কটিয়াদীর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মণ্ডলভোগ গ্রামে গতকাল শুক্রবার বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শামসুদ্দিন মিয়া (৩৬) নামের এক ব্যক্তি টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে কুদ্দুস মিয়া নামের একজনের অবস্থা অশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আবুল কালাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইউম গঙ্গা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার শামসুদ্দিন ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা ফোরকান ভূঁইয়ার বাড়িসহ অন্তত ১৬টি বাড়িতে হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আহত অন্যরা হচ্ছে মঞ্জিল মিয়া, বাচ্চু মিয়া, তাহেরউদ্দিন, আফজল মিয়া, আবু তাহের, শহীদ মিয়া, শাহাদাত হোসেন, জালাল মিয়া প্রমুখ।
গতকাল বিকেলে সরেজমিনে মণ্ডলভোগ গিয়ে জানা যায়, জসিমউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনায় আপস করতে গতকাল সকালে এলাকায় বিবদমান গ্রুপ দুটি সালিসে বসার কথা ছিল। অজ্ঞাত কারণে নির্ধারিত সালিস বানচাল হয়ে যায়। পরে উভয় পক্ষই ভৈরব-ময়মনসিংহ রেললাইনের পাশে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন পূর্ব মণ্ডলভোগের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই হুমায়ুন কবীর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় হুমায়ুনের লোকজনের হাতেই শামসুদ্দিন মিয়াসহ অন্যরা আহত হয়। গুরুতর আহত শামসুদ্দিনকে বাজিতপুর মেডিক্যালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। কিশোরগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হুমায়ুন কবীর এ অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, 'সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমাদের ছেলেরা তাদের প্রতিহত করে। বিগত সরকারের আমলে তারা (প্রতিপক্ষ) আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।'
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা শুক্রবার রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। তিনি বলেন, 'লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তর জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মণ্ডলভোগে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খুনিদের ছাড় দেওয়া হবে না।'
কটিয়াদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.