মুহিতের অতিকথনে সরকার বিব্রত : জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বিশৃঙ্খলা হলে অর্থমন্ত্রী দায়ী থাকবেন : ওবায়দুল কাদের

র্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অর্থমন্ত্রী ভালো ও সত্ মানুষ; কিন্তু তার অর্থহীন অতিকথনে সরকার বিব্রত। অর্থমন্ত্রীর অতিকথনের জন্য বর্তমানে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তার অতিকথনের কারণে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারি দলের এ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দ্রব্যমূল্য, পরিবহনসহ সামগ্রিকভাবে শিল্প-কারখানার ওপর পড়বে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।


জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তার জন্য অর্থমন্ত্রীই দায়ী থাকবেন।গতকাল ফেনী সার্কিট হাউসে স্থানীয়
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় ফেনী পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থমন্ত্রী সিএনজির দাম তেলের দামের সমান করার কথা বলেছেন। মন্ত্রীর এ ধরনের কথা বলা ঠিক হয়নি। তার অতিকথনের কারণে শেয়ারবাজারে প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তিনি ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানিচুক্তি তিন মাসের মধ্যে হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু ভারত সরকারের কোনো মন্ত্রী চুক্তির সময়কাল নিয়ে কথা বলেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি প্রবীণ, সত্ ও ত্যাগী মানুষ। তাকে (অর্থমন্ত্রী) উপদেশ দেয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি আন্তর্জাতিকভাবে সঙ্কটের একটি কারণ। আমাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভর্তুকি দিয়ে দেশ চালাতে হয়। ভারতেও বেশ কয়েকবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সে দেশের অর্থ মন্ত্রণালয় আগেভাগে মানুষকে সচেতন করে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে তেল ও সিএনজির দাম বাড়ানোর আগে আলাপ-আলোচনা করা হলে জনগণ মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকত। এতে করে দাম বাড়ানোর বিষয়টি জনগণ সাধারণভাবে গ্রহণ করার পাশাপাশি তা মেনেও নিত। বিদ্যুত্, জ্বালানি এবং সিএনজির মতো সেবামূলক খাতে সরকারের ভর্তুকির ফলে তারল্য সঙ্কট হচ্ছে বলেও ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেন।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহনীয় ও ক্রয়সীমার মধ্যে থাকায় মানুষ শান্তিতে রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.