নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলাম : শামীম-আইভী আজ থেকে আমারও মেয়র
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে করা বিভিন্ন অভিযোগও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিজয়ী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, 'আইভী আজ থেকে আমারও মেয়র।' একই সঙ্গে নির্বাচিত কাউন্সিলরদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।শামীম ওসমান গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পৈতৃক বাসভবন চাষাঢ়ার হীরা মহলে বিকেল ৩টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন শীল, শহর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী, জেলা যুবলীগ নেতা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলসহ বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
শামীম ওসমান বলেন, 'আমি হয়তো পরাজিত হয়েছি; কিন্তু জনগণ ও সরকার জিতেছে। জনগণের সেবা করতে রাজনীতিতে ছিলাম, আছি এবং থাকব।' নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মানুষের কাছে খবর পেয়ে নানা অভিযোগ করেছিলাম। সেসব প্রত্যাহার করে নিলাম। কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ভোটের সময় এসব কথা কানে এলে এ রকম অভিযোগ করাটা অস্বাভাবিক নয়।'
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, 'নির্বাচনের দিন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বলা কথা প্রত্যাহার করে নিলাম।' নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমি জয়ী হতে পারিনি সত্য; কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী হয়েছেন। কেননা তাঁর সরকার প্রমাণ করতে পেরেছে, সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন কিংবা ভোট দেননি, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ব্যক্তিগত জীবনে আমার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই। রাজনৈতিক কারণে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।'
শামীম ওসমান বলেন, 'শামীম ঠেকাও চিন্তা-চেতনা থেকে আগের রাতে হঠাৎ করে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় কার লাভ হয়েছে? শেষ ভালো যার সব ভালো তার। শেষ ভালো হয়েছে জনতার, সর্বোপরি শেখ হাসিনার।' তিনি বলেন, 'আমার বাপ-দাদার কবর এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে। আমার কবরও হয়তো এই মাটিতেই হবে। তাই জনগণের উপকারে আমার কোনো সহযোগিতার দরকার হলে আমি হাত বাড়িয়ে দেব।'
গত এক মাস ধরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সংবাদকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, 'আপনাদের জন্যই এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কেউ কেউ আমাকে সন্ত্রাসী, গডফাদার বানাতে গিয়ে পুরো নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরতে চেয়েছে। গত এক মাসে প্রমাণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ শান্তির শহর। নির্বাচনী প্রচারকালেও কেউ প্রমাণ করতে পারেননি নারায়ণগঞ্জে সামান্য সহিংসতা হয়েছে কিংবা কারো শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ঝরেছে।' তিনি বলেন, 'আমারও কিছু কষ্ট আছে, দুঃখ আছে; সেটা না বলাই ভালো। আজ জয়ের দিনকে সেলিব্রেট করতে চাই। আইভীকে আমার ফুলেল শুভেচ্ছা পাঠিয়েছি। আমি বিজয়ী হলে এতক্ষণে আইভীর বাসায় গিয়ে তার মায়ের পা ছুঁয়ে সালাম করে দোয়া নিতাম।'
শামীম ওসমান বলেন, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ উভয় ক্ষেত্রের ব্যক্তিরাই মানুষের কল্যাণে কাজ করে। মানুষের মনে কষ্ট দেওয়া আর মসজিদ ভাঙা এক কথা। তিনি জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন, 'সব সময় যেন প্রগতির পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে, জনগণের পক্ষে আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি। আজ থেকে আইভী আমারও মেয়র। সে কারণে ভাই হিসেবে উপদেশ না হোক অনুরোধ রেখে বলব, তাঁর কথাবার্তায় কেউ যেন কোনো রকম কষ্ট না পায়।'
শামীম ওসমান বলেন, 'আমি হয়তো পরাজিত হয়েছি; কিন্তু জনগণ ও সরকার জিতেছে। জনগণের সেবা করতে রাজনীতিতে ছিলাম, আছি এবং থাকব।' নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মানুষের কাছে খবর পেয়ে নানা অভিযোগ করেছিলাম। সেসব প্রত্যাহার করে নিলাম। কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ভোটের সময় এসব কথা কানে এলে এ রকম অভিযোগ করাটা অস্বাভাবিক নয়।'
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, 'নির্বাচনের দিন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বলা কথা প্রত্যাহার করে নিলাম।' নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমি জয়ী হতে পারিনি সত্য; কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী হয়েছেন। কেননা তাঁর সরকার প্রমাণ করতে পেরেছে, সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন কিংবা ভোট দেননি, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ব্যক্তিগত জীবনে আমার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা নেই। রাজনৈতিক কারণে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।'
শামীম ওসমান বলেন, 'শামীম ঠেকাও চিন্তা-চেতনা থেকে আগের রাতে হঠাৎ করে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় কার লাভ হয়েছে? শেষ ভালো যার সব ভালো তার। শেষ ভালো হয়েছে জনতার, সর্বোপরি শেখ হাসিনার।' তিনি বলেন, 'আমার বাপ-দাদার কবর এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে। আমার কবরও হয়তো এই মাটিতেই হবে। তাই জনগণের উপকারে আমার কোনো সহযোগিতার দরকার হলে আমি হাত বাড়িয়ে দেব।'
গত এক মাস ধরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সংবাদকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, 'আপনাদের জন্যই এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কেউ কেউ আমাকে সন্ত্রাসী, গডফাদার বানাতে গিয়ে পুরো নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরতে চেয়েছে। গত এক মাসে প্রমাণ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ শান্তির শহর। নির্বাচনী প্রচারকালেও কেউ প্রমাণ করতে পারেননি নারায়ণগঞ্জে সামান্য সহিংসতা হয়েছে কিংবা কারো শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ঝরেছে।' তিনি বলেন, 'আমারও কিছু কষ্ট আছে, দুঃখ আছে; সেটা না বলাই ভালো। আজ জয়ের দিনকে সেলিব্রেট করতে চাই। আইভীকে আমার ফুলেল শুভেচ্ছা পাঠিয়েছি। আমি বিজয়ী হলে এতক্ষণে আইভীর বাসায় গিয়ে তার মায়ের পা ছুঁয়ে সালাম করে দোয়া নিতাম।'
শামীম ওসমান বলেন, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ উভয় ক্ষেত্রের ব্যক্তিরাই মানুষের কল্যাণে কাজ করে। মানুষের মনে কষ্ট দেওয়া আর মসজিদ ভাঙা এক কথা। তিনি জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন, 'সব সময় যেন প্রগতির পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে, জনগণের পক্ষে আর যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি। আজ থেকে আইভী আমারও মেয়র। সে কারণে ভাই হিসেবে উপদেশ না হোক অনুরোধ রেখে বলব, তাঁর কথাবার্তায় কেউ যেন কোনো রকম কষ্ট না পায়।'
No comments