'বিশ্বাসঘাতক' রোনালদিনহো!
ছাপা হচ্ছে রোনালদিনহোর ছবিযুক্ত ১০ হাজার 'বিশেষ' ব্যাংক নোট। তৈরি হয়েছে বিশাল এক ব্যানার। ছোটবেলার ক্লাব গ্রেমিওর মাঠে ফিরছেন 'আর-টেন', তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হবে না!এ পর্যন্ত শুনে মনে হতেই পারে, আজ রাতে যখন ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে স্তাদিও অলিম্পিকোয় খেলতে নামবেন রোনালদিনহো, তখন আবেগের ঝড় বইবে গ্যালারিতে। বইবে ঠিকই, তবে সেই আবেগটা ইতিবাচক নয় মোটেই, বরং সেই আবেগের অন্য নাম ঘৃণা! রোনালদিনহোর অভ্যর্থনায় সাজানো ওই ব্যানারটিতে তাই লেখা হয়েছে কেবল একটা শব্দ, জুডাস।
এখানেই শেষ নয়, যিশুখ্রিস্টের বিশ্বাসঘাতক শিষ্যের নাম লিখতে গিয়ে শেষ অক্ষরটাকে আবার বদলে দেওয়া হয়েছে একটু, রোমান 'এস' অক্ষরটিকে একটি উল্লম্ব রেখায় কেটে দিয়ে বানানো হয়েছে টাকা'র চিহ্ন!
স্বঘোষিত গ্রেমিও-ফ্যান রোনালদিনহোর সঙ্গে তাঁর ছেলেবেলার ক্লাবের এ অম্লমধুর সম্পর্কের শুরু তাঁর কৈশোর থেকেই! ১৮ বছর বয়সী রোনালদিনহোর ফুটবলশৈলী মন মাতিয়েছিল ক্লাব সমর্থকদের। কিন্তু গ্রেমিওর কর্মকর্তারা যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁকে ইউরোপের ক্লাবগুলোর শ্যেনদৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে, তখন তিনি আর তাঁর পরিবার উল্টো বারবার অনুরোধ করছিলেন তাঁকে ছেড়ে দিতে। তারপর একরকম গোপনেই প্যারিস সেন্ট জার্মেই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন রোনালদিনহো। সেখান থেকে বার্সেলোনায় গিয়ে যখন বিশ্ব মাতাচ্ছেন, গ্রেমিও তখন পার করছে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুঃসময়। প্রথম বিভাগ থেকে একপর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগেই নেমে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম বিভাগে ফিরলেও আর কখনো শিরোপার দৌড়ে থাকেনি, বরাবরের মাঝারি দল হিসেবেই এখন তাদের পরিচয়।
এ দুর্নাম ঘোচানোর একটা সুযোগ এসেছিল এ বছরের শুরুতে, যখন এসি মিলান ছেড়ে রোনালদিনহোর ব্রাজিলে ফেরার প্রক্রিয়া চলছিল। দুবারের বর্ষসেরা ফুটবলার ঘোষণাও দিয়েছিলেন, 'ব্যাপারটা আমার হাতে থাকলে এত দিন আমি গ্রেমিওর হয়ে যেতাম।' কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেশি বেতন আর রাজধানী রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত রাত্রিকালীন বিনোদনের লোভে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ফ্ল্যামেঙ্গোতে যোগ দেওয়ার। সেখানে যতই উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছেন তিনি, ততই বাড়ছে গ্রেমিও-সমর্থকদের ক্ষোভের আগুন। আজ রাতে সেই ক্ষোভের খানিকটা আঁচ নিশ্চয়ই পাবেন তিনি। ওয়েবসাইট
স্বঘোষিত গ্রেমিও-ফ্যান রোনালদিনহোর সঙ্গে তাঁর ছেলেবেলার ক্লাবের এ অম্লমধুর সম্পর্কের শুরু তাঁর কৈশোর থেকেই! ১৮ বছর বয়সী রোনালদিনহোর ফুটবলশৈলী মন মাতিয়েছিল ক্লাব সমর্থকদের। কিন্তু গ্রেমিওর কর্মকর্তারা যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁকে ইউরোপের ক্লাবগুলোর শ্যেনদৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে, তখন তিনি আর তাঁর পরিবার উল্টো বারবার অনুরোধ করছিলেন তাঁকে ছেড়ে দিতে। তারপর একরকম গোপনেই প্যারিস সেন্ট জার্মেই ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন রোনালদিনহো। সেখান থেকে বার্সেলোনায় গিয়ে যখন বিশ্ব মাতাচ্ছেন, গ্রেমিও তখন পার করছে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুঃসময়। প্রথম বিভাগ থেকে একপর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগেই নেমে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম বিভাগে ফিরলেও আর কখনো শিরোপার দৌড়ে থাকেনি, বরাবরের মাঝারি দল হিসেবেই এখন তাদের পরিচয়।
এ দুর্নাম ঘোচানোর একটা সুযোগ এসেছিল এ বছরের শুরুতে, যখন এসি মিলান ছেড়ে রোনালদিনহোর ব্রাজিলে ফেরার প্রক্রিয়া চলছিল। দুবারের বর্ষসেরা ফুটবলার ঘোষণাও দিয়েছিলেন, 'ব্যাপারটা আমার হাতে থাকলে এত দিন আমি গ্রেমিওর হয়ে যেতাম।' কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেশি বেতন আর রাজধানী রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত রাত্রিকালীন বিনোদনের লোভে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ফ্ল্যামেঙ্গোতে যোগ দেওয়ার। সেখানে যতই উজ্জ্বলতা ছড়াচ্ছেন তিনি, ততই বাড়ছে গ্রেমিও-সমর্থকদের ক্ষোভের আগুন। আজ রাতে সেই ক্ষোভের খানিকটা আঁচ নিশ্চয়ই পাবেন তিনি। ওয়েবসাইট
No comments