অভিমত- মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনের সময় বাড়ান by মোঃ আনিছুর রহমান

কুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা বরাবরই অবহেলিত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যা খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে এ দেশের বেশিরভাগ মানুষই কোনো না কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। যার ফলে মাত্র ন’মাসে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

নিরক্ষর, স্বল্প শিক্ষিত, শিক্ষিত বেকার ও নানা পেশার যুবক, পৌর, বৃদ্ধ আপামর মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এরা জীবনপণ লড়াই করেছেন শত্রুর সঙ্গে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে অনেকে মুক্তিযোদ্ধার চেয়েও বেশি অবদান রেখেছেন। তাদের নামও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি রাখে। রক্তস্নাত যুদ্ধ শেষে অনেকে কোনো সনদ বা কোনো প্রত্যয়নপত্র না নিয়ে ক্যাম্প থেকে নিজ নিজ আবাসে ফিরে গেছেন। অনেক মুক্তিযোদ্ধার হাতে কোনো প্রমাণপত্রও নেই। অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। নিজ এলাকার বাইরে কোনো সহপাঠী বন্ব্দুর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে যোগ দিয়েছেনুং। অনেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘর, ঠিকানা ছিল না। আজও নেই। এ অবস্থায় অনেক মুক্তিযোদ্ধা হারিয়ে গেছেন, শুধু আবেদনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদেরও খুঁজে তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের জাতীয় কর্তৃব্য। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে বস্ল মুক্তিযোদ্ধা দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে অন্য কারো আবেদন করার সুযোগ রাখা বাঞ্ছনীয় ছিল। সময়-সুযোগের অভাবে এখনও বস্ল মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে আবেদন করার সময় আরো বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে সেসব হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জাতির কর্তব্য। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে বস্ল মুক্তিযোদ্ধা দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে অন্য কারো আবেদন করার সুযোগ রাখা বাঞ্ছনীয় ছিল। সময়-সুযোগের অভাবে এখনও বস্ল মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে আবেদন করার আরো সময় বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে সব মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাও যদি তালিকার বাইরে থাকে তাহলে সে তালিকাটি হবে অসম্পূর্ণ। সময়-সুযোগের অভাবে নির্দিষ্ট ঘোষিত সময়ে যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করতে না পারেন তাহলে পরবর্তী সময়ে যাতে বিশেষ ব্যবস্থায় সরাসরি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আবেদন করে তালিকাভুক্ত হতে পারে তারও সুযোগ উন্মুক্ত রাখা উচিত। অতি দ্রুততার সঙ্গে তাড়াস্লড়ো করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা/গেজেট প্রণয়ন না করে ভালোভাবে প্রচার ও যথেষ্ট সময় দিয়ে করা সঙ্গত হবে। এতে করে দেশে-বিদেশে নানা কাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাবেন। সব মুক্তিযোদ্ধা যদি তালিকাভুক্ত হতে পারেন তাহলেই সেই তালিকা হবে পূর্ণাঙ্গ। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কোনো বিনিময় চায় না, একটু সম্মান চায়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা প্রচারবিমুখ, অতএব সব মুক্তিযোদ্ধা যাতে তালিকায় বা গেজেটভুক্ত হতে পারে এটাই কাম্য। তাই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যাতে সব মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন সেজন্য তালিকাভুক্তির আবেদনের সময় অন্তত আরও ৬ মাস বৃদ্ধি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

No comments

Powered by Blogger.