মূলধন সংকটে সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা

দুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি; কিন্তু চামড়া কেনার কোনো প্রস্তুতি নিতে পারেননি সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি টাকা বকেয়া ও মূলধনের অভাবে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। শিগগিরই বকেয়া টাকার সংস্থান ও মূলধনের ব্যবস্থা করতে না পারলে অনেক ব্যবসায়ী এবার চামড়া কিনতে পারবেন না। শহরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন ঢাকার ট্যানারি মালিকরা। কয়েক বছর ধরে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনে ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করছেন না! ফলে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করলেও সব পুঁজি রয়ে গেছে ট্যানারি মালিকদের কাছে।


চামড়া ব্যবসায়ী অধ্যাপক আবদুল আউয়াল জানান, চামড়া ব্যবসায়ীরা সাধারণত ঈদের আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে চামড়া কিনেন। চামড়া বিক্রি করে ট্যানারি থেকে টাকা পেয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন; কিন্তু ট্যানারি মালিকরা টাকা দিচ্ছেন না। ফলে সৈয়দপুরের ১৫ জন ব্যবসায়ীর প্রায় এক কোটি টাকার পুঁজি আটকে রয়েছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। তিনি আরো জানান, এবার চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে একটু কমেছে। দাম বাড়া বা কমার চেয়ে বড় সমস্যা হলো ব্যবসায়ীদের কারো কাছে এবার পুঁজি নেই। গত কয়েক বছরের পাওনা টাকার যদি কিছুটা পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনবেন।
আড়ত ব্যবসায়ী সরফরাজ মুন্না জানান, গত রমজান মাসের পর থেকে চামড়ার দাম কমছে। আগে যেখানে মাঝারি ধরনের গরুর চামড়া (২২ থেকে ২৫ ফুট) দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত, এখন একই চামড়া তাঁরা এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। বর্তমানে ছাগলের চামড়া প্রতিটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বার্ষিক আয়কর, চামড়া কিনে মোকাম পর্যন্ত আনার সময় বিভিন্ন স্থানে চাঁদা, কর্মচারি খরচ, বিদ্যুৎ ও ঘর ভাড়া দিয়ে তাঁদের এখন আর তেমন লাভ
থাকে না।

No comments

Powered by Blogger.