'ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আইন অসাংবিধানিক'

মালয়েশিয়ায় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসংক্রান্ত আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন আদালত। আদালতের ভাষ্যমতে, এ আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার আপিল আদালত এ রায় দেন।১৯৭১ সালে ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি কলেজেজ অ্যাক্টের (ইউইউসিএ) মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থীদের রাজনীতি ও ট্রেড ইউনিয়নে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এ আইন বাতিলের দাবি করছে। গতকালের রায়কে তারা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে।


গত বছর মালয়েশিয়ার কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় উপনির্বাচনে বিরোধী দলের পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আদালতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসংক্রান্ত আইন চ্যালেঞ্জ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আদালত ওই রায় দেন।
আদালত বলেছেন, বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে মানুষের বাকস্বাধীনতা রোধ করা হয়েছে।
ওই চার সাবেক শিক্ষার্থীর পক্ষের আইনজীবী অশোক কান্দিয়াহ গতকাল বলেন, এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। সারকথা হলো, এখন থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আর কোনো বাধা থাকল না।
প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক শিগগিরই নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী রাজাক নিপীড়নমূলক আইন বাতিলের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত আইন পর্যালোচনার কথাও বলেন তিনি। তা ছাড়া ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরেই তরুণ ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।
তবে কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের একজন আইনজীবী বলেছেন, তাঁরা আপিল আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে আপিল করবেন। প্রসঙ্গত ফেডারেল আদালত মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত।
এর আগে কুয়ালালামপুরের হাইকোর্ট বিদ্যমান আইনকে সাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিলেন। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.