭ নম্বর থেকে ১৭ নম্বর পেয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, আগামী ১৩ নভেম্বর করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সরওয়ার-ই-আলম অবসরে যাবেন। তিনি অবসরে যাওয়ার আগে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি তাঁরা। পছন্দের ব্যক্তিদের নাম মৌখিক পরীক্ষার তালিকায় না আসায় কূটকৌশল করে লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.