সহজ জয় পেয়ে খুশি ব্রাজিল

গ্যাবন সমর্থকদের জন্য রাতটা ছিল উৎসবের। একে তো রাজধানী লিব্রেভিলের ইয়ামিতাই স্টেডিয়ামের শুভ উদ্বোধন, তার ওপর সে মাঠে নিজেদের দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা খেলার জন্য পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে অতিথি করে আনা। সব মিলিয়ে সাজসাজ রব।কিন্তু উৎসবটা জমল না! শুরুর আনন্দটা মাটি করে দিল বৈদ্যুতিক গোলযোগ, যার কারণে প্রায় ২০ মিনিট দেরি হলো প্রীতি ম্যাচ মাঠে গড়াতে। তারপর গ্যাবন সমর্থকরা চেয়ে চেয়ে দেখল ব্রাজিলের কাছে তাদের প্রিয় দলের ২-০ গোলের হার। এমন নয় যে এ ম্যাচে তাদের জেতার কথা ছিল।


কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগে সব মিলিয়ে যে উৎসব আর উচ্ছ্বাসের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা সেটা শেষ পর্যন্ত থাকেনি একটুও। তারকা ফুটবলারদের ছাড়া মোটামুটি নতুনদের নিয়ে গড়া ব্রাজিল বেশ সহজেই হারিয়েছে আফ্রিকার এ দেশটিকে।
পরশু রাতে উদ্বোধন হওয়া এ মাঠেই ২০১২ আফ্রিকান নেশনস কাপের ফাইনাল হওয়ার কথা। সেখানে শুরুতেই এমন অব্যবস্থাপনা দেখার পরও অবশ্য এখনই ফাইনালের ভেন্যু নিয়ে শঙ্কা জাগছে না। কিন্তু আয়োজকদের কাছে একটা সতর্কবার্তা ঠিকই গেছে_বড় ম্যাচের জন্য তাদের আরো ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। এটুকু বাদ দিলে প্রীতি ম্যাচটা বেশ উপভোগ্যই ছিল। রবিনহো-পাতো-নেইমারদের মতো তারকাদের ছাড়া মোটামুটি অনিয়মিত ফুটবলারদের নিয়ে গড়া কোচ মানো মেনেজেসের দলটা কেমন খেলে এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। তাদের একেবারে হতাশ করেননি হাল্ক-হোনাস-ব্রুনো সিজার আর হার্নানেসরা। ১২ মিনিটেই টটেনহাম মিডফিল্ডার সান্দ্রোর গোলে প্রথম লিড নিয়েছিল ব্রাজিল। গোলটা অবশ্য হয়েছে একটু অদ্ভুতভাবে, গ্যাবন রক্ষণভাগের ভুলে। ব্রুনো সিজারের ক্রসটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে গ্যাবন ডিফেন্ডার রেমি একওয়া উল্টো হেড করেন নিজেদের গোলপোস্টের দিকে। সেটা হয়তো গোলরক্ষক দিদিয়ের ওভোনো ফিরিয়ে দিতেন কিন্তু মাঝপথেই সান্দ্রোর লাফানো কিক এবং গ্যাবনের জালে বল। অবশ্য এর আগেই আরো দুটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন হোনাস ও হাল্ক। কিন্তু দুবারই গ্যাবন গোলরক্ষক ওভোনো হতাশ করেছিলেন তাদের। স্বাগতিকরা তাদের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল ৩২ মিনিটে। কিন্তু লেভি মাদিন্দার ফ্রি-কিকটা ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। এর মিনিট তিনেক পরেই লাৎসিও মিডফিল্ডার হার্নানেসের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ব্রাজিল। অনেক দূর থেকে নেওয়া হোনাসের শটে হেড করে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান তিনি। বিরতির পরেও বল দখল আর গোলের সুযোগ_দুটোই বেশি ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু গ্যাবন তাদের রক্ষণভাগ আরো আঁটসাঁট করে ফেলায় শেষ পর্যন্ত ব্যবধান (২-০) আর বাড়েনি।
জয়ের ব্যবধানটা আরো বড় না হওয়ায় খুব একটা অসন্তুষ্ট নন ব্রাজিল কোচ মানো মেনেজেস। বরং জাতীয় দলে এখনো অনিয়মিত এই ফুটবলারদের নৈপুণ্যে বেশ খুশি তিনি। ভবিষ্যতে দল গড়ার সময় এটা তাঁকে আরো বিকল্প পছন্দ দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি, 'আমরা ভালো খেলেছি এবং অনেক সুযোগও তৈরি করেছি। যদিও জয়টা মাত্র দুই গোলের কিন্তু ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমার কয়েকজনকে ভালো করে দেখে নেওয়া দরকার ছিল, সেটা হয়েছে।'
আগামী পরশু কাতারের দোহায় মিসরের বিপক্ষে পরবর্তী প্রীতি ম্যাচটা খেলবে ব্রাজিল। গোল ডটকম, এএফপি

No comments

Powered by Blogger.