রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন সহোদরসহ ৬ জনের মৃত্যু-চালকের কানে ছিল মোবাইল

চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর খেসারত দিতে প্রাণ গেল ছয় নিরীহ যাত্রীর। রংপুরে গত বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনারশিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে তিন সহোদরসহ ছয়জন। আহত হয়েছে ৩০ জন। আহতদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কাউনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ঝিলেরঘুমটি এলাকায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।


বাসযাত্রীর উদ্ধৃত্তি দিয়ে কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মজিবর রহমান সরকার জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা এফ কে লাইন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩১৬৩) অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা যাচ্ছিল। কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ঝিলেরঘুমটিতে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা এলাকার তিন সহোদর কাদের (৩২), সাইদুল (৩৮) ও সালাম (২৮) এবং একই এলাকার সফু (৪২), হানিফ (৪২) ও দুলাল (৩৫)। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত বাসযাত্রী খলিল ও এরশাদুল জানান, তাঁরা ধান কাটা ও মাড়াই করার জন্য কুমিল্লা যাচ্ছিলেন। বাসটি তিস্তা ব্রিজ অতিক্রমের পর বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে এবং ওই সময় চালক মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। যাত্রীরা তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করলেও সে তা মেনে আরো দ্রুত বেগে গাড়ি চালাতে থাকে এবং একসময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মজিবর রহমান সরকার জানান, বাসটিতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৬৫ জন শ্রমিক ধান কাটা ও মাড়াই করার জন্য কুমিল্লা যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.